স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইংল্যান্ডের মানুষ যারা তিন বেলা খেত, তারা এক বেলা খাবার বাদ দিয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবা না, সীমিত আকারে ব্যবহার কর। ভোজ্যতেল এক লিটারের বেশি কেউ কিনতে পারবে না। সুপার মার্কেট থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। ইউরোপের কোথাও কোথাও ১৭ শতাংশ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তানে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘বাঙালির মুক্তি সনদ ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ আলোচনা সভায় তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান যে অবস্থা, একদিকে করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, তার ওপর ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। এই যুদ্ধের কারণে আজকে যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, উন্নত দেশে মুদ্রাস্ফীতি…লন্ডনে, ইংল্যান্ডে ১০ ভাগে উঠে গেছে। আমেরিকায় যেখানে এক থেকে দেড় ভাগের বেশি মুদ্রাস্ফীতি থাকত না, সেখানেও ১০ ভাগের ওপরে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারপরও যদি কেউ গোলমাল করার চেষ্টা করে, তাহলে এ দেশটা যদি একেবারে স্থবির হয়ে যায়, সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? তবে একটা কথা বলতে পারি, আমাদের গ্রামের মানুষের অবস্থা এখনও অনেক ভালো আছে। সেটা যেন ভালো থাকে সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভর্তুকি দিয়ে দিয়ে দ্রব্যমূল্য অন্তত নিয়ন্ত্রণে যতটুকু পারি রাখছি। প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি। আমাদের রিজার্ভ যে ৪৮ বিলিয়নে তুলেছিলাম, সেই রিজার্ভের টাকা ভেঙে ভেঙে বিদ্যুতের জন্য, গ্যাসের জন্য, কৃষির জন্য, স্বাস্থ্যের জন্য ভর্তুকি এবং সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। এভাবে কোনো দেশ কিন্তু করেনি।’
ছয় দফা দিবসের আলোচনায় পাকিস্তান গঠনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত পশ্চিমা শোষণে নানা দিক উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।
ছয় দফা প্রণয়নের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন ছয় দফা প্রণয়ন করেন, বঙ্গবন্ধু নিজে এটা বলতেন, লিখতেন। হানিফ (অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) সেটা টাইপ করতেন। কাজেই ছয় দফার মূল প্রণেতা তিনি নিজেই এবং এটা শুধু একমাত্র মোহাম্মদ হানিফ জানতেন। কারণ তিনি সেটা ইংরেজি-বাংলা টাইপ করে ওনার (বঙ্গবন্ধু) হাতে দেন।
ইউকেবিডিটিভি/ বিডি / এমএসএম