ছাতকে নিজ খামারের পুকুরের মাছ জাল-দড়ি দিয়ে ধরে মাছের খামার লুঠ হয়েছে বলে দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের দড়ারপার গ্রামের রাকিব আহমদ আল-মামুন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রামের প্রতিপক্ষ জিতু মিয়া (৪৫), আবুল হোসেন (৫০), আফরোজ মিয়া (৪৮), জসিম জদ্দিন (২৭), আব্দুস সালাম (৪৮), সোহেল আহমদ (৪২), রাজিব আহমদ (৩৫), লিটন মিয়া (৩৭), আব্দুল জব্বার (৩৮), জুনেদ আহমদের (৩২) বিরুদ্ধে থানায় গত ৩ জানুয়ারি এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা জানান, নিছক হয়রানির উদ্দেশ্যে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাকিব আহমদ আল-মামুন এলাকার এক চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও দখলদার। এলাকার আলকাছ মিয়া, আব্দুল জব্বার, ছইল মিয়া, চাইল মিয়াসহ মনিরজ্ঞাতি স্কুলের জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দড়ারপার গ্রামের নিরীহ মানুষের জায়গা জমি-দখল সহ এলাকায় বেপরোয়া ভাবে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে রাকিব আহমদ আল-মানুন।
ক্ষেতের জমিতে পানি সেচ দিতে ও তাকে চাঁদা দিতে হয়।তাকে চাঁদা না দিলে জমিতে পানি সেচ দিতে পারতেছেনা অনেক কৃষক। গ্রামের মসজিদের টাকাও আত্মসাৎ করেছে রাকিব। তার মাছের খামারের অর্ধেক জমি সরকারি দখলীয় জমি এবং নিজ বাড়িতেও রয়েছে দখলীয় জমি।
দড়ারপার গ্রামের ইছবর আলী, মাষ্টার আব্দুল আলী, ফজর আলী, মতিউর রহমান, রাজিব মিয়া, চুনু মিয়া, ছেগা পাড়া গ্রামের রজব আলী সহ লোকজন জানান, রাকিব আহমদ আল-মামুন একজন খারাপ প্রকৃতির ধান্দাবাজ লোক। তার বিরুদ্ধে ছাতক থানার মামলা নং ১৩/১১(১১) সহজমি দখল, টাকা আত্মসাৎ ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে। মনিরজ্ঞাতি স্কুলের দেয়াল নির্মাণেও বাঁধা দিয়ে যাচ্ছে সে। এলাকার সকল ভালো কাজে বাঁধার সৃষ্টি করা, দলাদলি করে মামলা-মোকদ্দমার ভয়ভীতি দেখানো এবং হয়রানি মুলক মামলা দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করাই হচ্ছে তার পেশা।
বিগত দিনে সে ছিলো আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা। সরকার দলীয় দাপট দেখিয়ে এবং এলাকায় কিছু চামচা সৃষ্টি করে এতোদিন নির্বিচারে জমি দখল ও চাঁদাবাজি করেছে। ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর থেকে রাকিব আহমদ আল-মামুন এখন বিএনপি নেতা সেজে বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতার নাম ব্যবহার করে তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। গ্রামের লোকজনের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে বলে স্হানীয় সুত্রে জানাযায়।