তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) সংবাদদাতা : ফেডারেশন অফ কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের ডাকে সারাদেশের ন্যায় চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় কর্মবিরতি পালন করছেন সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক কাস্টমস এজেন্ট লাইসেসিং বিধিমালা এবং পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস কোড এবং সিপিসি নির্ধারণে প্রণীত বিভিন্ন আইন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানা যায় লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২০ সংশোধনের দাবি একাধিকবার জানিয়ে আসলেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে এ কর্মবিরতির ডাক দেয় ফেডারেশন অফ কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশন।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের আহবায়ক রেজাউল করিম রেজা বলেন, ২০২০ সালে প্রণীত লাইসেন্সিং বিধিমালা সংশোধনের জন্য কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অনুরোধ জানালেও তারা আমলে নেয়নি। অবশেষে কেন্দ্রীয় ফেডারেশন অফ কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের ডাকে আমরা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এই কর্মবিরতি পালন করছি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাবান্ধা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েসনের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইদুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন মুসা, সিএন্ডএফ সদস্য সাদেকুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে কর্মবিরতির কারণে বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা আদায়ে বাধাগ্রস্ত হবে। একইসাথে বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ির জটের আশঙ্কাও রয়েছে। এ বন্দরে প্রতিদিন ২শ থেকে ২৫০টি পণ্যবাহী গাড়ি আমদানি-রপ্তানী কাজে চলাচল করে। এতে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের ডাকে কর্মবিরতির কারণে স্থলবন্দরের আমদানি কার্যক্রম ব্যহত হওয়ায় সরকারকে হারাতে হবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। তাই সমাধানের মাধ্যমে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি করেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।