রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত আল্লাহর ওয়াস্তে মানুষের খেদমত করুন দেড় বছরেও চালু হয়নি বাল্লা স্থলবন্দর পঞ্চগড় রেললাইনের পাশ থেকে ধর্ষিতার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার চিটাগাং কর্ণফুলী এলিট লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে চক্ষু শিবির ও খৎনা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত পানি সেচকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২০ ছাতকে তারুণ্যের উৎসবে প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বুধবার ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল

বিদেশীদের কাছে নালিশ করে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করা যাবে না—- শেখ হাসিনা

ষ্টাফ রিপোর্টার
  • খবর আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৯০ এই পর্যন্ত দেখেছেন

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেছেন, বিদেশীদের কাছে নালিশ করে কোনো লাভ হবে না।  বরং গণতান্ত্রিক  ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে। বিদেশিদের কথায় দেশ চলবে না। আমরা প্রতিটি দেশের নির্বাচন দেখেছি।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায়  অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে। সংসদকে সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে পরিচালনার  লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ৫০টি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং যা সংসদে পাস হয়েছে।  চলতি  অধিবেশনের শেষ দিনে  সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য আন্দোলনের নামে দেশে অগ্নিসংযোগের মতো তান্ডব চালানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত চক্রের কড়া সমালোচনা করেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) এখন বিদেশিদের কাছে নালিশ  করছে যে, রাজনৈতিক কারণে তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও পৃষ্ঠপোষকতা, অর্থায়ন এবং অগ্নিসংযোগের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাদেরকে  গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা  নৃশংস তান্ডব চালিয়ে কয়েকশ’ নিরীহ মানুষ  হত্যা করেছে এবং তাদের অনেককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে।

২০১৩-২০১৫ এবং ২০২৩  সালেল ২৩ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের  ওপর একটি ভিডিও ক্লিপ জাতীয়  সংসদে প্রদর্শন  করা হয়। যাতে  তাদের বর্বরতা  ফুটে ওঠে।  ভিডিও ক্লিপ দেখানোর পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে  যা দেখানো হয়েছে  তা খুবই নগণ্য।  দিনের পর দিন তারা এটা করেছে। যারা এ ধরনের জঘন্য কাজের সাথে জড়িত তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না। তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘তাদের কাউকেই রাজনৈতিক কারণে  গ্রেফতার করা হয়নি। যারা এ সব কাজে  পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, অর্থায়ন করেছে  এবং এই ধরনের নিশংস কাজের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিল তাদের আর ছাড় দেওয়া  হবে না।’ প্রধানমন্ত্রী আইন প্রণেতাদের বিষয়টি খতিয়ে  দেখতে এবং অপরাধীরা যাতে তাদের অপকর্মের শাস্তি পায় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ইসরাইলিদের মতো হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করে নারী-শিশুসহ মানুষ হত্যা করে আজরাইল এর রুপে জনগণের সামনে হাজির হয়েছে।
গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি বোমা হামলায় এমনকি নারী ও শিশুও মারা গেছে। তিনি বলেন, ‘একই চরিত্র… গাজায় যা  ইসরায়েল করছে, বিএনপি বাংলাদেশে তাই করছে। বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।বিএনপির চরিত্রই হচ্ছে মানুষ হত্যা করা এবং দুর্নীতি করা।’

তিনি বলেন, বিএনপি কর্মীরা লন্ডন থেকে নির্দেশ পেয়ে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করছে এবং হামলার ছবি লন্ডনে পাঠিয়েছে।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন কী ধরনের নেতা? এবং কী ধরনের কর্মী তারা? কীভাবে তারা মানুষকে হত্যা করে?’
প্রধানমন্ত্রী এসকল নৈরাজ্যকর কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য জনগণের প্রতিও আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না কারণ তারা জানে তারা জনসমর্থন পাবে না। ‘তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না কারণ তারা জানে যে তারা ভোট এবং জনসমর্থনও পাবে না। জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী  দলীয় নেতা  জি এম কাদেরের  এক মন্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে এ ধরনের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ কোনো নির্বাচন হয়নি।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনের সবচেয়ে  স্বীকৃত বিষয়  হলো নির্বাচনে জনগণ বিশেষ করে নারী,নতুন ও তরুণ ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছে।

২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২৩৩টি আসন পেয়েছিল এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ৩০০টির মধ্যে ৩০টি আসন পেয়েছিল। তিনি বলেন, এরপর থেকে বিএনপি নির্বাচনকে এড়িয়ে  আন্দোলন শুরু  করে। শেখ হাসিনা বলেন, জিএম কাদের দুই স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ও তার ভাই এইচএম এরশাদের সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরিসংখ্যান দেখেননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন সামরিক স্বৈরশাসক নির্বাচনে কারচুপির পথ দেখিয়েছিলেন, আরেকজন একই পথে  হেটেছেন।
এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৬ সালের নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, তৎকালীন সরকার ভোটের বাক্স তালাবদ্ধ করে এবং ৪৮ ঘন্টা পর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছিল  কারণ  নির্বাচনে  প্রকৃতপক্ষে জয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আমি খুশি হব যদি তিনি (জিএম কাদের) তার ভাইয়ে অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলের পরিসংখ্যানও দেখান।
বিএনপি সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনের মতো ১৯৮৬  সালের  নির্বাচনও জনগণের কাছে  গ্রহনযোগ্যতা  পায়নি। ভোট কারচুপির জন্য জনগণের আন্দোলনের  মুখে খালেদাকে ক্ষমতাকে বিদায় নিতে হয়েছিল।

তথ্য সুত্রঃ বাসস

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102