‘ভ্যাটিকান সিটি’র প্রধান ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিন্সের সঙ্গে রাজধানী রোমের ভ্যাটিকানে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি। তাদের এই আলোচনা সভাটি ৩০ মিনিটের বেশি স্থায়ী ছিল।
৪৫ বছরের এই নারী রাজনীতিবিদ নয়দিনের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ভ্যাটিকানে এলেন। এর আগে সরকারকে আর্শীবাদ করায় ১ জানুয়ারি একটি ভিডিও ম্যাসেজে ইতালির প্রথম ডানপন্থী নারী প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলানি পোপ ফ্রান্সিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টকে বলেছেন, ‘বিশ্বাস ও কারণের একজন বিরাট ব্যক্তিত্ব, যার অভাব প্রত্যেকে অনুভব করবেন।
মেলোনি ছিলেন প্রথম ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন, যারা সদ্য মারা যাওয়া পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সেন্ট পিটারর্স বাসিলিকাতে। তিনি এসেছিলেন ২ জানুয়ারি ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জো মাতারেল্লার সঙ্গে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী পোপ এমিরেটাসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানেও ৫ জানুয়ারি অংশগ্রহণ করেছেন।
মেলোনি তার সাক্ষাৎপ্রাথী দলের সঙ্গে নিজের ছয় বছরের মেয়ে জিনেভ্রাকেও নিয়ে এসেছেন পোপের সঙ্গে দেখা করাতে। সেও তার মায়ের সঙ্গে তাদের ধর্মের প্রধান ধর্মগুরুর সঙ্গে কথা বলেছে। তার মা ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী। পোপের প্রধান কার্যালয় অ্যাপোলোসটিক প্যালেসে তাদের আলোচনা ও সাক্ষাৎ হয়েছে। তারা দুজনে উপহার বিনিময় করেছেন।
এরপর ইতালির প্রধানমন্ত্রী ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলনির সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি আলোচনা করেছেন ভ্যাটিকান রাষ্ট্রের যোগাযোগ সচিব আর্চবিশপ পল রিচার্ড গ্যালেগাহরের সঙ্গে।
একই দিন ১০ জানুয়ারি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উজুলা ফন ডেয়ার লায়েনের সঙ্গে আলোচনা সভা করেছেন।
ভ্যাটিকানের ভাষ্য অনুসারে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী ও পোপ ফ্রান্সিসের আলোচনায় তাদের দেশের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে পরিবার, গণতান্ত্রিক অবস্থা, দারিদ্রতা ও শিক্ষা গুরুত্ব পেয়েছে। বিদেশের বিষয়াদিতে ইউরোপ, অভিবাসন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ আলোচিত হয়েছে।
মেলানি ইতালির ইতিহাসের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তার ডানপন্থী দল ‘ব্রাদাস অব ইতালি’ বা “ফ্রাতেল্লি দি’তাল্লিয়া’ ২০২২ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর। তার রাজনৈতিক মঞ্চ ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক কাঠামো, জাতীয় পরিচয় ও দেশের খ্রিস্টানদের শেকড় ও ধারাগুলোকে সমর্থন করে।
নিউজ /এমএসএম