নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ইনামবাঐ গ্রামে মারামারি ঘটনার ৩ দিন পরে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে আহত মামদ আলী (৬০) এর মৃত্যুর হয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, পুর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ইনামবাঐ গ্রামের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রুসমত উল্লার ছেলে মামদ আলী (৬০) সোমবার ঈদের জামাত শেষে বাড়ী ফেরার পথে মৃত জুনাব আলীর ছেলে পর্তুগাল প্রবাসী ভাতিজা রাজু মিয়া, সাবাজ আলীর ছেলে ছানু মিয়া, ছানু মিয়ার ছেলে সোহান মিয়াসহ ৬/৭ জনের একদল দল ধারালো অস্ত্রসহ কাঠের রুল দিয়ে মামদ আলীকে বেদরক মারপিট করে। এতে তার বুকে, পিঠে, পা’য়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। পিতাকে বাচাঁতে গিয়ে মেয়ে তানিয়া আক্তার (২৫) এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করেন রাজু মিয়াগংরা।
গুরুতর আহতাবস্থায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত মামদ মিয়াকে এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা দেয়া হয়। ৩রা এপ্রিল দিবাগত রাত ২ টার দিকে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে স্বজনরা দ্রুত উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মামদ আলীকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে রাতেই ওসি (তদন্ত) দুলাল মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ মৃতের ছুরতহাল শেষে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসেন। শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতের পরিবার বলেন মামদ আলীকে হত্যাকারী ভাতিজা রাজু মিয়া পর্তগাল প্রবাসী যে কোন সময় পালিয়ে যেতে পারে। এ জন্য তাকেসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ময়না তদন্তের রিপোট আসলে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।