রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। ভোটের ফলাফল কি হবে সেই হিসাব কষতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা। বিএনপি জামায়াত নির্বাচনে অংশ না নেয়ায়, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ৬০-৭০ শতাংশ ভোটারকে কেন্দ্রে আনাটা তারা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। পুলিশের জরিপ বলছে, ভোট পড়তে পারে ৫১ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোট পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৫০-৫৬ শতাংশ। তবে, ভোট ৫০ শতাংশ পড়লেও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন লক্ষাধিক ভোটে বিজয়ী হবেন বলেই অভিমত সবার।
এর কারণ হিসেবে, লিটনের ব্যক্তি ইমেজ, বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) প্রার্থীর ভোট বর্জন করা, পারিবারিক ঐতিহ্য, ধারাবাহিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রতিকে মুখ্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম আকরামুল্লাহ বলেন, গণতান্ত্রিক দেশের কোনো নির্বাচনে কতগুলো দল অংশ নিল এটি দেখা জরুরি। যখন কোনো শক্তিশালী দল নির্বাচনে অংশ নেয় না, তখন বুঝতে হবে তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভরসা রাখতে পারছে না। তার মানে এই নয়, নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে না। নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যে ভুল ছিল, সেটি দেখিয়ে দেয়াই রাজনৈতিক দলের মুখ্য কাজ হওয়া উচিত। কিন্তু রাজশাহীতে বিএনপি অংশ নেয়নি। ফলে রাজশাহীর একটি বড় অংশ এবারের নির্বাচনে ভোট দেবে না বলে মনে হচ্ছে।
এরপরও আমরা যদি অতীতে সারাদেশের আওয়ামী লীগের ভোটের সমীকরণ দেখি, তাহলে দেখা যায় গড়ে ৩৭-৪১ শতাংশ ভোট আওয়ামী লীগের পক্ষে পড়ে। সে হিসেবে সব দল মিলিয়ে রাজশাহীতে ৫০-৫৬ শতাংশ ভোট পড়বে। তাই যদি হয়, আওয়ামী লীগের ওই গড় হিসাবের ৪১ শতাংশ ভোট হিসাব করলেও লিটন ৮০ শতাংশ ভোট পাবেন। অর্থাৎ লক্ষাধিক ভোটে মেয়র নির্বাচিত হবেন লিটন।
তিনি আরো বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিপরীত শক্তির পাল্লা ভারি। তারা যদি কোনো গেম খেলতে চায়, যে তাদের সব ভোটার নৌকার বিপক্ষে ভোট দেবে। তাহলে লিটনের ভোটের সংখ্যা কিছুটা কমবে। তবে মেয়র পদে বিজয়ী হতে বাধা হবে না। কেননা, দৃশ্যমান উন্নয়ন ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতার প্রত্যাশা তার নির্বাচনী পথকে মসৃণ করেছে।
নিউজ /এমএসএম