রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে জাতীয় পতাকা স্ট্যান্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত মাধবপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪ পঞ্চগড়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নবিজুল ইসলাম সমাহিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ওয়েলস আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপিত পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের যা করার দরকার তা আমরা করব পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় শ্রেষ্ঠ থানা শ্রীমঙ্গল উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে পালিত হলো বাংলা নববর্ষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ অন্যান্যদের বিরদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আমনের ভালো ফলনের প্রভাব নেই চালের বাজারে

বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা
  • খবর আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৭৯ এই পর্যন্ত দেখেছেন

শস্যভাণ্ডারখ্যাত চলনবিলের বড়াইগ্রামসহ পাশের উপজেলাগুলোর মাঠে মাঠে রোপা ও বোনা আমন ধানকাটা শুরু হয়েছে। কৃষাণ-কৃষাণিরা ধানকাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বর্তমানে বিভিন্ন হাটবাজারে নতুন ধান বেচাকেনাও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু নতুন ধান উঠলেও চালের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন জাতের চালের দাম কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা বেড়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৫ হাজার ৯২৩ হেক্টর জমিতে রোপা ও তিন হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধানের চাষ হয়েছে। কার্তিকের মাঝামাঝিতে ধানকাটা শুরু হয়েছে। উপজেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র মৌখাড়াহাটসহ লক্ষ্মীকোল বাজার, আহম্মেদপুর, বনপাড়া, রাজাপুর ও জোনাইলসহ অন্যান্য বাজারে নতুন ধান বিক্রিও শুরু হয়েছে।

বাজিতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক ও রিপন হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে সার ও তেলের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি চলতি মৌসুমের শুরুর দিকে প্রচণ্ড খরা থাকলেও পরে বৃষ্টি হওয়ায় আমনের মোটামুটি ভালো ফলন হয়েছে। এবার হাইব্রিড জাতের ধানি গোল্ড ও তেজ ধান বিঘাপ্রতি ২০ মণ এবং ব্রি-৮৭, ব্রি-৪৯, ব্রি-৩৯, বিনা ৭ ও বিনা ১৭ জাতের ধান ১৫-১৬ মণ হারে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ধানের এমন ফলনে চাষিরা বেশ খুশি।

গতকাল বুধবার সরেজমিন বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য বছর নতুন ধান বাজারে এলে দাম কিছুটা কমে। কিন্তু এবার ভরা মৌসুমেও দাম না কমে উল্টো বেড়েই চলেছে। ফলে ভরা মৌসুমে নতুন ধান উঠতে শুরু করলেও চালের দাম বেড়েই চলেছে। চলতি সপ্তাহে বাজারে নতুন ব্রি-৯০ ধান প্রতি মণ ১৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়।

একইভাবে ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১ সহ স্থানীয় জাতের ধানের দামও বেড়েছে। ফলে ধান কাটার ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি, বরং প্রতি কেজি চালের দাম ৩-৪ টাকা বেড়েছে। উপজেলার হাটবাজারগুলোতে ৭-১০ দিন আগে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪৪ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৪৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪৯ জাতের চাল ৪৩ টাকার জায়গায় ৪৫ ও কাটারিভোগ ৬৩ টাকার জায়গায় ৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লক্ষ্মীকোল বাজারের চাল ব্যবসায়ী সাজেদুর রহমান জানান, বাজারে নতুন আমন ধান ওঠা শুরু করেছে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কমার পরিবর্তে বাড়ছে। এ কারণে চালের দামও কমার পরিবর্তে বেড়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা জানান, উপজেলায় আমন ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। তবে অগ্রহায়ণে ধান পুরোপুরি কাটা হয়ে গেলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে তিনি জানান।

ইউকেবিডিটিভি/ বিডি / এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102