

ঢাকা লকডাউনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ,আওয়ামী পরিবার,সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠনসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক,মানবাধিকার,পেশাজীবী,আইনজীবী সংগঠন সমুহের উদ্যোগে বুধবার (১২ নভেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সামনে অবৈধ ইউনুস সরকারের পদত্যাগ,আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক পাঁচ বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইসিটিসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা,বাকসু’র সাবেক জিএস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদিপ রজ্ঞন কর ও পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।
সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, অন্যতম উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রমেশ নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহীম বাদশা, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ বখতির আলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও কলামিস্ট এমএ করিম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন, শেখ হাসিনা মন্ত্রের সভাপতি জালাল উদ্দিন জলিল, বংগবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোর্শেদা জামান, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান মিয়া, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রফিক, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাখাওয়াত আলী, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সিরাজ উদ্দীন আহমেদ সোহাগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন, যুগ্ন সম্পাদক হেলিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম, জামাল বক্স, মাহমুদুর রহমান, ইফজাল চৌধুরী, পেনসিলভানিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রোকন সিকদার,বাংলাদেশ আওয়ামী ফোরাম ইউএসএ সভাপতি আবুল বাশার মিলন, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমানা আক্তার,যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহ্বায়ক শেখ জামাল হোসেন,যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার জাহিদুল ইসলাম,আওয়ামী লীগ নেতা একে চৌধুরী,যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম,নাজনীন সুলতানা পলি প্রমুখ।
সমাবেশে বাংলাদেশে কথিত অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের মদদে মানবাধিকার লংঘনের নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশে “পীচ এলায়েন্স এ্যাগেইনস্ট দ্য টেররিজম ইন বাংলাদেশ’ ব্যানার হাতে আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী-সমর্থকগণের এ কর্মসূচির আরেকটি ব্যানারে লেখা ছিল ‘শেখ হাসিনা আসবে-বাংলাদেশ হাসবে।’ জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে উত্তাল এ কর্মসূচি চলাকালে জাতিসংঘের কুটনীতিকরা থমকে দাঁড়িয়ে জানতে চেয়েছেন ‘বাংলাদেশে আবার কী হলো?’ এ সময় আয়োজকদের অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ‘ওয়ার ইয়্যার অব এ্যানার্কি/হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন ইন বাংলাদেশ আন্ডার দ্য ইন্টারিম গভর্ণমেন্ট’ শীর্ষক লিফলেট প্রদান করেন কৌতুহল প্রকাশকারি কুটনীতিকদের । সেখানে গত সাড়ে ১৪ মাসে ক্ষমতাসীন ইউনূস সরকারের মদদে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও হেফাজতে মৃত্যু, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়নতার তথ্য, ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, সামাজিক পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, গণতন্ত্র দমন, ধর্মীয় উগ্রবাদের বিস্তৃতি ও আইনের অপব্যবহার, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও সাংবাদিক নিপীড়ন, নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা লংঘন, প্রধান উপদেষ্টাসহ শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সকলেরই লাগামহীন দুর্নীতিতে লিপ্ত হবার তথ্য রয়েছে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মুহম্মদ ইউনূস ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধে লিপ্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয় এই কর্মসূচি থেকে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাবেশের সভাপতি ড. প্রদীপ রঞ্জন কর বলেন, একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে রাজাকার-আলবদর ও জামাত-শিবির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মুহম্মদ ইউনূসের ইঙ্গিতে একাত্তরের ঘাতকেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাঙালিদেরকে প্রকাশ্যে হত্যা করছে। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্রদানের সিঁড়িতে উঠানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর সাজানো মামলায় তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর পরিক্রমা চলছে। ধর্মীয় জঙ্গিদের কবলে পড়া বাংলাদেশ ডুকরে কাঁদছে। বিশ্ব মানবতার দৃষ্টি কামনা করেছেন এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারিরা। এ সময় আরো অভিযোগ করা হয় যে, ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি শ্যামল দত্তসহ প্রথিতযশা ১৪ সাংবাদিককে আটক রাখা হয়েছে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ছাড়াই। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠির অন্যায়-অপকর্মের সমালোচনা বন্ধে রাজনৈতিক কর্মী ও গণমাধ্যম কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল সাংবাদিক ও রাজনীতিকদের মুক্তি এবং দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে জাতিসংঘের মহাসচিব বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।