শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পরিচয়পত্র লেজেগোবরে: ‘বাবার চেয়ে ছেলে ২১ বছরের বড়’ সিইসির অদক্ষ অপারেটরা

সংবাদদাতার নাম :
  • খবর আপডেট সময় : বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১
  • ১৬২ এই পর্যন্ত দেখেছেন

আসাদুজ্জামান আসাদ,বেনাপোল: কর্তৃপক্ষের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অদক্ষ অপারেটরা এনআইডি কার্ডে সারাদেশে কাজ করায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। গুনতে হচ্ছে জরিমানা বিপাকে ফেলেছে জনগণকে। আর বুধবার এক অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন,এই কাজটা করার জন্য অনেক কর্মী তৈরি হয়েছে এবং তারা অত্যন্ত পেশাদার। এতো দিনের ভুল ভ্রান্তি শেষে সব পেরিয়ে অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তিসম্পন্ন কাজ তারা তৈরি করতে পেরেছে। এটার জন্য নির্বাচন কমিশন গর্ববোধ করে। কিন্তু আজও মানুষ কর্মকর্তাদের ভুলের মাশুল দিচ্ছেন।

যশোরের এক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রে একাধিক ভুলের কারণে তার পরিচয় উদ্ধার করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার পরিচয়পত্রে নিজের ও বাবার জন্ম তারিখ ভুল; বাবার নাম ভুল। বয়স হিসাব করলে ছেলের বয়স দাঁড়ায় বাবার চেয়ে ২১ বছর বেশি।সবকিছু মিলিয়ে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌরসভার বাসিন্দা মো. আইয়ুব আলীর পরিচয়পত্রটার লেজেগেড়াবরে অবস্থা হয়েছে।নামাজ গ্রামের তোতা মোড়ল ও মোমেনা বেগম দম্পতির ছেলে মো. আইয়ুব আলী।আইয়ুব আলীর ৪১২৯০০২৬৯৫৮৫২ নম্বরের জাতীয় পরিচয়পত্রে লেখা হয়েছে, তার জন্ম ১৯১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর। সেই মতে বর্তমানে মো. আইয়ুব আলীর বয়স ১০২ বছর।

আইয়ুব আলীর দাবি, তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৫৯ সালের ১০ ডিসেম্বর। এতে তার প্রকৃত বয়স হয় ৬১ বছর।অন্যদিকে তার বাবা তোতা মোড়লের ৪১২৯০০২৬৯৪৩৪৫ নম্বর জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ লেখা আছে ১৯৪০ সালের ৩ ডিসেম্বর। এতে তোতা মোড়লের বর্তমান বয়স ৮১ বছর।অর্থাৎ বাবার (তোতা) বয়স ছেলের (আইয়ুব) বয়সের ২১ বছর কম।

তোতা মোড়লের নাম ও জন্ম তারিখ ঠিক আছে বলে আইয়ুব আলী জানিয়েছেন।আইয়ুব আলী বলেন, “আমার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ ও বাপের (বাবার) নাম ভুল হয়েছে। আমার বাপের নাম ‘তোতা মোড়ল’ কার্ডে লিখা হয়েছে ‘আব্দুস সামাদ মোড়ল’। আগে তো এসব ভোটের দিন ছাড়া অন্য কোনো কাজে লাগত না, তাই ভালো করে দেখিনি। এখন সব কাজে এই কার্ড লাগছে তাই বেকায়দায় পড়িছি। এ আইডি দিয়ে তো কোনো কাজ করতি পারছিনে।“ঠিক করতি (সংশোধনের জন্য) কয়েকবার শার্শা নির্বাচন অফিসে গিয়িছি। তারা আশ্বাস দিলিও কিছুই করেনি।”এই প্রসঙ্গে শার্শা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান

বলেন, “সমস্যা তো থাকতেই পারে; কিন্তু উনি তো কোনো আবেদনই করেননি। আবেদন করার পর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে।”২০০৯ সালের আগে যারা ভোটার হয়েছেন তাদের তথ্যগত ত্রুটির কারণে এমন সমস্যা হতে পারে। এখন সুযোগ আছে আবেদন করে তথ্য উপাত্ত দিলে অবশ্যই সংশোধন করে দেওয়া হবে।

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102