সিলেট বিভাগ আন্দোলন সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যুর পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, সদালাপী স্বজ্জন ব্যাক্তিত্ব সকলের প্রিয় সর্বজন শ্রদ্ধেয় নাজমুল ইসলাম লাকী(৭২) বৃহস্পতিবার(৩০মে) আনুমানিক বিকাল ৫টায় সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, ১ ছেলে, আত্মীয় স্বজনসহ অনেক গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুম নাজমুল ইসলাম লাকীর জানাজার নামাজ বৃহস্পতিবার রাত ১১ ঘটিকায় সিলেটের মিরাবাজার খাঁরপাড়া আরজদ আলী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ও শুক্রবার (৩১ মে) বাদ জুম্মা বড়লেখা উপজেলার শাবাজপুর ইউনিয়নের আতুয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য স্বাধীনতার পূর্বাপর ছাত্রনেতা। প্রথিতযশা ব্যাংকার, জালালাবাদ এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ, ঢাকাস্থ মৌলভীবাজার জেলা সমিতি ও সর্বোপরি সিলেট বিভাগ আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের শাণিত চেতনায় উজ্জীবিত একজন মানবতাবাদী আলোকিত ভাল মানুষ ছিলেন ‘লাকীভাই’।
জালালাবাদ অঞ্চলের এক সুপরিচিত নাম নাজমুল ইসলাম লাকী। সিলেট বিভাগ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, সংগ্রাম থেকে শুরু করে সিলেটবাসীর অধিকার রক্ষার জন্য এমন কোন আন্দোলন নেই যেটাতে তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো না। প্রতিটা আন্দোলনে সংগ্রামে তিনি ছিলেন প্রথম সারিতে। দেশে বৃহত্তর সামাজিক সংগঠন ঢাকাস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সকল কর্মকান্ডে উনার ছিল মূখ্য ভূমিকা। সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ছিলেন জড়িত। উক্ত সংগঠনগুলোর বিভিন্ন মেয়াদের কমিটির ভিন্ন ভিন্ন পদে অত্যন্ত নিষ্ঠা, সততা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মানবিক কল্যাণবান্ধব নাজমুল ইসলাম লাকীর ঢাকাস্থ ফকিরাপুল ডিআইটি রোড়ের ব্যবসা প্রতিঠান ছিলো সিলেটবাসীর এক আড্ডারস্থল। সদা পরোপকারী ‘লাকীভাই’ অবসর জীবনে দীর্ঘদিন যাবৎ সিলেট শহরে বসবাস করে আসছেন। জ্ঞান পিপাসু ‘লাকীভাই’র সিলেটে বসবাসের অন্যাতম কারণ ছিল নিরিবিলি গ্রন্থ পাঠ করা। হৃদয়ে মননে ও চিন্তা চেতনায় তিনি সিলেটের ঐতিহ্য-সাংস্কৃতি ও ইতিহাস লালন-পালন করতেন। সংগঠক, শিল্প, সাহিত্য ও শিক্ষানুরাগী নাজমুল ইসলাম লাকী ছিলেন সিলেটবাসীর গর্ব।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ঢাকাস্থ জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, মৌলভীবাজার জেলা সমিতি ঢাকা, সিলেট বিভাগ যোগাযোগ উন্নয়ন পরিষদসহ সিলেটের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।