

অর্থনৈতিক রিপোর্টার:গত বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাসের তান্ডবে প্রায় স্থবির হয়ে গিয়েছিল বিশ্বঅর্থনীতি। বাংলাদেশের প্রধান শ্রমবাজারগুলোতে জারি ছিল কঠোর লকডাউন। ফলে এক বছর আগের এপ্রিলে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে ভয়াবহ ধাক্কা লেগেছিল। চলতি বছরের এপ্রিলেও মহামারী কাটিয়ে উঠেনি বিশ্ব। তারপরও দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রবাসীরা ২০৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমান প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের এপ্রিলে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার। সে হিসেবে এপ্রিলে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পবিত্র রমজান ও দুই ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে সবসময়ই রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়। তবে এবারের প্রবৃদ্ধি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের এপ্রিলে রেমিট্যান্সে বড় ধস এ বছরের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৬ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে ১ হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৩৯ শতাংশের বেশি।বরাবরের মতোই এপ্রিলে দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটি একাই ৬০ কোটি ৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এনেছে। অগ্রণী ব্যাংক ২১ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০ কোটি ২৮ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংক ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এনেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রবাসীরা আগের চেয়ে বেশি অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন। রেমিট্যান্সর বড় প্রবৃদ্ধি আমাদের অর্থনীতির জন্য আর্শিবাদ। রেমিট্যান্সে বড় প্রবৃদ্ধির কারনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। আমাদের রিজার্ভের পরিমান এখন ৪৪ বিলিয়নের বেশি। অন্যদিকে রেমিট্যান্সের কারনে ব্যাংকগুলোতে প্রতিনিয়ত নতুন তারল্য যোগ হচ্ছে। এতে দেশের মুদ্রাবাজার অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় এ মুহুর্তে অনেক বেশি লিক্যুইড।