গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮-তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে কর্মসূচির সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণীগুলো পাঠ করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। তিনি তার গোটা জীবন নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে জাতীয় স্বার্থের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরেই তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত রাষ্ট্রকে স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে যাননি, তিনি সদ্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো কেমন হবে তারও একটি যুগোপযোগী রূপরেখা প্রণয়ন করে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গতিশীল নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও আর্থ সামাজিক নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার জন্য এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের আহ্বান জানাই।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নিউজ /এমএসএম