দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যখন ঘনিয়ে আসছে তখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের ওপর বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশে নানা ঘটনাবলির ওপর নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
এবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলা গণমাধ্যমকে বলেছেন, যদি দরকার হয়, আরো নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। ‘৩সি’ হিসেবে পরিচিত এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি। যাদের (এনিওয়ান) দেখা যাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছেন তারাই নিষেধাজ্ঞায় আওতায় আসতে পারেন।
যে ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে সেগুলোর উল্লেখ করেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এই মুখপাত্র।
সেক্ষেত্রে ভোট জালিয়াতি, ভোটারদের ভীতিপ্রদর্শন, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশের অধিকার চর্চায় যারা সহিংসতা ব্যবহার করে বাধা দেয়; এছাড়া রাজনৈতিক দল, ভোটার এবং নাগরিক সমাজকে বাধা দেয়ার পদক্ষেপ, মিডিয়াকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশে বাধা দেয়ার কথা বলেন তিনি।
এসময় ইংরেজি শব্দ ‘এনিওয়ানের’ ওপর তিনি জোর দেন।
তিনি আরো বলেন, যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আসবেন তাদের নাম ও ফোন নম্বর আমরা প্রকাশ করব না। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসা রেকর্ড গোপনীয়।
নিউজ /এমএসএম