সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে ট্রেনের ধাক্কায় চিকিৎসকের মৃত্যু সাংবাদিক মুরাদ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক লাঞ্ছিত আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক বিসিক এর প্লট বরাদ্দ নিয়ে শ্রীমঙ্গলে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সম্প্রীতির বন্ধনে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই- সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পঞ্চগড়ে বিএনপির ৩১ দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা সহ সকল নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র পিএফ ও গ্র্যাচুইটি সুবিধাদির চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত

শোক দিবসের আলোচানায় শেখ হাসিনা

বিদেশিদের উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৬৯ এই পর্যন্ত দেখেছেন

বিদেশিদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচন নয়, তারা উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আওয়ামী লীগের স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন নির্বাচন নিয়ে অনেকে উতলা হয়েছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- ২০০১ সালে যখন আমাদের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে, তখন তো নির্বাচন নিয়ে তাদের এত মাথাব্যথা ছিল না। ৯৬ সালে খালেদা জিয়ার বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে তো তাদের এমন চেতনা দেখিনি। খালেদা জিয়ার ভুয়া ভোটার নিয়েও তো তাদের কোনো উদ্বেগ দেখিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ দেশের যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালাল, তাদের সঙ্গে বসতে হবে কেন? আমার মনে হয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা তাদের পছন্দ না। এদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বা গণতন্ত্র না। এরা উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায়।

কয়েক বছর আগে করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে তারা গণতন্ত্রের কথা বলেন। আমি তাদের ওখানে (যুক্তরাষ্ট্র) দেখেছি, গভর্নমেন্ট অব দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল। তাদের বলেছি- আমি এমন দেশ থেকে এসেছি, যেখানে গভর্নমেন্ট অব দ্যা আর্মি, বাই দ্যা আর্মি, ফর দ্যা আর্মি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে নানা রকম চক্রান্ত আছে। অনেকে এটিকে ব্যবহার করতে চায়। আর এখানে বসে আশপাশে আক্রমণ করবে। আমাদের কিছু আঁতেল আছে। তারা এসব চিন্তা করে কি না, জানি না। কিছু উপলব্ধি না করেই দুটো পয়সার পাওয়ার আশায় এদের সঙ্গে সুর মিলায়। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আর আগেও গ্যাস বিক্রির কথা আসছিল, আমি বলেছিলাম- দেশের স্বার্থ বেঁচে ক্ষমতায় আসতে হবে, এত ক্ষমতালোভী আমি না। আমার বাবাও এমন ছিলেন না।

নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের একজন কুলাঙ্গার সুদখোর আছে। শ্রমিকের অর্থ মেরে খায়, ট্যাক্স দেয়নি। গরিব থেকে উচ্চ সুদে টাকা নিয়ে মেরে দিয়ে বিদেশে পাচার করে। এটাই তো কথা। উনি তাদের প্রিয় ব্যক্তি। আর আমরা কাজ করি, মানুষের কল্যাণে।’

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ও এর বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না, এটাই বাস্তবতা। ভেবেছিল কোনোদিন এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই এ দেশের মানুষকে। ২১ বছর পর তাদের সমর্থনে ক্ষমতায় এসে সেই বিচারের উদ্যোগ নিই। ৩৫ বছর সময় লেগেছে বিচার পেতে। কিছু খুনির রায় কার্যকর হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন জিয়া। এরশাদ এসেও তাদের পুনর্বাসন করেছে। ব্যারিস্টার মঈনুল খুনিদের নিয়ে দলও গঠন করে। এটা খুনিদের মদদ দেওয়া।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ফেলে। ইসলামী প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেডিও বাংলাদেশ করে। জয় বাংলা স্লোগান বাদ দিয়ে জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে আসে। ইতিহাসই বিকৃতি করে। বাংলাদেশের মানুষের উন্নতির সব স্বপ্ন বন্ধ হয়ে যায়। খুনি মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করল, জিয়াকে সেনাপ্রাধান বানাল।

May be an image of 1 person, dais and text

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মীর জাফর যেমন তিন মাসের বেশি থাকতে পারেনি, তেমনি মুশতাকও থাকতে পারেনি। জিয়া ক্ষমতা দখল করে। উর্দি পরে ক্ষমতারোহণ এবং পরে নিজেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করারও চেষ্টা করে। আর্মি রুলস ভঙ্গ করে একটা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করে। ভোট কারচুপি ও ভোটচুরি তো সেখান থেকে শুরু। এরপর বিএনপি নামক সেই দল করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। সেদিন ঘাতকের বুলেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা বাংলার মাটিতে ঘটে যায়। এটি সেই কারবালার ঘটনাকেও হার মানায়।

May be an image of 10 people, clarinet and text

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সূচনা বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আওয়াল শামীমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

নিউজ /এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102