মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানি, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র (৭২) রবিবার (৭ মে) বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে চট্রগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি হৃদরোগ ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভূগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ২ মেয়ে, অসংখ্য আত্মীয়–স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রবিবার রাত ৮টায় নগরীর মিউিনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের শহীদ মিনারের সামনে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি–বাকলিয়া) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জামিউল হিকমার নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল কবীরসহ পুলিশের একটি চৌকশ দল প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্রকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। একইসাথে সিএমপি কমিশনারের পক্ষে প্রয়াতের সন্তানের হাতে একটি শোক ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। এরপর রাতে নগরীর বলুয়ার দীঘিস্থ অভয়মিত্র মহাশ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াতের সৎকার সম্পন্ন করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্রের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম এ লতিফ এমপি, নবনির্বাচিত এমপি নোমান আল মাহমুদ। সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আশীষ নন্দী এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এহছানুল আজিম লিটন, ইউকে বিডি টিভি পরিবারের পক্ষে ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মকিস মনসুর ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ইন্জিনিয়ার খায়রুল আলম লিংকন, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নুরুল ইসলাম, কালচারাল প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর হেলেন ইসলাম, ইউ কে বিডি টিভি ডট কমের সম্পাদক কাওছারুল আলম রিটন, বার্তা সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ প্রয়াত অমল মিত্রের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম শহরের দুর্ধর্ষ গেরিলা অভিযান পরিচালনাকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মৃত্যুর পরোয়া না করে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট পরবর্তী কঠিন সময়ে তিনি চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগকে ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকে সুসংগঠিত করতে তার ভুমিকা অনস্বীকার্য। চট্টগ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখে তিনি সবসময় পাশে ছিলেন। দলের চরম দুর্দিনে পরম মমতায় কর্মীদের তিনি আগলে রেখেছিলেন। তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন।
মরহুমের ছেলে বিশিষ্ট কবি, উপস্থাপক,বাচিক শিল্পী ও ব্যাংকার শান্তনু মিত্র তার প্রয়াত বাবার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করার জন্য দেশবাসীর নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।