সেই মেয়েটার মৃত্যুর গল্প
ভুল স্বীকারের গুপ্ত ভয়ে
পাঁচ পা নিঃশব্দে পিছিয়ে যেতেই নিজের জন্য তুচ্ছ হয় গোটা জীবনের সঞ্চয় !
নানা আয়োজনে ভেতরটুকু বহুবার ঢেকেছেন কৃতকৌশলে একান্ত নিজেকে ; অতলান্তে অশান্ত আত্মবীজ ঈশ্বরীও স্তব গানে লক্ষজনের ভেতরও একা ও একক হয়ে মিথ্যা মিথ্যা নিছক হেয়ালীতে হাসে ও দাপটে কথা বলেন ! তবু অতন্দ্র চেষ্টা তাঁর প্রতিদিনের রাত ঘুমে সিংহাসন লোভা স্বপ্নে বহতা বিভোর !
এই এক মাসের ভেতর ধর্ষিত মেয়েটার খুন হবার খবর পেয়ে গেছে দেশ দেশান্তর , রাতের অন্ধকারে পথে পথে মোম শিখার আলোয় এক আকাশ আবেগে বিচার চেয়ে চলেছে কত শত হাজার – লক্ষ প্রতিবাদী মুখের দল !
ওদের রক্তাক্ষরে লেখা পোষ্টার গুলো নৈঃশব্দের ভেতর উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে সারা রাতের লাইভ টেলিকাস্টে !
সেদিন অন্য কিছু অচল নিভৃত দশায় চাঁদ ছিল অলৌকিক নির্বাসনে ; তুমি ছিলে প্রতিরাতের মত শান্ত নিরবে একক ……..
রাস্তার আনাচে কানাচে খুন হয়ে যাওয়া অসহায় প্রেত ছায়াগুলো চোখে ভর রেখে নিঃশব্দে পা ফেলে ফেলে হেঁটে গেছে লাশকাটা ঘরের দরজার কাছে ! তোমাকে শেষবারের মত দেখতে ,……
শেষ একবার অন্য দিনের মত ওই দিন ঘুমন্ত ছিলে তুমি ; পরবর্ত্তী অথৈ প্রহরে নষ্ট সময়ের বাতাবরনে সহজ সত্য ভাবে ঘুম থেকে উঠে হাত ঘড়িতে সময় দেখনি সেদিন !
সেই কুটিল ক্ষণ প্রবাহে চাঁদ – তারা – আকাশের মতই বাতাসও স্তদ্ধ ছিল নিঃশব্দ অবিরাম ,….. অপৌরুষ কুলাঙ্গার রূপী কুৎসিত্ লোলুপ থাবা গুলো ঘৃণ্য নখড়ে তোমার পবিত্র নারীত্বের আদোলকে করে ছিল ক্ষত বিক্ষত , ….. তোমার অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর বুক ফাঁটা আর্তনাদের ভাষাহীন স্তবক বন্ধ ঘরের চার দেওয়ালের দরজা ভেঙে সভ্যতার কর্ণ কুঠরিতে তখনো এসে ঘুম ভাঙায়নি উঁচু আকাশের মহামান্য তারাদের ! সময় ধরে ধরে তুমি একটু একটু করে তখন মরে যাচ্ছিলে , …..
তোমার করুণ আর্তনাদের ভেতর দয়া মায়াহীন ভদ্র সেজে থাকা ছদ্মবেশী পাষন্ড শয়তান গুলো আদীম হিংস্র অসভ্যতায় এক এক করে ছিড়ে খাচ্ছিল তোমার নিঃষ্কলঙ্ক শরীর ; একে একে বহুরূপ উত্তেজনায় গর্ভগৃহে ঢেলে দিয়ে ছিল বিষাক্ত যৌন হলাহল !
হে প্রাণ প্রতিমা ক্ষণজন্মা মাতৃ রূপিনী বিশ্ব জননী নারী ; তোমার বিদায় ক্ষণে বিসর্জনের ঢাক মৃদু কান্নায় আচম্বিতে বেজে উঠলো আশ্বিনের শারদ প্রাতে শিশির ভেজা শুভ্র সকালে ।
——————————————————————————-
ছায়াপাখি
বেশ কিছু সত্য আঁধার আঁকা পথে বিমুর্তের ছদ্মবেশ নিয়ে কষ্টে – শিষ্টে হেলেদুলে চলে ! ছায়াপাখী অশরীর তবুও সে ইন্দ্রিয়ঘন ; তন্নিষ্ঠ স্বপ্নের কাছে ,—–
যদিও দর্পণে জ্বলে যায় সংরক্ত লোভের সুকুমার দেবদূত ৷
কেউ কেউ জ্যোৎস্নায় ভেজায় সপ্রতিভ অবিশ্বাস ; তবু সত্যের চেহারা নিয়ে অর্ধেক পুরুষ মৃত মনটাকে বেহুঁশ পরিবেশের ভয় দেখায় !
অনেকটা গ্লানি স্মৃতি ধারণ করে আজীবন বাঁচে ; শেষ রাতের মন্ত্র শুনে রাস্তার মৃত গাছে বসা ডানাহীন একলা একক সত্যবান পেঁচা আয়ুভীক্ষা করে যাবতীয় ঈশ্বর দেবতার কাছে !
ঘুম ঢাকা প্রহর ; নতমুখ সুদীর্ঘ সময়ের ভীড়ে কী যেন ভেবেছে এতকাল ! এরই মধ্যে বোবা ইতিহাস পাশের রাস্তায় অচেনা গাম্ভীর্যে মনে মনে বলে ওঠে বিবেক দংশনের গল্প !!
___________________________________
কথা চরিত্র
নষ্ট কালবেলায় হাতের মুঠোয় জীবনবোধের ইঙ্গিত :
সেই লেখাটার মন খারাপ হলে আমিও ডুবি এই ভাবেই !
এটা একটা অন্য ভাবের খেলা ; অন্য রকম কবিতার
নির্মাণ হওয়ার ছল !
কথা চরিত্রের
আগুন পোড়া মাটি
শব্দ ও অক্ষরের মধ্যে হারানোর মিথ্যে নাটক !
যদিও আমি একান্ন ভাগ মৃত এবং দুর্বিনীত
মন পদ্যের মধ্যে থেকে অনেকটাই আলাদা ভিন্ন আমি ।
নষ্ট নষ্ট গন্ধ কানে নিয়ে
আড়ি পাতি অন্য কোন পথে , —
এসব কথা বলতে গিয়ে মন পুড়ে যায় !
তুই কিন্তু লিখিয়ে নিয়েছিস সেই কবিতা , …..
আবার কেন অন্য ভাবে অন্য কিছু চাই-তে এলি নবনীতা ?
এবার আর-একটু থাক , বেঁচে থাকার কথা ভেবে !
শেষ স্তবকের শব্দ গুলো ভীষণ অশ্লীল
তুই এবার নগ্ন হতে পারিস !!
___________________________________
অবশেষ স্বীকারোক্তি
আসেপাশের শব্দগুলো আকাশ পাড়ের নক্ষত্র দেখে চোখ বুজতেই ; বোতামবিহীন স্বপ্নরা অদূরনত আবেগে মন ভাসালো সোহাগ প্রেমে ! ওই যে সেই আমি সর্বনাশের কাছে ভীষণ লজ্জাহীন ; তবু আমার আকাশ মাখা আমিত্বটুকু কোথায় রাখি , তোর চরণে ? সেই যে চোখে প্রথম আমার প্রথম ডুবে যাওয়া ! হয়তো সেদিন না ফেরার রাস্তাটাকে নীল আকাশে ছড়িয়ে দিতে দিতে কতবার যে বলেছি ; নবনীতা আমি তোকেই ….
হঠাৎ করে বৃষ্টি এলে ; মন পুড়তো শ্রাবণ ধারায় ! কত রকম বিষাদ বিষাদ গান শোনাতো আকাশবাণী ,—- অথচ আমার সেই বয়সে চোখ ফেরানোর সময় হয়নি তোর ভিজে শরীর দেখে ! কতোই যে স্বপ্ন আঁকার ভ্রাম্যমান স্মৃতি না ফাগুনের সুগন্ধি দেয় ; ওসব ভাবেলে এই মনে হয় আমি যেন আগের মত হারিয়ে যাচ্ছি !
এখন এই সময়টা অনেকটাই বোবা হয়ে আছে ; অন্য এক রাস্তা এসে প্রাচীন জন্মের স্বপ্নগুলোকে কৃষ্ণাদ্বাদশীর রাতে কপোট নিঃসঙ্গ করে রাখে ! তবুও বুকের মধ্যে মায়াময় স্তব্ধতা দীর্ঘশবাসের ভাষা খোঁজে ,—– এভাবেই ব্যক্তিগত ভাবে জ্বলি ; যতটা জ্বলি তার থেকে বেশি পুড়ি উদাস একাকীত্বে ! সবটাই এখন প্রতিদিনের শান্ত নীরবতায় চোখ বুজে অপলক চেয়ে থাকে বুকভর্তি সত্যবদ্ধ অভিমানে !
এভাবেই একসাথে শরীরহীন স্মৃতিগুলো আমাকে ডিঙিয়ে চলেছে ;
এই ব্যকুলতা দর্পণে দেখা দিলে আমিও আগের মত সহজে নির্বোধ হই ! অবেলায় চাঁদ ডোবে অন্য আকাশে ,—- সেই চাঁদ পথ ভুলে এসেছিল এই ঘরে জানলার কাছে ; কী ভাবে কেন জ্যোৎস্নাবিদ্ধ হয়েছি কবিতার পরতে পরতে !
সংখ্যাতীত নির্জনতা চোখের মধ্যে নির্ঘুম একক ; কবিতার শব্দ ছায়াগুলো স্তব্ধতায় বস্তুঃত নির্জিব ! অথচ এখানে আমার নিরীহ নিঃশ্বাসে প্রেমহীন , বন্ধবহীন সময় কেঁপে কেঁপে ওঠে …… !
কিছু একটা নিষিদ্ধ গন্ধে বহু কষ্টের গুছিয়ে রাখা স্মৃতি ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে ; আমি যেন সেই থেকে একই চিতায় জ্বলছি !
সেই যে শেষবার অবিকল আঙ্গুলের নখ দিয়ে নির্ঘুমে ঘরের দেওয়ালে পলেস্তরা ঘসিয়ে তোর নাম লিখতে লিখতে অন্ধকুঠুরির নিভৃত দরজা খুলে গেছে ; সেই পথে কোথাকার অবিশ্বাস আমাকে আদিখ্যেতা দেখিয়ে ডেকেছে ! পুড়ে উঠি , জ্বলে উঠি ,— কিরে নবনীতা ; একবার নিষিদ্ধ মৃতদেহে একবার অশ্রু ঝরা ! যাতে প্রতি জন্মের মৃত্যু নিয়ে আমি পুড়ি সুকুমার নির্জনে !!
___________________________________
ক্যালেন্ডারে পঁচিশটা রাত
একটু ঝুঁকেছি যেই ; ওধারে দেখান্দ্রিয়ের শুক্লা চতুর্দশীর কথা ঋতুগন্ধ ছড়ায় ! যদিও মন বেঁধে বেঁধে প্রায় শব্দহীন আমি , তবু পুজারীর আসোনের পাশে কোঁষাকুশি এভাবেই অবিবেচক নিরব ! পুজ্যপাদ প্রিয় পুরুষ প্রতিবিম্বের বিপরীতে নপুংশক ; অথচ সমবেত ইচ্ছাগুলো এর ভেতর মাথা ঠেলে উস্কানি দিতোই , যদি আমি নগ্ন হতাম ….. !
আমিতো অশারীরীক হয়েই স্মৃতি নির্ঘুম এবং প্রত্যন্তে নির্জন !
রোমকূপ থেকে জন্ম এক ঋষি কন্যা ; যার যোনিপদ্মের ঘ্রাণে ভূত – প্রেত – অপ্রমেও দেবতারাও প্রতিপলে হস্তমৈথুন করে কল ঘরে রোজ !
এভাবেই ক্যালেন্ডারে রাত ডুবে সকাল দেখা দিলে হৃদয় খুলে বেরিয়ে আসতে কিছুটা সময় হারিয়ে যায় ; প্রচীন শিক্ষক রতি মিলনের সিলেভাস নিয়ে ছোটে প্রিয়তমা ছাত্রীর দেহগন্ধ নিতে ছাদের রেলিং এর তারে ঝোলানো ছেঁড়া ফ্রকে !
এতোকাল চলেছে আমাকে নিয়ে খেলা ; বাসর ঘরে নগ্ন হবার ডাক আসে কাপুরুষের চোখের ভাষায় !
গভীরে বীজ পুঁতে দেয় আদেখা ঈশ্বরের নামে ; এর পর দশ মাস , দশ দিন ….. !
একটা জীবনেই নারী হয়ে ওঠা ! একটা শরীরে চলে মন পোড়া দহন !
এভাবেই পুরুষ পোকারা আমার রক্ত চোষে অতৃপ্ত রাতে – রাতে – রাতে এবং সূর্য ওঠার কিছু আগে !
বেঁচে আছি নিভৃতে এভাবেই ; খেলনা ঘরের পুতুল গুলো মুখস্ত মুদ্রার মতই অপাঠ্য হু-হু শূন্যতায় মাখা , তবুও স্বপ্ন থেকে বেরিয়ে না আসার কঠিনতম নিপুন ব্যাকরণ ছোট থেকেই পুরুষের চোখের খিদে মেটায় !
বরং ওষধি স্বপ্নের ভেতর অনন্ত ভিখারি , আমরা সমস্ত যুগের নারীরা !
শরীর ও মন নিয়ে অবুঝ শিকারী ; পোশাকের ভেতর খোঁজে আমাদের নির্জন কঙ্কাল …… ! প্রতিদিন এই ঘরে বিষজ্বালায় পুড়ে উঠি ; আমাকেও আত্মঘাতী করে ভাসমান সময় ! আমাকেও প্রভূত কষ্টে নরক দেখাতে নিয়ে আসে যাবতীয় স্তব্ধতা ,
অথচ ওরাই অর্থাৎ পুরুষ দেহগুলো যোনিগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসে প্রথম আমাদের মা বলে ডাকে !! তবু কত শত বছরের ক্যালেন্ডার স্বভাবতই এভাবেই বোবা হয়ে থাকে !!!
______________________________________
শব্দগর্ভের ক্লিব কঙ্কাল
ৎ থেকে ৺
সাদা পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ- এ অমাইক এরা ! তবুও শব্দের শেকড়ে আদুরে এ – কার , উ – কার বিমূর্ত এলেবেলে দু’জন পরকীয়া দোষে প্রাচীন দ্রাঘিমা থেকে বেরিয়ে এসে ভাষার উঠনে সহজ কিস্তিতে ব্যাভিচার বর্তমানকে নষ্ট অতিতের গল্প শোনায় !
যতটা ঋণস্বীকার করা যেত ; হৃদয়তন্ত্রীতে কাব্যের সরিফ যারা অনেক কাল আগে উপনিষদের সারস্বত ছায়া দেখে দেখে চলেছে ভবঘুরে হিজড়েদের ছদ্মবেশ নিয়ে ; আকাশ উচ্চতায় উঠে সৃজনের চেহারা দেখে ঘুমহীন নির্ঘুমে ফুঁসলে নিল বহুরূপী দৃশ্যের উপমা !
শেষ কথা প্রশাখা মেলেছে উল্টোমুখে ; বুকের মধ্যে জড়িয়ে রাখা নির্নিমেষ স্মৃতি , সেখানে কবিতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছে অন্যকোন পৃথিবীর প্রাণীর জীবাশ্ম ! যদিও এই রাস্তাটায় অন্য কোন অচেনা নামের পথ এসে আলাপ করেছে অতিরিক্ত নিঃশব্দে !
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোলকুঁজো নির্জনতা ; দৃশ্যত অতীত খুঁড়ে – খুঁড়ে আমার প্রতিটা জন্মের সাদা পৃষ্ঠার নিভৃত পোশাকগুলোকে নিরীক্ষণ করেছে এক পশলা বৃষ্টির ভেতর !
এই সব ৎ এবং ৺ , এরা চোখের মধ্যে দুরত্ব রেখে দাঁড়ায় ৷ তবু বাতাস পঁচা গন্ধ নিয়ে সারারাত জেগে বসে থাকে কাব্যগ্রন্থের দৈন মলাট !
সময় তবু কিছু কিছু সর্বনাশের আয়ু নিয়ে এভাবেই আড়াল হয়ে থাকে ! যদি ভুল না করি ; অক্ষর শ্রমিকেরা এভাবেই ঠকে আদ্যোপান্ত মনভ্রমণে !
চলেছে আমার শরীর স্পর্শ করে বহু জনমের ছায়া ; ভিতরে ভিতরে অপলক তাকিয়ে চেয়ে থাকে আজীবনের কবিতার পংক্তি ; শব্দগর্ভের ক্লিব কঙ্কাল !!
অন্য একদিনের
ভুল উচ্চারণ গুলি দিকহারানো স্বপ্ন নিয়ে হেঁটে বেড়ানো আমার ; সবটাই ফুরিয়ে যাওয়া স্মৃতি ৷ তবু মনের মধ্যে লেখা এক পাতা কবিতা সারারাতের ঘুমের অতলান্ত —-
—- অমোঘ নির্ঘুম ,—– হাতের মুঠোয় এক টুকরো অভিযোগ উদয়াস্ত যত্নে থাকুক ; বিশ্রী ভ্যাপসা শব্দগন্ধে মূকবধির অসুখ – বিসুখ !
দর্পণ উল্টে রাখা কল ঘর নির্জন হলে ; সেখানে জেগে ওঠে অন্য কোন হারিয়ে যাওয়া শব্দ ৷ প্রতিদিনের মার্জনা এভাবেই কাব্যের পান্ডুলিপি পোড়ায় আমার অন্তর্গত একাকীত্বময় চটুল নিঃশ্বাস – প্রশ্বাসে !!
___________________________________
ধ্রুপদী কথাকাব্য
এখান এখানে কিছু পৃষ্ঠার আদর-কদর “— এ সুধাস্বর আলোকিত *** চাঁদ ওঠা নিচু ডোবার মধ্যে সাঁকো ভাঙার গদ্য প্রহর
সেখানে চোখ বন্ধ নীরব সত্যরা কাল থেকে মহাভয়-শঙ্কায়
স্তম্ভিত রাত্রি যাপন করতে করতে দ্বিমুখী দৃষ্টির প্রত্যন্ত কথা পাত
করে !
এই উষালোক জুড়ে একরোখা নষ্ট মেঘ চলেছিল নির্বাসন নিতে,
উপোস ভেঙে উঠে আসা কিছু কালের আধপচা কঙ্কাল কবিতার
সহজ ব্যাখ্যা চেয়ে ছিল নির্লিপ্ত সিগারেটের কাছে ;
তারপর থেকে বাতাস কথোপকথনে হিজিবিজি দেহজ স্বপ্ন ডেকে
নেয় অন্য কোন নির্জনতা !!
___________________________________
প্রেম থেকে ঘুরে আসার পর
প্রায়ই আমাদের কথাগুলো নষ্ট হচ্ছে
সেই কারণেই
কতোবার ওষ্ঠ সখ্যতায় বলি ভা-লো-বা-সি ;
ঢাক ~ ঢোল পিটিয়ে নির্দিষ্ট রাস্তার পেছনে এলে, কবিতাটা হঠাৎ
ভিরের ভেতর থেকে বলে ওঠে সম্বল হারানোর গল্প !
কোথাকার পাপ পুণ্যের বালাই নিয়ে নেচে নেচে গেয়ে ওঠে
অন্ধকার রাতের ঠুনকো ঝি-ঝি, —
কবিদের পাশাপাশি তিনিও নিয়মিত চলেন মধ্যপ্রাচ্যের ভেতর
এরপর পুরোনো চিঠিতে চুম্বন চুম্বন গন্ধ স্পষ্ট দেখা দেয় —
মলাট গর্ভে কথা হেঁটে চলে কতশত হাজার বছর !
শেষ পর্যন্ত পদ্মপাতায় শামুক হয়ে ঢেকে নেয় একখণ্ড স্বপ্ন !
___________________________________
কবিতা না হয়ে ওঠার কথা
নেপথ্যে আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ জ্বালা
প্রাচীন দহনে তিড়তিড় কাঁপে সমর্পণ করা সমস্ত কিছু, —
উল্টো বাতাসে কবিতার তেষ্টা নিয়ে রাত পার করে নরকের কীট
কেউ কেউ আবার বুকের মধ্যে রুইয়ে দেয় এক মুঠো অভিশাপ !
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অলৌকিক কিছু তারা ফোটে
মন খারাপের দিন দহনলোভা দোলনায় দুলে ওঠে স্মৃতিভ্রষ্ট চাঁদ
কী জানি কী ভাবে ব্যাথার মধ্যে ডুবে যায় জননীর হৃদয়স্পন্দন
আজ অতলান্তে চুপ করে বসে থাকার অভ্যাস করছি, —
তবুও অন্যের সাথে পথ চলে গেছে একশোটা সিঁড়ি টোপকে
অদূরে দলছুট চেহারা নিয়ে সুবর্ণরেখার পাশে স্তব্ধ অনিয়ম !
___________________________________
প্রতিবিম্ব দেখি, অথচ শরীর দেখিনা
সমতল ভূমি গুহাচিত্রে অপরিণত কান্নার ছাপ
কতবার এই চোখে ছুঁয়েছি শরীর, — জ্বরের গরল জ্বলে নীল সাদা
ঘুমন্ত – ঘুমের ঘোরে অপার্থিব গুজবের ক্যানভাসে !
সব লেখাই যে খ্যাতিহীন অন্য দিকে চলে গেছে ;
শেষ বৃষ্টিতে উপচিয়ে পড়ে নাবালক মনন, — কবেকার ভালোবাসা ঈশ্বর স্বপ্নে বিভোর, অথচ প্রণয় জ্বালায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে
রাস্তার সমস্ত আঁকাবাঁকা নিয়ম ~ অনিয়ম !
গুপ্ত পদার্থ ঢেলে শতদল হেসে বলে চিহ্নিত করা সহবাস কথা
পাশাপাশি তিনিও ছিলেন ভাঙা-গড়া সর্বনাশ নিয়ে, — এইসব কথায় কাছাকাছি আসে আদ্যিকালের আদিখ্যেতা ;
তবুও তো বৃষ্টির মধ্যে ভেজে প্রাচীন কান্নার চোখ !!
___________________________________
ধাত্রীদেবতা
সম্প্রতি এই স্খলিত বাতাস রাতপাখির ডাক শুনে আকাশকে দূরলক্ষ্যে উন্মুক্ত হতে বললে ; মহাবনস্পতি ধর্মভ্রষ্ট মননে নিষ্ঠুর হেঁয়ালী নিয়ে লজ্জাহীন নীরব রইল ! দর্পণ থেকে বেরিয়ে এলো ঠোঁট রাঙা অষ্টাদশী ; সেও মূহুর্তে অনলাইনে চুম্বনে সাড়া দিতে দিতে মিলিয়ে গেল অন্য কোন ঘুমন্ত ঘুমে !
উন্মাদ সমুদ্রঢেউ , নীল যৌবন , এধারের শান্তিরস , হয়তো কোথাও তৃষ্ণার অতল ভাঙন ,—— গভীরে সময়শূন্য ; নষ্ট নষ্ট বিমূর্ত চিন্তা গুলো বাক্য গঠনে ভূমিকা হীন ! তবুও এই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বুদ্ধির জট খুলছিল অস্পষ্ট একজন , সেও নির্ভুল তথ্য দিল ; আমার মৃত্যুর খবর !
এই সুকুমার শরীর রক্তের অমোঘ পরিচিতি নিয়ে মৃত্যুমুখী ধ্যানে এবং অস্থিরতায় !
তবু ধাত্রীদেবতা অলৌকিক চৈতন্যে আমার আদিখ্যেতা দেখে উপহাস করে ! আমি বেমালুম অস্বীকার করার উপায় খুঁজি নির্ঘুম সারা রাত , …..
সম্প্রতি ভেজাতে চাই আমার শরীর কবিতার রতিজলে ,—- যদি পুড়ি উদ্ধত আগুনের কাছে ; তাহলে নশ্বরতার কাছে মৃত্যু কেড়ে নেবে ! এই আমার পরবর্তী চ্যালেঞ্জ …..
___________________________________
অন্য বাসর
আমার একটা নৈঃশব্দে ঢাকা দুনিয়া ছিল , ওখানে রাত জেগে ছবির চরিত্র গুলো পাহারা দিত ; যাতে মধ্যরাতের ছেকা খাওয়া কোকিল না ডেকে ওঠে !
সেই অপ্রমেয় অনুরাগ থেকে বেরিয়ে আসার সময় ভা-লো-বা-সা দূর রাস্তায় মিলিয়ে গেল ! তবুও স্বপ্নের মধ্যে হাত এগিয়ে দেই চেনা কোন যন্ত্রণার দিকে স্পর্শ দিতে ,……
তবু কেন ঘরে ফেরার সময় হতেই মৃদু কান্নার শব্দে মনে হয় ; কিছু ফেলে যাচ্ছি না তো ?___________________________________
মিছিলে শয়তান ভদ্র সেজেছে
পরিবর্তিত ঘটনাগুলো স্বপ্নে ঘোড়া ছুটিয়ে মাত্রাবৃত্তে বিদেহী পরিজনের ছবির কাছে এসে দাঁড়াতেই ; দ্বিতীয় অপুষ্টিজাত স্মৃতি অস্তিত্বকে দ্বিচারিতা হতে নিশেধ করতেই ভাষা বিপ্লবের পাঞ্জিকায় ছেঁকা লাগলো !
পৃথিবীর মানুষেরা দর্পণের কাছে যুগে যুগে ক্ষুণ্ণ হতে দেখে গেছে , সে জন্য পাঠশালায় নাগরিক সভার প্রস্তুতি চলছে উদ্বাস্তুদের নিয়ে !
অকস্মাৎ উচ্চারণ হল পিছিয়ে থাকা রূপকথার প্রাচীন নির্দিষ্ট সময়ের ধ্বনি ,—–
ভেতর থেকে সেক্যুলারিজম গন্ধ মিছিলের মধ্যে বাতলে দিল দঙ্গল থেকে অমানুষগুলোকে বুদ্ধিজীবিদের মতোই দেখাচ্ছে !
এই এক স্বপ্ন ধর্মহীনতার জন্ম দিয়েছে ; তাই বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে চতুর্দিকের নক্ষত্রগুলো ! প্রাণহীন ছায়া ভাসছে রাতের ভেতর ,—– এভাবেই গোপনে পুড়ছে অন্তর ; এভাবেই আদর্শ রাস্তা পার হচ্ছে বিধাতার ঠেলা খেয়ে !
এটাও এক অচেনা মানুষের কঙ্কাল , গভীরে প্রখর বাস্তরের বিষময় দশা ! তবুও মিছিলের ওপাশে গরু ও শুয়োরের বৃত্তান্ত নিয়ে লড়ছে ধার্মীক লোকজন …..
যতোই তোরা নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলিশ ; দেখে নিশ তোদের মুখোশ একদিন খুলবেই ৷
যে বা যারা ঈশ্বর এবং আল্লাকে নির্মাণ করেছে তাঁদেরকে সময় ঠিক খুঁজে বার করে নেবে !
অন্য দরজায় শয়তান এসে দাঁড়ালে অনুমানের ফর্দ ঝাপসা হয়ে যায় ! এটাও আমাদের অস্তিত্বের সংকট ; তা না হলে বিভিষণপ্রথম দল পালটানোর সাহস পায় !
মাঝেমধ্যে মোমবাতির নিচে অন্ধকার স্পষ্ট হয়ে ওঠে , তাই জ্যোৎস্না পেতে দিয়েছি প্রাচীন বৃক্ষের নিচে ,—– কেউ একজন মনস্তত্ত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষগুলোকে ঠকাচ্ছে সমষ্টির সমর্থন চরিতার্থ করার জন্য !
এভাবেই চলছে দুনিয়া ; যা কিছু পালটেছে সবটাই নড়বড়ে ঘড়ির কাঁটা ! এটাই নাকি ঐতিহাসিক বিপ্লব !!
___________________________________
মৎস্যগন্ধারা
এখন শূন্য এক লম্বা টানা স্মৃতিপথ ; হৃদয় সাবান মাখিয়ে দিয়ে বলতে পারি তোকে ,— প্রেম করবি , মন্ত্র আছে জানা ? এখান থেকে পিছিয়ে গেছে গত জন্মের ছায়া শরীর ; সেও অন্য কোন নিছক কারণে স্মৃতির মধ্যে এভাবেই নগ্ন নগ্ন উলঙ্গ দেখা গেছে প্রতি রাতে !
চোখের মধ্যে সন্ধ্যার বাতি জ্বলে ; হীমস্বপ্ন তবুও নির্জন ….. হয়তো এভাবেই প্রিয় মুখগুলো তাই ভালোবাসাকে করেনি অগোপন ! স্মৃতিভ্রষ্ট এক পাখি উড়তে উড়তে পর পুরুষের চরিত্র ঘাটে বিনা মূল্যে !
যতটুকু আছে , সবটাই দেখি স্মৃতি ; হৃদয় থেকে উঠে দাঁড়ালাম যেই ,—- অনেকটা কাছে ভালোবাসা আছে একা ;
গোপনতন্ত্রে ব্যাথাভরা স্মৃতিতেই !
কিছু কিছু ঢেউ সহজে এমনি আসে ,
ধূসর সময়ে নির্জন চারপাশ ; মনের মধ্যে শাড়ি সেই নারী ঘুমন্ত ঘুমে করে যায় উপহাস !!
_________________________________
দেহভাজন
মেঘ সরিয়ে আকাশপুরের
চাঁদকে কাছে ডেকে নিতে
হিতাকাঙ্খী এক
বনফুল গন্ধ আঁকলো
শ-রী-র , … এ !
তখন প্রসিদ্ধ স্বপ্নের
মেধাবী
সহপাঠিনী ইচ্ছায় নগ্ন
হয়ে
রাত ভাসিয়ে দিল
এই চোখে !
কিছু কিছু দোষ এ’ভাবেই
আমাকে দিয়ে কবিতা
লিখিয়ে নিতে
সাহায্য করেছে ; তাই
রাত আয়োজনে স্মৃতি ও
সঙ্গীনিদের স্পর্শদোষ
মেনে নেয়া চরিত্র নষ্টের
মধ্যে না নিলেও ;
কাছের চোখগুলো
বিপরীত মেরুকরণের
দলিল নিয়ে নিভৃত যতনে
চাপা দীর্ঘাশাসে বলে ওঠে
কবির কলম ও হৃদয়
নষ্ট অ-সু-খ পেতে
দেহভাজন — এ
ভীষণ অকৃত্তিম !!
_________________________________
অপ্রমেয় এবং বিপরীত সেতু
সাধনতীর্থ থেকে পথ তাঁর জীবন ফেরি করার সময় কোন এক ছদ্মবেশী প্রেত গভীরে একা ও একক নষ্ট চরিত্র নিয়ে অপূর্ব শূন্যতায় দাঁড়িয়ে চৈতন্য চর্চা করছিল ;
মনের মধ্যে করিতকর্মা কিছু প্রশ্নের ঝড় প্রাচীন স্থাপত্যকে ধুলোয় মিশিয়ে ঈশ্বর এবং দেবতাদের চ্যালেঞ্জ করলো , সেও সুযোগ পেলে ভগবান হয়ে যেতো !
এই দুনিয়ার দর্পণে দু’ই পক্ষের চাঁদ ; ডোবে আর ওঠে ,—– স্বদেশের মানচিত্র ছিঁড়ে বৈকালীক ফাল্গুনে পঞ্চশ পেরুনো চ্যানাচুড় বিক্রেতা হাঁক পারে ; কই–গো নেবেন নাকি গড়ম গড়ম ঘটি গড়ম !
ভাগ্যিস সে’সময়ে পৃথিবী ও প্রকৃতির কথাবার্তা বন্ধ ছিল ; তা-না হলে ধর্ম ষাঁড়ের খোঁয়াড়ে আগুন জ্বলে উঠতো !
এই রাস্তায় অহর্নিশ চোখ বেঁধে ঈশ্বর হেঁটে যান ,—- পথের চিন্তা থাকে তাঁর ছায়াশূন্য হবার সময় ! ঘুড়ির সুতোর মাঞ্জা গুটিয়ে নবাবপুত্র যুধিষ্ঠির বিবেক বৈরাগ্য হাই ড্রেনে ফেলে সোনাগাছির বেলা শেষের রোদ্দুর মাখে !
ঠিক ওই বিকলাঙ্গ সময়ে পান-বিড়ি-সিগারেটের গুমটি দোকান থেকে চরিত্রহীন দুর্যোধন এক প্যাকেট কন্ডোম কিনে জনতাকে শিক্ষা দেন জন্মনিয়ন্ত্রনের !
সমকৌণিক স্বপ্ন গুলো চেহারা পাল্টে এভাবেই রোজ রাতে ঘুমন্তে দেখা দিলে যাদুঘরের জ্ঞানগর্ভ জ্বলে ওঠে ! কেউ একজন বিজ্ঞ দার্শনিক ঈশ্বরের সমাধি খোঁজে এক বোতল দেশি মদ গলায় ঢেলে !
অন্যথায় এখানে প্রাক্তনেরা মনের বিমূর্ত ধ্বংসস্তুপের উপর নির্বাক উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষ ভাগ্যকে ক্রমাগত খিস্তি দিয়ে চলে !
এই এক হাতে মাটিতে গড়িয়ে দিয়েছি সময় ; এভাবে চলার মধ্যে হঠাৎ রূপকথার ফুল ফোটে ,—– এই চলায় পাশাপাশি নাটকীয় দিন-রাত , বৃষ্টি-বাদল , হাসি ও কান্নার জন্ম কাহিনির কোন তথ্য নেই ! তবু ঈশ্বর অনাবৃষ্টিতে তৃষ্ণার্ত ও একাকীত্ব নিয়ে ভূমিহীন নিমিষেই !
দায়িত্ব নিয়ে সময় তুলে দেব তোর হাতে ,—- মধ্য বয়সী বিকেল অবশেষে না ভালোবেসে ঘুমিয়ে গেলে দারুণ সর্বনাশে চন্ডাল পাড়ার প্রেত এসে কথা বলে ছবি হয়ে যাওয়া লোকটার সাথে ! কাছের দৃষ্টিতে থমকে দাঁড়ালে বিষণ্ণতা একবুক শোকের অসুখ নিয়ে ইতিহাসের পাতা পোড়ায় বোতম বিহীন যত কিছু আবেগ ও অনুরাগ !
এখানে কোনো তৃতীয় বিশ্ব নেই ; স-ম-য় সেজন্য মূর্তি সেজে মন্ডপে মন্ডপে নিজেকে নিজেই দেবতা বানিয়ে মজা পায় !
কি এক কঠিন জ্বালায় ভগবানের অদেখা লিঙ্গ পুড়ে ওঠে ; তবুও তাঁর নির্গমন নলটা রাতের অন্ধকারে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে পুনশ্চ বিজ্ঞ বিবেচকের ছদ্মবেশ নিয়ে !!
___________________________________
বহুরূপী অশ্রু এবং চিন্তা চোখ
খোলা জানলার ওপিঠ ওধারে
স্মৃতিছুট্ গল্প চুপ নিঃশব্দে এসে দাঁড়ায় ,—-
চোখের পাতায় বিবর্ণ আবেগ গুছিয়ে তোলা থাকে ; অন্য দূরের কাব্যরেখা গুলো ধুয়ে যায় বহুরূপী অশ্রুতে ! অথচ অন্য এক অবুঝ পঙ্-তি নির্জন গোলার্ধে ঘুরে মরে নবনীতা নামের মেয়েটার ; প্রেম পেতে !
এভাবে চিন্তাচোখ মন আগুনে দগ্ধ পুড়ে ওঠে ,—-
কিছু অপাড় প্রশ্নে আমিত্ব ডোবে দারুণ সর্বনাশে !
খোলা জানলার এপাস আড়ালে বিবেক নিঃশব্দ নিয়মে অকৃপণ হেসে ওঠে , ……
শেষ একবার ওদিকের কৃষ্ণ কালো আকাশ আমাকে দেখায় একশ বছর আগের উলঙ্গ নর্তকী ! তবুও তো পৃষ্ঠা ছেড়া কবিতাগুলো ভালোবাসার অপ্রমেয় গন্ধ মেখে উত্তাপ গোচর করে ……
ঘরের দর্পণে অবাক বিস্ময়ে উল্টো ভেসে ওঠে অ – আ – ক – খ !!
শেষ একবার মনে – মনে আঁকা হয়ে ছিল ওর শরীরী ; তবু মৃত্যুর ঠিক পাঁচ মিনিট পর নবনীতা এসে দাঁড়ালো হাত ধরতে !!
স – মা – প্ত
কবি পরিচিতি :~ বাংলা কাব্য সাহিত্যের দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক I জন্ম ১৬ই জুন ১৯৬৪ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার শ্রীরামপুরের এক সম্ভ্রান্ত ও শিক্ষিত পরিবারে I ৭০ এর মধ্যভাগে তাঁর কবিতা লেখা’র প্রারম্ভ I বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ কবি বিদ্যুৎ এর বই বাজারে বেশ চাহিদা ও শ্রদ্ধা কুরিয়েছে । ২০১৫ কবিতার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য “বাংলা শ্রী” , এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় স্মৃতি সম্মান” ২০২২ লাভ করেন ।