চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর আগে এপ্রিলে দেয়া পূর্বাভাসে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছিল সংস্থাটি, যা কমিয়ে নতুন পূর্বাভাসে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে হিসাব করেছিল, তা ৬ শতাংশে উন্নীত করেছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) প্রকাশিত সংস্থাটির ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক শীর্ষক প্রতিবেদনসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আইএমএফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ২০২২ সালে ছিল ৩.৫ শতাংশ; যা চলতি বছরে নেমে আসবে ৩ শতাংশে, এবং ২০২৪ সালে আরও কমে দাঁড়াবে ২.৫ শতাংশে। ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতি যে ৩.৮ শতাংশের গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, সেই বিচারে এটা ঐতিহাসিকভাবে নিম্ন অবস্থান। তবে বিশ্ব অর্থনীতির পূর্বাভাস পরিবর্তন করেনি সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূবাভাস কমানোর এক সপ্তাহ পরে আইএমএফ তাদের প্রাক্কলনও সংশোধন করলো।
জ্বালানির উচ্চমূল্য, আমদানি হ্রাস, ব্যাংকখাতে ডলারের ঘাটতি এবং খুবই ধীরগতিতে মুদ্রানীতি সংকোচন এজন্য দায়ী বলে জানায় বিশ্বব্যাংক। এসব কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫.৬ শতাংশ হতে পারে।
এর আগে এবছরের এপ্রিলে দেয়া পূর্বাভাসে চলতি অর্থবছরের জন্য ৬.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট, নিউ ফ্রন্টিয়ার্স ইন পভার্টি রিডাকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র অনিশ্চয়তাকে অন্যতম প্রধান ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে। একইসঙ্গে বাহ্যিক খাতের স্থিতিশীলতা ফেরাতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের বিচ্যূতি সংশোধন এবং বিনিময় হারে সীমা প্রত্যাহারের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে।
অর্থাৎ, আমদানি ও বিনিময় হারের বর্তমান পরিস্থিতিকে অন্যতম ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছে দাতাসংস্থাটি। এগুলো সমাধানে ব্যর্থতা দেশের প্রবৃদ্ধিকে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসের চেয়েও কম হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলবে।
এছাড়া, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর কাছে সরকারের ভর্তুকিমূল্যে সরকারের খাদ্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ সত্ত্বেও, মূল্যস্ফীতিতে দরিদ্রদের দুর্দশা অব্যাহত থাকবে। স্বল্পমেয়াদে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।
নিউজ /এমএসএম