মানুষের প্রতিটা কষ্টের সঙ্গে সুখ মিশে আছে। ধৈর্যশীল মানুষ সেই সুখের অপেক্ষা করেন। তারা জানেন, জীবনে যত ঘোর আসুক না কেন, এক সময় তা কেটে যাবে। কষ্টের এ সময়গুলোতে ধৈর্য্যের সঙ্গে অবিচল থাকাই মুমিনের গুণ।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দুঃখ-কষ্টে ফেলেন।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৬৪৫, মুসনাদে আহমদ, হাদিস, ৭১৯৪, মুওয়াত্তা মালেক, হাদিস, ১৭৫২)
যখন আল্লাহ তার বান্দার কোনো কল্যাণের ইচ্ছা করেন, জান-মাল ও সন্তান বিষয়ে তাদেরকে পরীক্ষায় ফেলেন, যাতে তা তাদের গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ হয়। নিঃসন্দেহে বলা যায় এটি তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতে উত্তম।
দুনিয়াতে উত্তম হওয়ার কারণ হলো, বিপদে পড়ার কারণে দোয়া, মোনাজাত, কান্নাকাটি ও অক্ষমতা প্রকাশের মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ফিরে যায় মানুষ। এর মাধ্যমে মানুষ জাগতিক বিভিন্ন অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকেন।
আর আখিরাতে উত্তম হওয়ার কারণ হলো, গুনাহ মাফ হয় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন।’ (সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত, ১৫৫)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘প্রতিটি কষ্টের সঙ্গে অবশ্যই কোনো না কোনো দিক থেকে স্বস্তি রয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই, অবশ্যই প্রতিটি কষ্টের সঙ্গে অন্য দিকে স্বস্তি আছেই।’ (সূরা আল-ইনশিরাহ, আয়াত, ৫-৬)
নিউজ /এমএসএম