

বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক বৃটিশ কাউন্সিলর এম এ রহিম সি আই পির বিরুদ্ধে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার মাল্টি মিডিয়া ডেস্কে প্রচারিত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল অপপ্রচার করে তার মানহানি সহ আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা কতৃপক্ষকে এ ব্যাপারে অবহিত করার চেষ্টা করেছি এবং তাদের কাছে অনুরোধ করেছি যাতে তারা তাদের পত্রিকায় প্রতিবাদ প্রকাশ করেন কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি তাই সত্য প্রকাশের জন্য নিরুপায় হয়েই আমি অন্যান্য গণ মাধ্যমে প্রতিবাদ প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি।
প্রতিবাদ পত্রে তিনি বলেন আমি যুক্তরাজ্য প্রবাসী একজন সাবেক কাউন্সিলার ও কমিউনিটি সংগঠক। আমি ৪৩ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছি। ১৯৯৩ সালে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের বেথনাল গ্রীন নেইবারহুডের চেয়ারম্যান ও ১৯৯০-১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এডুকেশন কমিটির লিড মেম্বার ছিলাম।
সম্প্রতি দৈনিক আমার দেশ অনলাইন মাল্টি মিডিয়া ডেস্কে আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রচার করা হয়েছে যে-বাংলাদেশকে অকার্যকর করার লক্ষ্যে ডিজিটাল নেটওয়ারক পরিচালিত বিভিন্ন হোয়াটস গ্রুপে আমি আর্থিক সহায়তা প্রদান করছি। এই সংবাদে আমার ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে।এই সংবাদটি ইউটিউব সহ বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মে প্রচারিত হওয়ায় আমি বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
এই প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এহেন কোন কাজে কখনো জড়িত নই। আমি দেশ বিরোধী কাজ করার জন্য কোন ব্যাক্তি বা গ্রুপকে আর্থিক সহায়তা করিনি। আমার প্রতিপত্তি ও সম্মান হানি করার জন্য হিংসার বশীভূত হয়ে কোন দুস্কৃতকারী আমার ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে এ জঘন্য কাজ করেছে।
উল্লেখ্য যে, আমি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলাম। গত ৫ আগষ্টের বিপ্লবের পর আমি যুক্তরাজ্যে আওয়ামীলীগের যে কোন কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হইনি। বিগত এক বছরে আমি সংগঠনের কোন কার্যক্রমে যোগদান করিনি। কোন ব্যক্তি আমার যোগদানের কোন ছবি বা প্রমাণ দেখাতে পারবে না। আমি বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে “জেলা পরিষদ নির্বাচনে” চেয়ারম্যান পদে দুইবার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছি।
এম এ রহিম সি আই পি এর ব্যাপারে জানতে যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ইউকের সভাপতি ,বিশিষ্ট সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী সহ যে কোন সাংবাদিককে জিজ্ঞাসা করলে সত্যতা যাচাই করা যাবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো উল্লেখ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান আমার পরিচিত। আমার বাসায় বহুদিন আসা যাওয়া করেছেন। উনার নিকট আমার সম্পর্কে যে কোন তথ্য জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থেকে আমি কাজ করছি। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১১ বার সি আই পি নির্বাচিত হয়েছি।প্রবাসী হওয়ার পরও আমি আমার নিজ এলাকা মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলায় শিক্ষা কার্যক্রম বিস্তার ও এলাকার উন্নয়ন করার লক্ষ্যে গড়ে তুলেছি শমসেরগন্জে ডিগ্রী কলেজ, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা, মসজিদ, প্রাইমারী স্কুলসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
তাই সকলের নিকট অনুরোধ থাকবে আপনারা এই ধরণের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। আমি আজীবন একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।