‘মুজিব’স বাংলাদেশ’-এর চলমান উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ১০ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার এবং প্রথম বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সামিট-২০২৩।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এ মেলার উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহাবুবুল আলম, পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক মহিউদ্দিন হেলালসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় প্রবেশ মুল্য ৩০ টাকা। তবে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ছাত্রছাত্রীদের কোনও প্রবেশমূল্য লাগবে না। প্রবেশ টিকিটের বিপরীতে সবার জন্য রয়েছে র্যাফেল ড্র এবং এয়ারলাইন্স টিকিটসহ বেড়ানোর জন্য আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার ও পুরস্কার। মেলার এ বছরের থিম ‘কানেক্টিং রিজিওনাল ট্যুরিজম’।
অনুষ্ঠানের মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সকল ধারায় বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় উঠেছে। পর্যটনও তেমনই একটি খাত। বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে পর্যটনের উন্নয়ন। তাই বর্তমান সরকার পর্যটন খাতের স্থায়ী উন্নয়নে কাজ করছে। পর্যটনে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষে ইতিমধ্যেই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে পর্যটনে সমন্বিত উন্নয়ন করা হবে। যা দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আরও বেশি আকর্ষিত করবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগেরও ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এছাড়াও পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সাবওয়ে ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভুতপূর্ব পরিবর্তন আসছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হচ্ছে।
গত নয় বছরে এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার এ অঞ্চলের ভ্রমণপিপাসু মানুষ, শিল্প ও পর্যটন পেশাদারদের একত্রিত হওয়ার জন্য একটি প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মেলার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটনের গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সামিটে (বিটিডিএস) নানান সেমিনার এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, নেপাল, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং দুবাইসহ একাধিক দেশের ১৫০টি পর্যটন সংস্থা মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।
এ বছর এটিএফ ১০ম বার্ষিকী উদ্যাপন করার কারণে আরও আকর্ষণীয় হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা, কিন্তু অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ছাত্রছাত্রীদের কোনো প্রবেশমূল্য লাগবে না। তবে প্রবেশ টিকিটের বিপরীতে সবার জন্য রয়েছে র্যাফেল ড্র এবং এয়ারলাইন্স টিকিটসহ বেড়ানোর জন্য আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার পুরস্কার।
প্রতি বছর ন্যাশনাল ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (এনটিও) ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ডেস্টিনেশন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (ডিএমসি), এয়ারলাইন্স ক্রুজলাইন্স, বিদেশি দূতাবাস এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ভ্রমণ অ্যাসোসিয়েশনগুলো এটিএফের এক ছাদের নিচে একত্রিত হয়। এটিএফ ঢাকার এই বছরের থিম ‘কানেক্টিং রিজিওনাল ট্যুরিজম’। তাই পর্যটন এবং অর্থনৈতিক বুদ্ধি, সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা বিনিময়, সীমান্তের এপার-ওপার সংযোগ স্থাপন এবং আঞ্চলিক পর্যটন জোট গঠনের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
নিউজ /এমএসএম