তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) সংবাদদাতা : গতকাল সোমবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ড্রেজার মেশিনে পাথর উত্তোলনের দায়ে ফারুক (৩৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া বড়বিল্লাহ নামক স্থান হতে পাথর উত্তোলনের সময় ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি একই ইউনিয়নের কালারাম জোত গ্রামের মৃত.শহিদুল ইসলামের পুত্র।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই মাটির তলদেশ হতে অবৈধভাবে ড্রেজিং মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ড্রেজিং মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলন এর খবর জানতে পেরে দর্জিপাড়া বড়বিল্লায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় সরঞ্জামসহ জব্দ করে ফারুককে আটক করা হয়। কয়েকদিন ধরেই ওই স্থানে মেশিনের সাহায্যে পাথর তোলা হচ্ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত ফারুক বলছেন, আমি মূলত পাথরের ব্যবসা করি। ওই স্থান থেকে আমি পাথর কিনে থাকি। বিশেষ করে এ মেশিন দিয়ে পাথর তোলা হচ্ছে না। পানি নিস্কাশনের জন্য এ মেশিনটি আনা হয়েছে। এটি বালু কাটার কাজ করে থাকে।
জানা যায়, ২০১৯ সালে জুলাইতে পঞ্চগড়ে পুলিশ সুপার হিসেবে মুহম্মদ ইউসুফ আলী যোগ দেয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় পরিবেশ বিধ্বংসী ড্রেজার মেশিনে পাথর উত্তোলন। এরপর থেকে থেমে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি মাথা চারা দিয়ে উঠছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনকারী চক্র। ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে ৬০-৯০ ফুট গভীর থেকে পাথর উত্তোলন করতে দেখা যাচ্ছে। এতে করে মাটির নিচে শুন্যতা সৃষ্টি হয়ে ভূমিক্ষয়, ভূমিধস, ভূমিকম্পনসহ কৃষি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র মারাত্মকভাবে বিপর্যস্তের মধ্যে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে পাথর তোলার অপরাধে ফারুক (৩৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের ১৫ (৩) ধারায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অবৈধভাবে যাতে কেউ এভাবে পাথর উত্তোলন করতে না পারে সে বিষয়ে মডেল থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে।