অর্থনৈতিক ডেস্ক: বাংলাদেশকে এবার ৫৫টি প্রকল্পে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনামন্ত্রী কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বিদায়ী সাক্ষাতে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান। এসময় বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলাদেশে অর্থায়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
মার্সি টেম্বন বলেন, গত ৩ বছরে বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৮০ লাখ ডলার ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশকে নতুন ৫৫টি প্রকল্পে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অর্থায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৯৫ টাকা ধরে)।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমি আপ্লুত। কোভিডকালীন সময় থেকেই বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। যেহেতু আমি বিশ্বব্যাংকের বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকব, সেহেতু আমার প্রতিটি বোর্ড সভায় ভূমিকা থাকবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের কোনো বিষয় বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় উঠলে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বর থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে দেশের অর্থনীতি। বেশ কিছু সূচকে সেই আভাস মিলছে। এরই মধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি বেড়েছে। বৈশ্বিক সংকটে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও কিছুটা সংকটে পড়েছে। তবে আমাদের সরকারের নানামুখী উদ্যোগে আগামী মাস থেকেই দেশের অর্থনীতি চাঙা হওয়ার পথে হাঁটবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকলেও বাংলাদেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি। আগামীতে শিক্ষা ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সংস্থাটির আরও অর্থায়ন চায় বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ইউকেবিডিটিভি/ বিডি / এমএসএম