দেশে আজ কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কোনো রাজা-রানির রাজত্ব করার জন্য নয়। আপনারা (নেতাকর্মী) উদ্দীপ্ত হন, সম্মিলিত হন। ইনশাআল্লাহ, আমরা দড়ি ধরে টান মারব। এই হীরক রাজা আর থাকবে না।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কিছুদিন আগে আমি দেখা করি। উনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ম্যাডাম কিছু বলবেন? উনি মাথা নাড়লেন, কিন্তু কোনো কথা বললেন না। আমি তার চোখের দিকে তাকালাম। তার চাহনিতে অব্যক্ত ভাষা। তিনি হয়তো এটাই বলতে চেয়েছিলেন, তোমরা আমার জন্য কী করছ? আমি কি দেশের গণতন্ত্র, দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কিছুই করিনি?
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহদী আহম্মেদ রুমি, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক সোহরাব উদ্দীন, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আসাদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, মেহেরপুরের নেতা মাসুদ অরুণ, চুয়াডাঙ্গার মাহবুব হাসান খান, শরিফুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলার বিএনপির নেতারা।
নিউজ /এমএসএম