থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকার পর মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) প্রথমবারের মতো দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরপরই গ্রেপ্তার হয়েছেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই থেকে একটি প্রাইভেট জেটে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় রাজধানী ব্যাংককে অবতরণ করেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এসময় তার শত শত উচ্ছ্বসিত সমর্থক উল্লাস, বক্তৃতা এবং গান করছিলেন।
এর আগে থাইল্যান্ডের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, তাতে ঘন নীল স্যুট ও লাল টাই পরা থাকসিনকে ছোট একটি বিমানের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা ইংলাকের আরেকটি পোস্টে দেয়া ছবিতে থাকসিনকে সিঙ্গাপুরে তার ব্যক্তিগত বিমানের ভেতরে বসে থাকতে দেখা যায়।
এই পোস্টে ইংলাক বলেন, যে দিনটির জন্য আমার ভাই অপেক্ষা করছিল তা এসেছে।
নিজেও স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা ইংলাক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে তুমি নিঃসঙ্গ বোধ করেছো, একাকী, অস্থির আর দেশকে মিস করেছো কিন্তু তুমি ধৈর্য্যশীল ছিলে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, দেশে ফেরার পর থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মূলত তার অনুপস্থিতিতে দেয়া কারাদণ্ডের বিষয়ে কী করা হবে তা সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে তিনি দীর্ঘ দিন কারা হেফাজতে থাকবেন এমনটা কেউ আশা করছে না।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় এসেছিলেন থাকসিন। দেশটির অভিজাত শাসকদের অবহেলার শিকার গ্রামীণ ভোটারদের মধ্যে আবেদন তৈরি করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। পাঁচ বছর পর নির্বাচনের আবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসেন।
কিন্তু ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় দেশে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের দুই বছর পর ২০০৮ সালে কারাবাসের শাস্তি এড়াতে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। তারপর থেকে অধিকাংশ সময় তিনি দুবাইতে ছিলেন।
নিউজ /এমএসএম