শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে বিএনপির ৩১ দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা সহ সকল নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র পিএফ ও গ্র্যাচুইটি সুবিধাদির চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা যুবলীগ নেতার মুক্তির দাবিতে বি এন পি কর্মীদের বিক্ষোভ ওয়েলসে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার দায়ে জরিমানা গাজায় উচ্চশিক্ষা পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হত্যা মামলার আসামিকে খালাসের প্রতিবাদে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং কর্ণফুলী এলিট এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মালয়েশিয়ায় বাড়ছে সেকেন্ড হোমের আবেদন

আরিফুল ইসলাম,মালয়েশিয়া
  • খবর আপডেট সময় : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩
  • ১৭৫ এই পর্যন্ত দেখেছেন

মালয়েশিয়ার প্রিমিয়াম ভিসায় সাড়া না পড়লেও মাই সেকেন্ড হোম (এমএমটুএইচ) প্রোগ্রামে সরকার কঠোর শর্ত প্রয়োগ করা সত্ত্বেও এ বছর আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বুধবার পুত্রযায়ায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। স্থানীয় গণমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

চলতি বছরে দেশটির সেকেন্ড হোম ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০টি আবেদন জমা পড়েছে। এর আগে বাংলাদেশিরা সর্বোচ্চ আবেদনকারী ছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির এ স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী। মোট সেকেন্ড হোম আবেদনকারীদের মধ্যে ৮০০ বাংলাদেশিকে প্রাক-অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, (এমএমটুএইচ) প্রোগ্রামে সরকার আরও কঠোর শর্ত প্রয়োগ করার পর টপটেন যুক্তরাজ্য, জাপান এবং সিঙ্গাপুর থেকে আরও বেশি আবেদনকারী অংশ নিয়েছেন। তাদের আবেদনগুলি যাচাই করা হচ্ছে।

এদিকে, মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএমটুএইচ) প্রোগ্রামে ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৬১০টি এবং ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৯২৯টি আবেদন অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাইফুদ্দিন। যদিও এই প্রোগ্রামটি ২০২০ সালে সাময়িক বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৬৮টি আবেদন অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

সেকেন্ড হোম ক্যাটাগরির নানা আলোচনা ও সমালোচনার পর মালয়েশিয়া সরকার নতুন করে পিভিআইপি নামক প্রিমিয়াম ভিসা চালু করে। যেটি প্রায় সেকেন্ড হোম ক্যাটাগরির কিন্তু এ প্রেগ্রামে লক্ষ্যপূরণ করতে পারেনি মালয়েশিয়া। বর্তমান সরকার এমএমটুএইচ’র ওপর আরোপিত নতুন শর্তাবলী পর্যালোচনা করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

জানা গেছে, প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রামের আওতায় ৯ মাসে মাত্র ২ টি আবেদন অনুমোদন দিয়েছে মালয়েশিয়ান সরকার। গত বছরের ১ অক্টোবর আবেদনকারীদের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রামে মাত্র ২৮টি আবেদন পেয়েছে। ২৮টি আবেদনের মধ্যে ১৪ জন পার্টিসিপেন্ট এবং ১৪ জন ডিপেন্ডেন্ট। এর মধ্যে একজন পার্টিসিপেন্ট  এবং একজন ডিপেন্ডেন্ট আবেদনকারীকে প্রিমিয়াম ভিসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

জানা গেছে, মালয়েশিয়ার সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এমন দেশগুলো ছাড়া সব বিদেশি ধনী বিনিয়োগকারীদের বসতি স্থাপনের আশায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে (পিভিআইপি) প্রোগ্রামের ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়া প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রামের (পিভিআইপি) অধীনে ভিসাপ্রত্যাশী বিদেশিদের আবেদন প্রক্রিয়া পরিচালনায় দেশটির ১৬টি এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছিল মালয়েশিয়ান ইমিগ্রিশন বিভাগ। এজেন্টদের তালিকা ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইট (https://www.imi.gov.my/) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

আবেদনের শর্ত, আবেদন প্রক্রিয়া, এজেন্সি অনুমোদনসহ প্রিমিয়াম ভিসা কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (সাবেক) খায়রুল দাজাইমি দাউদ।

উক্ত ভিসা আবেদনকারীদের অবশ্যই মালয়েশিয়ায় ১০ লাখ রিঙ্গিতের (বাংলাদেশি মুদ্রা প্রায় ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা) একটি স্থায়ী আমানত অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং প্রধান আবেদনকারীর জন্য এককালীন ২ লাখ রিঙ্গিত এবং ডিপেডেন্টের জন্য এককালীন ১ লাখ রিঙ্গিত ফি দিতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীদের সংখ্যা মালয়েশিয়ার জনসংখ্যার ১ শতাংশে সীমিত রাখা হবে বলে।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102