পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে গরু। এর মধ্যে উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নেই মারা গেছে ২০০টিরও বেশি গরু। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় খামারিরা।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানান, মাসখানেক আগে তিরনইহাট ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে দেখা দেয় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ। মুহূর্তেই তা পুরো ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৬০০ গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। পাশের বাংলাবান্ধা ইউনিয়নেও ১৬৫টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
খামারিরা জানান, শুরুতে গরুর সারা শরীরে বসন্তের মতো গুটি গুটি ওঠে। তারপর হাঁটু, গোড়ালি ও গলা ফুলে যায়। জ্বর ও প্রচণ্ড ব্যথায় খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেওয়ার পর গরুর মৃত্যু হয়।
তিরনইহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে অন্তত ২০০ গরু লাম্পি স্কিন রোগে মারা গেছে।
তেতুলিয়ায় ইউনিয়নের চেয়াম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিক জানান, সঠিক তথ্য নেই প্রায় ১ শত গরুর মৃত্যু হয়েছে।দেবনগর ইউপি চেয়ার ম্যান সোলেমান আলী বলেন,ঘরে ঘরে গরুর মৃত্যু হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘লাম্পি স্কিন রোগ হলে গ্রামের মানুষ প্রথমেই গ্রাম্য পশু চিকিৎসকদের কাছে যান। তাঁরা প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন। এতে গরুর অবস্থা আরো খারাপ হয়। আমাদের এখানে আনা হয় রোগের তৃতীয় পর্যায়ে। প্রশিক্ষণ নিয়ে যাঁদের খামার করার কথা ছিল—তাঁরাই এখন পশু চিকিৎসা করছেন। এটাই এখন বড় সমস্যা। তাঁদের কারণেই ক্ষতি হচ্ছে বেশি।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রতন কুমার ঘোষ বলেন, ‘তেঁতুলিয়ায় লাম্পি স্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’