মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন

ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ দুর্বৃত্তদের কাছে জিম্মি হতে পারেনা—মকিস মনসুর

মকিস মনসুর
  • খবর আপডেট সময় : সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৬৬ এই পর্যন্ত দেখেছেন

শুভ জন্মদিন,” শিক্ষা, শান্তি, আর প্রগতির পতাকাবাহী, শৈশবের উচ্ছ্বাস, কৈশোরের প্রেম,যৌবনের ভালোলাগা আর ভালোবাসার প্রাণের সংগঠন এশিয়া উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমাদের শিকড়, আমাদের অহংকার,আমাদের আত্মপরিচয়।

🇧🇩আমি গর্বিত, ১৯৮৪ সাল থেকে স্কুলে নাইনে পড়া অবস্থায় আমার ছাত্র রাজনীতির প্রথম ক্লাস এর নাম ছিলো বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দীপ্তিমান একটি সূর্য তথা- ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ, প্রথম প্রেম ছিলো ছাত্রলীগ, প্রথম মিছিল ছিলো ছাত্রলীগ, প্রথম দেওয়াল লিখন ছিলো বঙ্গবন্ধু নৌকা আর ছাত্রলীগ, প্রথম মাইকিং ছিলো ছাত্রলীগ, কলেজ জীবনে প্রথম নবীন বরণ ছিলো ছাত্রলীগ।

স্কুল থেকে কলেজ আর ইউনিভার্সিটিতে ছিলাম সর্বদা ছাত্রলীগের মিছিলে, ১৯৯০ এর গণ আন্দোলনের জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের সংগঠক এর ভৃমিকা পালন সহ  রাজপথের একজন সংগঠক,সহযোদ্ধা ও কর্মী ছিলাম, বৃটেনে এসে প্রথমে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন সহ পরবর্তীতে করেছি যুবলীগ. আজ ও প্রবাসের মাটিতে আছি আওয়ামীলীগের ব্যানারে, কিন্তু এখনও মন চায় চলে যেতে ফীরে আসা অতীতের আমার শৈশব ও কৈশরের লালিত স্বপ্ন, যৌবনের উচ্ছাস -ভালোবাসার প্রাণপ্রিয় সংগঠন সেই ছাত্রলীগের মিছিলে,আজকের এই লেখার শুরুতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই ঐতিহাসিক দিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান লাখো -কোটি নেতাকর্মীদেরকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মুজিবীয় অভিনন্দন জানিয়ে বলতে চাই,
বাংলাদেশে আজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভালো নেই, তারা শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না। অনেকেই মিথ্যা মামলায় কারাগারে আছে। তবে চিন্তার কারণ নেই, এই আধাঁর কেটে আলো আসবেই,অতীতের ইতিহাস তাই বলে,”সত্য চিরন্তন সত্য,সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না,,

ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলা, বাঙালি, স্বাধীনতা এবং স্বাধিকার আন্দোলনে লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস; কলমের জোড়ে কখনো ইতিহাস মুছে ফেলা যায়না! জাতির ক্রান্তিলগ্নে সময়ের তাগিদে গড়ে উঠা সংগঠন  বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মানেই ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন,
ছাত্রলীগ মানেই ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন,ছাত্রলীগ মানেই১৯ ৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন,ছাত্রলীগ মানেই ১৯৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান,ছাত্রলীগ মানেই ১৯৭০ এর নিবার্চন,ছাত্রলীগ মানেই ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা, ছাত্রলীগ মানেই ১৯৯০ এর গণআন্দোলন,ছাত্রলীগ মানেই মুক্তি‘ছাত্রলীগ মানেই শক্তি‘ ছাত্রলীগ মানেই শিক্ষা’ছাত্রলীগ মানেই শান্তি’, ছাত্রলীগ মানেই প্রগতি’  ছাত্রলীগ মানেই মানবতার কল্যাণ’এই সংগঠন কোটিকোটি মানুষের আবেগ অনুভূতি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোন ভুঁইফোড় সংগঠন নয়। বললেই নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।

“বাঙ্গালীর সাহস,ইতিহাস,গৌরব ও ঐতিহ্যের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা মানে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায় মুছেফেলার চেষ্টা, ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস;

এখানে মনে রাখা উচিৎ, উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাত্তরেও নিষিদ্ধ হয়েছিল, বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো স্বাধীনতা। কথাটা মনে রাখতে হবে। এই ছাত্রলীগের গর্ভে “জয় বাংলা” শ্লোগানের জন্ম। এ ছাত্র সংগঠনের সৃষ্টি “তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা”, “বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর”,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার তুমরা কারা; স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের শেকড় থেকে শিখরের সাথে যাঁর সম্পর্ক।

বাংলাদেশ সৃষ্টির সঙ্গে যে সংগঠনের নাম যুক্ত, সেই আবেগ আর অনুভূতির গভীরতার কতটুকু শক্তিশালী,তা কল্পনাও করতে পারবেনা।এ সংগঠনকে তথাকথিত প্রজ্ঞাপন দিয়ে নিষিদ্ধ করা যায় না। ছাত্রলীগ একটি অনুভূতির নাম-প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে এই অনুভূতি বেচেঁ থাকবে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান রাষ্ট্র (১৯৪৭) গঠনের এক বছরের আগেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় আজ থেকে ৭৬ বছর আগে ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের এ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্টা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিলো পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ছিলেন নাঈম উদ্দিন আহমেদ এবং পরবর্তীতে সভাপতি মনোনীত হন দবিরুল ইসলাম ও প্রতিষ্টাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খালেক নেওয়াজ খান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন,৫৮ এর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন,৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন,৬৬ এর ছয় দফা,’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান৭০ এর নির্বাচন ও ১৯৭১ এর মহাণ মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ করেছিলো ছাত্রলীগকে, ফলাফল হিসাবে আওয়ামী লীগ – ছাত্রলীগের নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বলতেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস’ । স্কুল জীবন থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অবধি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শিক গর্বিত-ছাত্রলীগ কর্মী হিসাবে আমার শৈশবের লালিত স্বপ্ন কৈশোরের উচ্ছ্বাস,যৌবনের অনুভূতি, ভালোলাগা ও-ভালোবাসার প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ব্যানারে ৯০ এর ছাত্র- গন অভূথখানের রাজপথের এক লড়াকু সৈনিক
হয়ে কাজ করার যে সুযোগ হয়েছিলো। এজন্য নিজেকে ধন্য ও সৌভাগ্যবান মনে করছি।

স্বাধীনতা বিরুধীশক্তিকে সাথে নিয়ে অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রজ্ঞাপন মানবে না বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। যে সংগঠনের ৫০ লাখের উপরে নেতা কর্মীরা আছে এই বাংলাদেশে , সে সংগঠন নিষিদ্ধ করা যাবে না। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীর রক্তের বিনিময়ে।বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার জন্য সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতির যতটুকু সোনালী অর্জন তার গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

৭৭ বছরে পদার্পন করা ছাত্রলীগ শুধুই একটি সংগঠন নয়, এটি একটি আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া তরুণদের শক্তি।ইতিহাস সাক্ষী, ছাত্রলীগ সবসময় দেশের স্বার্থে সাহসী ভূমিকা রেখেছে, ভবিষ্যতেও রাখবে। ছাত্রলীগ হলো আলোর দিশারী যা দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ছাত্রলীগের কর্মীরা সবসময় এগিয়েছিল এবং থাকবে। ছাত্রলীগ মানে কেবল একটি নাম নয়, এটি একটি স্বপ্ন,চেতনা, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যাবে। নিষিদ্ধ করেও দামিয়ে রাখতে পারবে না।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলেই অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবেনা। এতো সহজে এই দীর্ঘ ইতিহাসকে বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না। যতবার হত্যা করো,জন্মাবো আবার,দারুণ সূর্য হবো,লিখবো নতুন ইতিহাস ❤️ বরং আরো শক্তি আরো সম্মান নিয়ে ফিরে আসবে। শুধু সময়ের দাবি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক একজন রাজনৈতিক কর্মী ও সাবেক ছাত্রলীগার হিসাবে আজ আবারও
অবৈধ ইউনুস সরকার ঘৃণিত প্রজ্ঞাপন এর তীব্র নিন্দা,ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই অন্যের উপর দমন পীড়ন। জবাবদিহিতা না করার নামই স্বৈরাচার।অন্যের বাকস্বাধীনতা কে দমন করার নামই স্বৈরাচার।

বাঙালি জাতির সকল সংগ্রামের সারথি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অর্পিত প্রজ্ঞাপন এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে শুরু থেকে আজবধি ও চলছে বিশ্বময় সভা – সমাবেশ। এধরণের প্রতিটি সভায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যে কোনো ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার জন্য স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে প্রস্তুুত থাকতে হবে বলে বক্তারা অভিমত সহ দীপ্ত শপথনামা ব্যাক্ত করেছেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকার পক্ষপাতদুষ্টুভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধেকে নির্বাসিত করছে। ক্ষমতা কুক্ষিগতকারী গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে আওয়ামী লীগসহ গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল মানুষদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। এই অবৈধ সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গণহত্যা ও বাছ-বিচারহীনভাবে গণগ্রেফতার চালানো হচ্ছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা গণহত্যার শামিল। সরকারের প্রত্যক্ষ সারা দেশে মব সন্ত্রাস চালিয়ে ভিন্নমত দমনের নিকৃষ্ট অপকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক, মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠলেও সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। খাদ্য মূল্যস্ফীতি স্মরণকালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যেহেতু সরকারের কোনো আইনগত, রাজনৈতিক ও সামাজিক বৈধতা নেই সেহেতু জনসাধারণের প্রতি তারা কোনো দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করছে না। বরং কেউ কোনো নাগরিক দাবিতে সোচ্চার হলে সরকার বেআইনিভাবে ক্ষমতা প্রদর্শনের একটা অভিনব পন্থা আবিষ্কার করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী অগণতান্ত্রিক এই গোষ্ঠীর মতিভ্রম হয়েছে। ফলে তারা রাষ্ট্রে ও সমাজে বিদ্যমান গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধ্বংস করে গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে এবং অভূতপূর্ব নৈরাজ্যবাদ কায়েম করেছে।

ফ্যাসিস্ট ফ্যাসিস্ট মুখে বুলি তুলে, এখন সমগ্র বাংলাদেশে গ্রাম থেকে শহরে, শহর থেকে পাহাড় পর্বত সমতলে ফ্যাসিস্ট, ফ্যাসিস্ট দের রাজত্ব কায়েম হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে, বৈষম্য বৈষম্য বিরোধিতা করে এখন সমগ্র বাংলাদেশে বৈষম্যের দেয়াল তুলে দেয়া হয়েছে। দুর্নীতি দুর্নীতির দোহাই দিয়ে এখন দেশের মভ জাস্টিস করে সরকারি কর্মস্থলে নিয়োগ পত্রে, আমদানি রপ্তানি,শিল্প বাণিজ্য, পুঁজিবাজারে শেয়ার মার্কেটে দুর্নীতির আঁতুড় ঘর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, মানবাধিকার মানবাধিকার বলে চিল্লাচিল্লি করে এখন মানবাধিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ প্রাপ্ত মানবাধিকার থেকে, ন্যায়বিচার ন্যায়বিচার আইনের শাসন আইনের শাসন বলে কাঁদতে কাঁদতে এখন বিলুপ্তির পথে আইনের শাসন, দেশে নেই কোন আইনের শাসন, ইউনুস সরকারের নেই কোন বাস্তবমুখী আইনের শাসন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার, বাস্তবায়নের লক্ষণীয় উদ্যোগ বা কোন পদক্ষেপ, মিথ্যা মামলা মামলা হামলায় অভিযুক্ত করে,মামলা হামলা বাণিজ্যের মহা উৎসব চলছে, দেশের সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, কোটকাচারী আদালত প্রাঙ্গনে বিচারাধীন রাজনৈতিক অরাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তৈরি করে বৈষম্যের দেয়াল তৈরি করে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সধারণ জনগণের উপর বৈষম্যের দেয়াল সৃষ্টি করা হচ্ছে ।

সাধারণ জনগণ বুঝতে পেরেছে এই সমস্ত মুখের বুলি এখন রাজনৈতিক সুবিধাভোগী, রাজনৈতিক দলের সুবিধাবী এজেন্ডা দের ক্ষমতায় যাওয়া এবং ক্ষমতায় গদি টিকিয়ে রাখার, ক্ষমতার চেয়ার টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশ শুধু মগের মুল্লুক নয় বাংলাদেশ এখন মবের মুল্লুকে পরিনত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট মব জাস্টিস এর ফ্যাসিস্ট রাজ্যে পরিণত করছে ।
আসুন কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণতন্ত্র ও সুবিচার প্রতিষ্ঠায় তথা বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে সঠিক পন্থায় আনতে হলে গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী জনগণকে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং এই অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলমান রাখতে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রবাসী ও দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারা সমুন্নত রাখার মানসে প্রাণের বাংলাদেশকে নিয়ে যে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে তাহা মোকাবিলা করে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশে বিদেশে বসবাসকারী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে এই হোক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর,৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের দীপ্ত শপথ।

বাঙালি জাতির সকল সংগ্রামের সারথি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে দীর্ঘদিন ধাপে ধাপে ষড়যন্ত্র করে, হেলমেট লীগ তৈরী করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চরিত্র হরণ করে যারা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছিলেন, তাদের জন্য শুধুই আফসোস ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভাইলীগের পরিবর্তে ভবিৎষতে প্রকৃত আদর্শে বলীয়ান এবং মুজিববাদে বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক কর্মী বাহিনী লালনই হোক আগামী ছাত্রলীগের মূল লক্ষ্য;
“বিগত দিনে নিরব ও অবহেলিত কর্মীরা আজ জীবন বাজি রেখে মাঠে সরব আছে,হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীরা স্ব-গৃহে ফিরে গেছে,বাটপার,ক্ষমতা লোভী,সুযোগ সন্ধানী লুটেরা আত্ম গোপনে,টাকা ও ক্ষমতার জোড়ে পলায়ন করেছে।
তৃণমূলের অবহেলিত কর্মীরা অতীতের মতো এবারও বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে, দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র প্রশ্নে রনাঙ্গনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, কেহ জীবন দিচ্ছে,কেহ মবের শিকার হচ্ছে, কেহ কারা বরন করেছে।নির্যাতিত কর্মীরাই নির্যাতিত কর্মীদের সান্তনা দিচ্ছে। আবার ও প্রমাণিত হয়েছে দুর্দিনের কর্মীরাই সংগঠনকে আগলে রাখে। পরিশেষে আবারও বলতে চাই দেশে বিদেশে ছাত্র লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল হোক। সুদীর্ঘ ৭৭ বছর বয়সের এই ছাত্রলীগের ইতিহাস ঐতিহ্য কোন দুর্বৃত্তদের কাছে জিম্মি হতে পারেনা।
🇧🇩জয় বাংলা, 🇧🇩 জয় বঙ্গবন্ধু, 🇧🇩 জয়তু ছাত্রলীগ,
🇧🇩 প্রাণের বাংলাদেশ চিরজীবী হোক,,🇧🇩 জয় হোক মানবতার।

লেখক ও সাংবাদিক মকিস মনসুর,  ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ইউকে ওয়েলস আওয়ামী লীগ, সাবেক সভাপতি, ওয়েলস যুবলীগ,  প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি, ওয়েলস ছাত্রলীগ

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102