সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে চড়া দামের কারণে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। সারাদেশের মতো একই পরিস্থিতি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলেও। এমন পরিস্থিতিতে বারবার সামনে আসছে বাজার সিন্ডিকেটের কথা। সেই সিন্ডিকেটের বিপরীতে স্থানীয় সাধারণ ক্রেতাকে স্বস্তি দিতে শ্রীমঙ্গলে ’বিনা লাভে নিত্যপণ্য বিক্রয় কেন্দ্রের` কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২টায় শহরের নতুন বাজার (মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ড) এলাকায় আনুষ্ঠানিভাবে বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ মহসিন মিয়া মধু।
এসময় বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর কাজী আব্দুল করিম, মীর এম এ সালাম, আলকাছ মিয়া, আব্দুল জব্বার আজাদ, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, টিটু দাস, মোবারক হোসেন, ভুট্টু মিয়া, কাজী আব্দুল গফুর, আব্দুর রহমান খান পাশা, ভুট্টো মিয়া, যুবনেতা মুরাদ হোসেন সুমন, ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন রাজসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, স্কুল কলেজের ছাত্র, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিক্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপণের মধ্যে ডিমের হালি ৪৫ টাকা, পেয়াজের কেজি ৯২ টাকা, রসুনের কেজি ২০০ টাকা, সোয়াবিন তেল লিটার ১৬২ টাকা, মসুরি ডাল কেজি ১০২ টাকা, চাল কেজি ৪৬ টাকা, আলু কেজি ৫৭ টাকা, প্রতি পিছ লাউ ৪০ টাকা, পেপে কেজি ২৭ টাকা, শসা কেজি ২৫ টাকা, লাল শাক কেজি ২৫ টাকা, লাচ্চা সেমাই প্রতি পেকেট ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিক্রয় কেন্দ্রে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্বল্প আয়ের মানুষেরা বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পেরে খুব খুশি। বিক্রয় কেন্দ্র থেকে নিত্যপণ্য কিনতে আসা এক রিকশা চালক বলেন, বিনা লাভের দোকান থেকে যে জিনিসগুলি কিনেছি সেগুলো অন্য জায়গা থেকে দিগুণ দামে কিনতে হতো। বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যেও একটা স্বস্তি ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
বিনা লাভে নিত্যপণ্য কেন্দ্রের প্রধান উদ্যোক্তা শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সদ্যসাবেক মেয়র মো. মহসিন মিয়া জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি`র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহবানে স্বল্প আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে আমি আমার নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে নিয়ে কমদামে নিত্যপণ্য বিক্রয় কেন্দ্র চালু করেছি। বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অসহনীয় হয়ে পড়ায় কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান দিতেই এই বিনা লাভের দোকান চালু করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যতদিন নিত্যপণ্যসহ সবজির বাজার সহনীয় পর্যায়ে না আসবে, ততদিন এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।