ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দিতে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল তুরস্কে পৌঁছেছে। প্রায় ২৪ ঘন্টার বিমান জার্নি শেষে আদানা এয়ারপোর্টে পৌঁছেছে তারা।
শুক্রবার (১০ফেব্রুয়ারি) সকালে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দলটি এয়ারপোর্ট থেকে ৩৫০ কি.মি. দূরে আদিয়ামান এলাকার উদ্দেশ্যে বাসে করে রওনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কে উদ্ধার কাজের জন্য যাওয়া বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্য রয়েছে। যারা আর্ন্তজাতিক মানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে চলতি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের পরে আঘাত হানে আরও শতাধিক আফটারশক। এর মধ্যে কয়েকটি ছিল বেশ শক্তিশালী।
স্মরণকালের ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে লাখো মানুষের জীবন। সময় যত গড়াচ্ছে ততোই বাড়ছে অনিশ্চয়তা। সর্বস্ব হারিয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অনেকে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর তুষারপাত। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের ভেতর প্রাণের সন্ধানে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ভূমিকম্পে তছনছ তুরস্কের গাজিয়ানতেপসহ আশপাশের এলাকা। ভূমিকম্পে বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ধসে পড়েছে বহু মহাসড়ক। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার কারণে তুরস্কের হাতায় ও সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের দুর্গম এলাকায় পৌছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করতে না পারায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
যোগাযোগ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্গত এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না ত্রাণ সহায়তাও। বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে চরম মানবেতর দিন পার করছেন এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা।
তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়ার আলেপ্পো শহরেও একই অবস্থা। বিভিন্ন মহাসড়ক ধসে পড়ায় চলতে পারছে না কোনো যানবাহন। যুদ্ধকবলিত দেশটিতে ভূমিকম্প যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছায় দেখা দিয়েছে মানবাবিক সংকট।
নিউজ /এমএসএম