যুক্তরাজ্য অফিস: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মনে করছে বছরের এই চতুর্ভাগে সেখানে জিডিপি কমে যাবে শতকরা ০.৩ ভাগ। এর ফলে দেশটি পূর্ণমাত্রায় মন্দার দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়াতে পারে শতকরা ১১ ভাগ। এমন অবস্থায় সুদের হার বাড়িয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। সুদের হার বাড়িয়ে করা হয়েছে ১.২৫ ভাগ। ১৩ বছরের মধ্যে একে সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি বলে বলা হচ্ছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের হিসাবে এই চতুর্ভাগে জাতীয় প্রবৃদ্ধি বা জিডিপি নেগেটিভে চলে যাবে। এমন অবস্থার প্রেক্ষাপটে মনিটারি পলিসি কমিটি (এমপিসি) সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। তবে এক্ষেত্রে মর্টগেজ যারা নিয়েছেন তারা বড় ছাড় পেয়েছেন। অনেক বিশ্লেষক ধারণা করেছিলেন, মর্টগেজ দাঁড়াতে পারে শতকরা ০.৫ ভাগে।
কিন্তু তাদেরকে এক্ষেত্রে রেহাই দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল।
সুদের হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিসিতে ৬ ভোটের বিপরীতে ভোট পড়ে তিনটি। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার শতকরা ০.৭৫ ভাগ বৃদ্ধি করার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বৃদ্ধিকে বলা হচ্ছে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর এর মধ্য দিয়ে ২০০৯ সালের জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো ব্যাংকের সুদের হার শতকরা ১-এর উপরে উঠে গেছে। কমিউনিটি সেক্রেটারি মাইকেল গভ স্বীকার করেন, এই বৃদ্ধি বেদনাদায়ক। তিনি সতর্ক করেন। বলেন, আরও কঠিন সময় আসছে সামনে। তবে তিনি আরও বলেন, সরকার এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি সঙ্কুচিত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইউকেবিডিটিভি/ যুক্তরাজ্য / কেএলি