মোঃ আবুবকর সিদ্দিকঃ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কুচির মোড় এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শামীমা নাসরিন (৩৫) এর শরীরে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় ভুক্তভোগী কর্তৃক কয়রা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।ঘটনাটি কয়রার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি কুচির মোড় এলাকায় তার বাড়িতে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঘঠে।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কয়রা থানায় ভিকটিম বাদী হয়ে এসিড নিক্ষেপকারীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় এজাহার জানাযায়, জমি-জমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসা এলাকার প্রভাবশালী খালেক গংদের ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলো, আব্দুল খালেক গাজী (৪৫), সাইফুল গাজী (২৭), আব্দুল মালেক গাজী (৩৫) ও নুর আলম গাজী (৪৫)।
ভুক্তভোগীর বড় সন্তান জাফরের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, খালেক গংরা অত্যন্ত প্রভাবশালী, তারা কাউকে পরোয়া করে চলেনা। তারা সবসময়ই তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্য জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে গত ২২/০৯/২০২২ ইং তারিখে কয়রা থানায় একটা জিডি করা হয়, জিডি নম্বর- ৯৮৩। জিডি করার পর উক্ত খালেক গংরা আরো বেপরোয়া হয়ে এমন জঘন্য কাজ করেছে। তিনি আকুতি করে বলেন আমরা জায়গা ছেড়ে চলে যাবো কারন আমরা বাচতে চাই। এখানে থাকলে স্থানীয় প্রভাবশালী ও খালেক গংরা আমাদেরকে জীবনে শেষ করে দিবে।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা বলেন, বর্তমানে ওই ভুক্তভোগী নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সেখান আমরা গিয়ে স্বাক্ষাত করে তাকে মামলা দিতে বলি। পরে ওই ভুক্তভোগ নারী হাসপাতাল থেকে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন। উক্ত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, খুব বড় কিছু মনে হয়নি। হাসপাতালের ডাক্তার বলেছেন, অবস্থা আশংকাজনক নয় এবং এসিড কিনা তিনি নিশ্চিত নন।
ইতিপূর্বে গত ১১ জুলাই সকালে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে টেনে হিচড়ে বের করে এনে গাছের সাথে বেধে বিবস্ত্র করে ব্যপক মারধোর করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচারের পর থানায় মামলা নেয় পুলিশ।