নবীগঞ্জ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ শহরে টানা তিনদিন ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরে বৃহস্পতিবার নিষেধাঙ্গা তুলে নেয়া হয়েছে। ফলে শহরে সাধারণ জনতার মধ্যে প্রান চাঞ্চলতা ফিরে এসেছে। দোকান পাট খুলেছে।শহরে বিভিন্ন স্টেশনে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সকাল থেকে যৌথবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়।
নবীগঞ্জ শহরের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনাটি নিয়ে কোন পক্ষই মামলা করেনি। নবীগঞ্জ থানার এসআই রিপন চন্দ্র পুলিশ এসল্ট হওয়ার ঘটনায় ৮ জন সাংবাদিকসহ ৩২জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০০ হাজার অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
নবীগঞ্জ এইচএসসি পরীক্ষার নির্ধারিত কেন্দ্রে যথা সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকল পরীক্ষার্থী যথাসময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হন। এর আগেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ এর জন্য অনুরোধ করা হয়। বলা কোন ভয়, ভীতি পাওয়ার প্রয়োজন নেই। যে কোন সহযোগিতার জন্য প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তাই পরীক্ষার্থীরা যথা সময়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। সকালেই ব্যবসায়ীরা দোকান পাট খুলেন। শহরে অটোরিস্কা,সিএনজি, রিকসা, ব্যাটারি চালিত টমটমেসহ নানা ধরনের ছোট পরিবহনের চলাচলে আবারও প্রান চাঞ্চলতা ফিরে আসে।
এদিকে পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় সব আসামিদের বিরুদ্ধে লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে অগ্নিকান্ড, ভাংচুর ও লুটপাটে ব্যবসায়ীদের বর্ননা মতে ৪ কোটি ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এতে সুনির্দিষ্ট কোন আসামিকে দোষারুপ করা হয়নি।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানায় ওসি শেখ কামরুজ্জামান জানান, পুলিশ এসল্ট হওয়ার ঘটনায় ৩২জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০০ হাজার অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামি ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত সোমবার বিকালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে নবীগঞ্জ শহরে দুটি পক্ষের ৬/৭ টি গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এতে উভয় পক্ষে শতাধিক লোক আহত ও একজন নিহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে শহরে দোকান পাট ভাংচুর করা হয়।