গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি নিধন করছে তারা। মামলা-হামলা আর হত্যায় বেপরোয়া প্রফেসর ইউনুস এবং তার দোসর, জামাত এবং তাদের সমর্থকদের দ্বারা অসাংবিধানিক ভাবে জোরপূর্বক বাংলাদেশ রাষ্ট্র দখল এবং গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা এবং অত্যাচার, অনাচারের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে শত শত প্রবাসী বাঙ্গালীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন। দুপুর ১টা থেকে আওয়ালী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সহ স্বাধীনতার পক্ষের সকল নেতা কর্মীরা হাউস অব কমন্সের সামনে সমবেত হতে থাকেন। দূর দূরান্ত থেকে শত শত প্রবাসী বাঙ্গালীরা সমবেত হয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে মূহুর্মুহ শ্লোগান দেন! তাঁরা অবৈধ বর্তমান স্বৈরশাসক ইউনুসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন!
দূপুর ২ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্টিত প্রতিবাদ সমাবেশের শেষে বৃটিশ পার্লামেন্টের সামনে প্রবাসী বাঙ্গালীরা সমবেতকন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করার মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় সভায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন, সহ সভাপতি হরমুজ আলী, সহ সভাপতি শাহ আজিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইম উদ্দিন রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মাসুক ইবনে আনিস, আ. স. ম. মিসবাহ, রবিন পাল, খসরুজ্জামান খসরু, সারব আলী, ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী, কাওছার চৌধুরী, আহমেদ আহসান, নজরুল ইসলাম অকিব, আলতাফর রহমান মোজাহিদ, আনসারল হক, সৈয়দ ছুরুক আলী, আব্দুল হোসেন, ফখরুল ইসলাম মধু, সেলিম আহমদ খান, জামাল আহমদ খান, মাহবুব আহমদ, তামিম আহমদ ,জোবায়ের আহমদ, আনজুমান আরা অন্জু , শাহিনা আক্তার , হোসনে আরা মতিন, ছালমা বেগম, মিফতা নূর, সামিরুন চৌধুরী, আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, আব্দুল বাছির, তামিম আহমদ,সজিব ভূইয়া, জাকির আখতারুজ্জামান খান, আফজল হোসেন ,ও মাহবুব আহমদ সহ বিভিন্ন শহর থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মোহাম্মদ ইউনুসের সরকার দাবী করার কোন ভিত্তি নেই বলে দাবী করে বলেন বাংলাদেশ সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ মোতাবেক শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী এবং ১৭১ মিলিয়ন জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বের একমাত্র আইনানুগ দাবীদার।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা অনির্বাচিত ভাবে সরকার প্রধান হবার কোন ব্যবস্থা সংবিধানে নেই। সরকার প্রধান হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসের দাবীর কোন আইনী, সাংবিধানিক বা গণতান্ত্রিক ভিত্তি নাই বলে উল্লেখ করে বক্তারা বাংলাদেশের বর্তমান নৈরাজ্য, অস্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চলমান অবস্থা থেকে উত্তরন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যর্পনে জাতিসংঘ সহ বিশ্বনেতৃবৃন্দের সহায়তা কামনা করেছেন।
পরিশেষে বৃটিশ পার্লামেন্টের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রবাসী বাঙ্গালীরা একসাথে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।