গত ১০ মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কিংবা প্রচারিত ১ হাজার ৪৩১টি লিংক অপসারণের জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টিকটক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব ইত্যাদি নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়। ইতিমধ্যে ১২০টি উদ্ভূত সাইবার হুমকির বিপরীতে অ্যালার্ট পাঠানো হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি মাসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির উদ্যোগে ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজার ব্যক্তিকে সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার বা প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে সচেতন করা হয়েছে।
নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, টেলিটকের নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ২ হাজার ২০৪ কোটি টাকা জিওবি অর্থায়নে ‘গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ফাইভ-জি সেবা নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ৩ হাজার নতুন বিটিএস সাইট স্থাপন বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে টেলিটকের বিটিএস সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজারে উন্নীত হবে।
পলক বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের ৫১৯ কোটি টাকা অর্থায়নে দেশের দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওর, উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চল এলাকায় টেলিটকের নেটওয়ার্ক সেবা সম্প্রসারণের কাজ চলমান রয়েছে। অধিকন্তু, টেলিটকের নেটওয়ার্ক সেবাকে ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চীন সরকারের অর্থায়নে দুই হাজার বিটিএস সাইট সংযোজনের জন্য একটি প্রকল্প নেবার পরিকল্পনা রয়েছে।
নিউজ/এম.এস.এম