যুক্তরাস্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের অগঠনতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের বিরোদ্ধে যুক্তরাস্ট্র আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ মূখর হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে তারা মাঠে ময়দানে সিদ্দিকুর রহমানের অগঠনতান্ত্রিক কার্যক্রমকে প্রতিরোধ করতে নানা মূখী কর্মসূচি গ্রহন করেছেন বলে জানা যায় ।
ড. সিদ্দিকুর রহমান কার্যকরী কমিটির শুন্য পদ পুরণের নামে সম্পুর্ণ অসাংগঠনিক ও অগঠনতান্ত্রিক ভাবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটি ও দলীয় প্রধানের অনুমোদনকে অবজ্ঞা করে অযোগ্য ও নানাভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে শুন্য পদ পুরণ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় প্রধানের দিক নির্দেশনা অবজ্ঞা করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে ডিঙ্গিয়ে জুনিয়র নেতৃবৃন্দকে উঁচ্চ পদে পদায়ন করার ফলে দলের চেইন্ অব কমান্ড সম্পুর্ণ রুপে ভেংগে পড়েছে বলে জানা যায় ।
ড. সিদ্দিকুর রহমানের এসব নিয়োগ বানিজ্য এবং দলের ঐক্য ও ভাবমূর্তি বিরোধী নানা কর্মকান্ডের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যে দলীয় হাইকমান্ড বরাবরে তথ্যপ্রমাণ সহকারে উপস্হাপন করেছেন বলে একটি বিশ্বস্হ সূত্রে জানা গেছে। নেতৃবৃন্দের একটাই দাবী নতুন কমিটি ।
গত মাসের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাক্তিগত সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্ট্রার বিপ্লব বড়ুয়া যুক্তরাস্ট্র সফর করেন। বিপ্লব বড়ুয়ার সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা ড. সিদ্দিকুর রহমানের অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে প্রতিবাদ কর্মসুচির ঘোষনা দেন। অপর দিকে ড. সিদ্দিকুর রহমান একই দিনে বিপ্লব বড়ুয়ার সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সভাকে কেন্দ্র করে সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থক নতুন পদ পদবীধারিরা তাদের মূল্যায়নের নানা কল্প কাহিনী প্রচার করতে থাকলে বিষয়টি যুক্তরাস্ট্র আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে চরম বিশৃংখলার সৃষ্টি করে । এক পর্যায়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ড. সিদ্দিকুর রহমানের এহেন কার্যকলাপ ব্যারিস্ট্রার বিপ্লব বড়ুয়ার নজরে আনলে তিনি যুক্তরাস্ট্র আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহন করেন ।
খবর নিয়ে জানা যায় ঐ সভায় বিপ্লব বড়ুয়া পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেন দলীয় প্রধানের অনুমোদন ছাড়া কিংবা কার্যকরি কমিটির দুই তৃতিয়াংশ সদস্যের অনুমোদন ব্যতীত শুন্য পদ পুরণ কার্যকরী হবে না এটা সম্পূর্ণভাবে গঠনতন্ত্র বিরোধী ।তিনি আরও জানিয়ে দেন যে তার সাথে যে মতবিনিময় সভা অনুস্ট্তি হবে সেখানে সভাপতি ড . সিদ্দিকুর রহমান ছাড়া আর কাউকে পরিচয় কিংবা বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হবে না । এমনকি সিদ্দিক সাহেবও এই সভায় বক্তব্য দিয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতি ঐক্যমত পোষণ করেন ।এমতাবস্হায় বিপ্লব বড়ুয়া সবাইকে এক হয়ে ঐ সভায় যোগ দানের আহ্বান জানান এবং সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সবাই অংশ নিলে সভাটি স্বতঃস্ফুর্তা পায় এবং এর জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।
নেতৃবৃন্দ এ প্রতিনিধিকে আরো ও জানান, বিপ্লব বড়ুয়া চলে যাওয়ার পর ড. সিদ্দিকুর রহমান তার অসাংগঠনিক কর্মকান্ড আবারও শুরু করেছেন । তিনি ইতিমধ্যে শুন্য পদে অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তদের যুক্তরাস্ট্র আওয়ামীলীগ , নিউইয়র্ক স্টেইট ও মহানগরের সভা গুলোতে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। এর ফলোশ্রুতিতে যুক্তরাস্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ আবারও এক জরুরী সভায় মিলিত হন এবং তারা ড. সিদ্দিকুর রহমানের এহেন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষনা করেন ।
তাদের ঘোষিত কর্মসূচি সম্পর্কে জানান ,
১। যথাযথ মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
২।আগামী ১৯ শে ২০২৪,মে রবিবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটের ড্রাইভারসিটি প্লাজায় সন্ধা ৭টার সময় এক বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুস্টিত হবে ।
৩।আগামী জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে দলীয় গঠনতন্ত্র নির্দেশিত পন্থায় তলবী সভা অনুষ্টানের উদ্যোগ গ্রহন করবে ।
৪। ২৩ জুন ২০২৪,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আসন্ন ৭৬তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী স্বতঃস্পুর্ত ভাবে পালনে নানামূখী কর্মসূচী নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে ।
উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন ড. প্রদ্বীপ রন্জন কর, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন , রমেশ নাথ, মহি উদ্দিন দেওয়ান, হাছিব মামুন , মোহাম্মদ আলী ছিদ্দিকী , এডভোকেট শাহ মোঃবখতিয়ার আলী, এমএ করিম জাহাংগীর, কায়কোবাদ খান, আশাফ মাসুক, আকতার হোসেন, জালাল উদ্দীন জলিল, শেখ আতিকুল ইসলাম, হুমায়ুন চৌধুরী, গোলাম খাঁন লিপ্টন, সাহিদুল ইসলাম , নাজের আলী , আব্দুল ওহাব জোয়ারদার ,খোরশেদ খন্দকার, সেলিম, শ্যামল চন্দ্র , শহিদুল হক রাসেল প্রমুখ। টেলিফোনে অংশগ্রহণকরেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান ।
আলোচনা সভার শুরুতে মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬২, ৬৪ এর ৬ দফা, এগারো দফা শিক্ষা আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান, আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ই আগষ্ট, ২১শে আগস্ট, ৩রা নভেম্বরের নিস্ঠুর হত্যাকান্ড এবং স্বৈরাচার বিরোধী এবং সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মত্যাগী বীর এবং সম্ভ্রমহারা ২ লক্ষাধীক মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।