পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ইকো পার্কে কুকুরের কামড়ে একটি চিত্রা হরিণ মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে জেলা সামাজিক বনবিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত ওই ইকো পার্কটিতে রাখা তিনটি হরিণের মধ্যে ওই হরিণটিকে কুকুর হামলা করলে হরিণটি নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ আহত হরিণটির চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করছেন তারা। তবে বনবিভাগ বলছে কুকুরের কামড়ে নয় ইকো পার্কের ভেতরে ঢুকে পড়া একটি ভারতীয় কুকুরের তাড়া খেয়ে আহত হয়ে হরিণটির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার মৃত হরিণটির ময়নাতদন্ত করা হবে জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে হরিণের ঘেরার নিচ দিয়ে কয়েকটি কুকুর প্রবেশ করে তুলনামূলক দুর্বল ওই হরিণটির উপর আক্রমণ করে বসে। এতে মারাত্মক আঘাত পায় হরিণটি। পরে বনবিভাগের লোকজন কুকুর তাড়ালেও আহত হরিণটির চিকিৎসার কোন উদ্যোগ নেয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় আহত চিত্রা হরিণটি। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় অপর দুই হরিণ। ঘটনার পরপরই বিষয়টি গোপন করার জন্য তৎপর হয়ে উঠে বন বিভাগের কর্মকর্তারা। সাজানো হয় গল্প।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইকো পার্কের কাছের এক বাসিন্দা জানান, পাঁচটি কুকুর কামড়ে ধরেছিল হরিণটিকে। এতে হরিণটি আহত হলেও তারা এর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ঘাড়, পা ও পীঠে মারাত্মকভাবে যখম হয়েছিল হরিণটি। মূলত ইকো পার্কের কর্মীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই প্রাণ গেলো এই প্রাণিটির। এর আগেও তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে হরিণ মারা গেছে।
সামাজিক বন বিভাগ পঞ্চগড়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা উজ্জল হোসাইন জানান, কুকুরের কামড়ে নয় ইকো পার্কের ভেতরে ঢুকে পড়া একটি ভারতীয় কুকুরের তাড়া খেয়ে আহত হয়ে হরিণটির মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। হরিণটির বয়স দেড় বছরের মতো। হরিণ খুব ভীতু প্রাণী। এ ঘটনায় আমি নিজেই তদন্ত করবো। দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।