শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে বিএনপির ৩১ দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা সহ সকল নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র পিএফ ও গ্র্যাচুইটি সুবিধাদির চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা যুবলীগ নেতার মুক্তির দাবিতে বি এন পি কর্মীদের বিক্ষোভ ওয়েলসে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার দায়ে জরিমানা গাজায় উচ্চশিক্ষা পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হত্যা মামলার আসামিকে খালাসের প্রতিবাদে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং কর্ণফুলী এলিট এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দু’মাস পরও চা শ্রমিকরা পাননি বকেয়া মজুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৭১ এই পর্যন্ত দেখেছেন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বকেয়া মজুরি না পাওয়ায় চা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর শ্রীমঙ্গলে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পর ১০২ টাকা থেকে ১২০ টাকা মজুরি নির্ধারিত হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত আগষ্ট মাসে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকরা টানা ১৯ দিন আন্দোলন করেন।

পরবর্তীতে ২৭ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন। কিন্তু দু’মাস পেরিয়ে গেলেও বকেয়া মজুরি পাননি চা শ্রমিকেরা। এতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।দ্রুত বকেয়া প্রদানে পদক্ষেপ নিতে চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের কাছে বিভিন্ন বাগান পঞ্চায়েত কমিটি আবেদন জানিয়েছে। তবে. শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী চা বাগান মালিক পক্ষ বকেয়া প্রদানে অনিহা জানিয়েছে।

চা শ্রমিকেরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১৭০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন। তবে এখনো বকেয়া মজুরি পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বিভিন্ন চা বাগান পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বকেয়া আদায়ে চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বাগান পঞ্চায়েতেদের লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা মালিক পক্ষের কাছে বার বার দাবি জানিয়ে আসলেও তারা কালক্ষেপণ করছেন। এখন চা বাগান শ্রমিকরা বকেয়া মজুরির জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এটি দ্রুত প্রদানের জন্য দাবি জানানো হচ্ছে।

কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নৃপেন্দ্র বাউরী, কানিহাটি চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি প্রতাপ রিকিয়াশন ও দেওছড়া বাগানের সভাপতি শংকর রবিদাস বলেন, ‘আমরা চা শ্রমিক ইউনিয়নের আহবানে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতো ১৭০ টাকা মজুরি মেনেও নিয়েছি। তবে আমাদের বকেয়া (এরিয়ার টাকা) না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিনযাপন করছি।

বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে হারে দাম বাড়ছে তাতে পাঁচ, সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে এই মজুরি দিয়ে কোনো মতেই চলা সম্ভব নয়। চা শ্রমিক পরিবার সমুহের জীবন জীবিকার তাগিদে ও বৃহত্তর স্বার্থে ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে আমাদের বকেয়া (এরিয়ার টাকা) মজুরি প্রদানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।

এদিকে, চা-শ্রমিকদের ১৯ দিন কর্মবিরতিকালীন সময়ের মজুরি ও রেশন থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চা শ্রমিক সংঘ। চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক রাজদেও কৈরী ও যুগ্ম-আহবায়ক শ্যামল অলমিক বলেন, দেশের ১৬৭ টি চা বাগানে ৫ লক্ষাধিক চা-জনগোষ্টির মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক প্রায় ১ লাখ, সে হিসেবে একজন শ্রমিকের মজুরির উপর কমপক্ষে ৫ জনকে ভরনপোষণ করতে হয়।

বর্তমান দ্রব্যমূূল্যের বাজারে ৩০০ টাকা মজুরি পেলেও তো সেটা সম্ভব না। এখনো শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও রেশন প্রদান করা হয়নি। ২০২১-২০২২ সাল মেয়াদের জন্য বর্ধিত ৫০ টাকা মজুরির এরিয়ার টাকা দ্রুত পরিশোধ করা দরকার।

আলীনগর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি গণেশ পাত্র জানান, সবাই বকেয়া মজুরির দাবিতে প্রয়োজনে আন্দোলনে যাওয়ার কথাও বলছেন।

বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২১০ (১৭) ধারায় কি বলা আছে সেটি আপনারা দেখে নিন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী যেদিন থেকে বলেছেন, সেদিন থেকে তাদের যথাযথ মজুরি প্রদান করা হচ্ছে। শ্রম আইন ২০০৬ শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ২১০ এর ১৭ নম্বর ধারায় কি বলা আছে সেটি দেখে নিবেন।

ইউকেবিডিটিভি/ বিডি / এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102