বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাদকসেবী ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্মের প্রতিবাদে নবীগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত প্রবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ট্রাইবুনাল গঠনের দাবি আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মা দিবসে বৃদ্ধাশ্রমে খাবার পরিবেশন পঞ্চগড় সীমান্তে নীলগাই উদ্ধার হবিগঞ্জে ইজিবাইক চড়া নিয়ে সংঘর্ষ আহত ৪০ পুলিশের অভিযানে নগদ অর্থসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক মানব কল্যাণে ধম্মকথা’র দিনব্যাপী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত চালকের অসাবধানতায় শ্রীমঙ্গলে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত মৌলভীবাজার ওয়েলফেয়ার এন্ড এড্যুকেশন ট্রাষ্ট ইউকের সেমিনার ও ডিনার পার্টি অনুষ্ঠিত

সনদ জালিয়াতি

৬৭৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
  • ১২৮ এই পর্যন্ত দেখেছেন

সনদ জালিয়াতি করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয়া ৬৭৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার ফৌজদারি আইনে মামলা হচ্ছে। জাল সনদে চাকরি নেয়ার শাস্তি হিসেবে ফেরত দিতে হবে চাকরিকালীন উত্তোলন করা বেতন ও ভাতার পুরো অর্থই। পাবেন না অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধাও।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে বের হয়ে আসে জাল সনদ ব্যবহার করে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের ৬৭৮ জন শিক্ষকের চাকরি নেয়ার বিষয়টি।

যাদের অধিকাংশই নিবন্ধন পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। ফলে সুপারিশ করা হয়, এসব শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণের। নির্দেশ দেয়া হয় গৃহীত বেতন-ভাতা ফেরত দেয়ারও। চাকরির মেয়াদের শেষ পর্যায়ে থাকলেও অবৈধ সনদ ব্যবহারকারী শিক্ষকরা পাবেন না কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধার অর্থও।

সনদের জাল জালিয়াতির বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ। তাই অবৈধ নিয়োগ পাওয়া ৬৭৮ জন শিক্ষককে আইনে বিচারের মুখামুখি করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, অভিযুক্তরা যে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, সেগুলো তো ফেরত দিতেই হবে, সেইসঙ্গে প্রতারণা করার জন্য তাদেরকে ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হতে হবে।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, তালিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কল্যাণ ট্রাস্ট ও চাকরির পর যেখান থেকে সুযোগ সুবিধা পায়, সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছি। কাজেই সেখান থেকে সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।

জাল সনদে চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের নৈতিক স্খলনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির ভিন্ন উদ্দেশ্য এবং এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার দুর্বলতাকে দায়ী করছেন শিক্ষাবিদরা।

এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাল সনদ জমা দিয়ে যে শিক্ষকরা চাকরি পেয়েছেন, তাদের হয়ত বেতন-ভাতা কেটে নেয়া হবে বা তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হবে। সেটা ঠিকই আছে। তাদের অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু এই অপরাধের সঙ্গে আরও যারা যুক্ত আছেন, তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102