রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে জাতীয় পতাকা স্ট্যান্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত মাধবপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪ পঞ্চগড়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নবিজুল ইসলাম সমাহিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ওয়েলস আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপিত পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের যা করার দরকার তা আমরা করব পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় শ্রেষ্ঠ থানা শ্রীমঙ্গল উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে পালিত হলো বাংলা নববর্ষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ অন্যান্যদের বিরদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রাসিক নির্বাচন

লক্ষাধিক ভোটে লিটনের জয়ী হওয়ার আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩
  • ৯৬ এই পর্যন্ত দেখেছেন

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। ভোটের ফলাফল কি হবে সেই হিসাব কষতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা। বিএনপি জামায়াত নির্বাচনে অংশ না নেয়ায়, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ৬০-৭০ শতাংশ ভোটারকে কেন্দ্রে আনাটা তারা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। পুলিশের জরিপ বলছে, ভোট পড়তে পারে ৫১ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোট পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৫০-৫৬ শতাংশ। তবে, ভোট ৫০ শতাংশ পড়লেও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন লক্ষাধিক ভোটে বিজয়ী হবেন বলেই অভিমত সবার।

এর কারণ হিসেবে, লিটনের ব্যক্তি ইমেজ, বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) প্রার্থীর ভোট বর্জন করা, পারিবারিক ঐতিহ্য, ধারাবাহিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রতিকে মুখ্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রাসিক নির্বাচনে ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন এবং নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। আওয়ামী লীগ এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টি লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল)। কিন্তু তাদের তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণাই ছিল না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম আকরামুল্লাহ বলেন, গণতান্ত্রিক দেশের কোনো নির্বাচনে কতগুলো দল অংশ নিল এটি দেখা জরুরি। যখন কোনো শক্তিশালী দল নির্বাচনে অংশ নেয় না, তখন বুঝতে হবে তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভরসা রাখতে পারছে না। তার মানে এই নয়, নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে না। নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যে ভুল ছিল, সেটি দেখিয়ে দেয়াই রাজনৈতিক দলের মুখ্য কাজ হওয়া উচিত। কিন্তু রাজশাহীতে বিএনপি অংশ নেয়নি। ফলে রাজশাহীর একটি বড় অংশ এবারের নির্বাচনে ভোট দেবে না বলে মনে হচ্ছে।

এরপরও আমরা যদি অতীতে সারাদেশের আওয়ামী লীগের ভোটের সমীকরণ দেখি, তাহলে দেখা যায় গড়ে ৩৭-৪১ শতাংশ ভোট আওয়ামী লীগের পক্ষে পড়ে। সে হিসেবে সব দল মিলিয়ে রাজশাহীতে ৫০-৫৬ শতাংশ ভোট পড়বে। তাই যদি হয়, আওয়ামী লীগের ওই গড় হিসাবের ৪১ শতাংশ ভোট হিসাব করলেও লিটন ৮০ শতাংশ ভোট পাবেন। অর্থাৎ লক্ষাধিক ভোটে মেয়র নির্বাচিত হবেন লিটন।

তিনি আরো বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিপরীত শক্তির পাল্লা ভারি। তারা যদি কোনো গেম খেলতে চায়, যে তাদের সব ভোটার নৌকার বিপক্ষে ভোট দেবে। তাহলে লিটনের ভোটের সংখ্যা কিছুটা কমবে। তবে মেয়র পদে বিজয়ী হতে বাধা হবে না। কেননা, দৃশ্যমান উন্নয়ন ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতার প্রত্যাশা তার নির্বাচনী পথকে মসৃণ করেছে।

রাজশাহী জেলা ন্যাপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম বলেন, বিএনপি অংশ না নেয়ায় নির্বাচন একতরফা হবে সেটি বলছি না। তবে, লিটন লক্ষাধিক ভোটে বিজয়ী হবে, এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। কেননা, গত কয়েক মাস ধরে লিটন রাজশাহীর সব ধরনের অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে দফায় দফায় বসে যেভাবে তার মাঠ তৈরি করেছে সেটি আগে দেখা যায়নি। পাশাপাশি বিএনপি ভোটে অংশ না নিলেও তাদের বহিষ্কৃত কাউন্সিলাররা তাদের ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে। ওই ভোটারদের বেশির ভাগ উন্নয়নের প্রত্যাশায় লিটনকে ভোট দেবে।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102