শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অপপ্রচারের প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন শিপার্স কাউন্সিল অফ বাংলাদেশের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে র‌্যাব-৯ এর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত ইনসানিয়া ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান মোহন এর আরোগ্য কামনায় দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠিত পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের নির্দেশ ওয়েলস আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের উদৌগে মহাণ বিজয় দিবস উদযাপিত লামায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে পার্বত্য উপদেষ্টা আল্লামা শিঙ্গাইরকুড়ী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ.) ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সচিবালয়ে কুকুর ঢুকল কিভাবে —সারজিস আলম

কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর শ্রেষ্ঠ কবিতার ডালি

কবি বিদ‍‍্যুত ভৌমিক
  • খবর আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৮ এই পর্যন্ত দেখেছেন

ম্যাকডেভিড মহাশূন্য এবং প্রতিটা জন্মের 

ক )  এখন অদ্ভুত এক বাতাস বইছে । বাতাস নয় , অতীব পরিণতি
এই বিশ্রী সময়ে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গম হয় জীবনের
মৃত্যু বাড়ে , বেড়েই চলে সর্বনাশের মতো আয়ু
এখানে প্রভূত কষ্টে অন্ধকার গর্ভের ভেতর একাই নিঃশব্দ ;
নির্জনতা !

অথচ শরীরহীন স্বপ্নগুলো প্রতিদিনের কানাকড়ি নিয়ে
বিস্মৃতির ভেতর ডুবে গেলে বুকের ড্রয়ার খুলে
কেউ একজন দেখে নিজের কঙ্কাল ! বেশ বিষজ্বালায় অনন্ত গভীর অতল , সেও মৃত অন্তহীন অবুঝ – নির্বোধ
পরের বাক্য কবিতার কাছাকাছি চোখ ভরা বহতী নীরবতা
সেটাও ইচ্ছা হলে ছুঁয়ে থেমে যায় ……..

খ ) নতুন স্মৃতিতে ছায়ারাও অবাক

শিকড়ের টানে শুরু হয় অলীক আক্রোশ
প্রতিটা জন্মের মৃত্যু মহাকাশ থেকে ম্যাকডেভিড মহাশূন্য
ছিমছাম অথচ সতত যন্ত্রণা ভোগে ! বেশ কিছু অভুক্ত চোখ
কবিতার ভেতর সময় কাটায় — এই হোলো জীবন ;
জরায়ুর মধ্যে খোঁজে কবেকার প্রাচীন খোলোস ।
যদি মরে যাই, — অথবা জ্বর থুতু , শ্লেষ্মা , — এদেরকে ভিখারি
করে রেখে যাব !
পথ পৃথিবীময় , গোপনতা আরও ভেতরে অনন্ত বিস্মৃত !

গ ) হয়তো সারারাত আত্মঘাতী স্মৃতিরা

নিজস্ব নিয়মে দিক চিহ্নহীন — ঘৃণা এবং অস্থিরতা
প্রতিদিন সিঁড়ির প্রতিটা ধাপে মধ্যরাতের চাঁদ চোখচুপ প্রণয়ে
বুকের মধ্যে রাখে বিশ্বাসী হাত ! অহর্নিশ এই দুর্দিনে এই আমিত্ব
ভরা নিঃশব্দ ; স্বভাবতই ক্যালেন্ডারে দোল খেতে খেতে
অন্ধ হয়ে গেছে ;
শেষ রাতে অভিমানের তালা খুলে যায়
ব্যক্তিগত স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয় মনে মনে কথা বলাবলি ,
এরপর কবিতা থেকে দু’চোখ তুলে নিয়ে নিজের কপালে মাখি
নষ্ট আকাশের সর্বনাশী জ্যোৎস্না —
( এটা অবশ্য সখ করে নয় ; আবার সান্ত্বনা পাব বলে নয় )
কিছু কিছু অপূর্ণতা ম্যাকডেভিড মহাশূন্য মনে হয়
সেজন্য দিকচিহ্ন মুছে অতীত স্মরণের পথে একা হেঁটে যাওয়া
পাগল বৃষ্টির দল অবুঝ শিকারী, সেখানে বিচ্ছেদ জ্বালায়
নির্জন হয়ে থাকে পূর্ব পরিচয় । ( নির্ঘুমের উপাখ্যান ) —

ঘ )  বেঁচে থাকতে তোমার অতীব কাছে চোখ ছিল সততই ঈশ্বরীও

বুকের ভেতরে এক সমুদ্র ঢেউ ; নতুন আকাশ থেকে
নতুন তারাদের বিজ্ঞাপন অন্তর লজ্জায় ঘুমের মতন একদলা স্বপ্ন
গন্ধে বহতাময় ! কেমন সহজ সেই ছবি এঁকে ভাসমান সুখ দেখতে চেয়ে ওষধি স্মৃতির ভেতর চোখাচোখি ; ‘
চোখের মধ্যে ছুটে আসা স্পষ্ট ছায়া চুম্বন মুছে—
তুমি এই মৃত্যুর আগেও শ্মশান যাত্রীদের নাম বাতাসে লিখেছো
সেই সারাদিনের বৃষ্টি স্পষ্ট কথাগুলোকে ইস্ত্রি করা পোশাক
পরিয়ে কবিতা করেছি !

ঙ ) এই একবারই বৃষ্টি এনেছি চোখে ; তোমাকে দিয়েছি অরণ্য

উপহার ! এই একবারই নরকের পথ ঘুরে লক্ষ্যশিরা – উপশিরায়
জন্মঋণের রহস্য খুঁজেছি, অতলমন্ত্রে শূন্য নামে পায়ের নীচে
বৃষ্টির গোপন ধারায় এলোমেলো হয় আয়নার তেপান্তর —
তবুও এই একবারই শ্রাবণ এনেছি অন্তরীক্ষ ভেঙে !
বেশ কিছু মৃত্যু আমার চেনা হয়ে গেছে , —
আমার প্রতিজন্মের মৃত্যু আক্ষরিক এবং ভালোবাসাহীন
এই জন্যেই মুছে দিতে হয় প্রতিটা মাতৃগর্ভের স্মৃতি
মনের ভেতর থেকে যাবতীয় স্তব্ধতা ;
আদেশ দেয় তুমি পদবী ভুলে যাও !

চ )  ফের দুঃস্বপ্ন, ফের ঘুনন্ত অস্তিত্ব শরীরময়
সমস্ত আকাঙ্ক্ষার ঘ্রাণ নিছক অবহেলায় মুছে দেয়
কত পথ, কত প্রেম, কতই যন্ত্রণার অবুঝ অস্থিরতা
এসব আমাকে বোঝায় — আমি প্রাণহীন জীবন নিয়ে
অতৃপ্তির জ্বালায় কত শত বছরের আকাশে ঘুরেছি ;
এই একা একা পোশারহীন পছন্দ – অপছন্দ অথবা ছদ্ম আদর্শ
আমাকে অহর্নিশ অনন্তকাল ঘোরায় – ফেরায় – ভাসিয়ে ছাড়ে !

কোথাও মৃত্যুর ছবি দর্পণে দেখা দিলে ফুল – চন্দনের গন্ধ
পাপমোচনে উৎসাহ পায় !
কী এক দেবতার কাছে আমার প্রতিটা মৃত্যু বিশ্লেষণ ;
অনেকটাই ভাসমান !

ছ ) এরপর যতদিন মনে পড়া পাতা খসা বিকেলে

কে আমার কথা মনে করছে ? সে কি প্রতিটা জন্মের চেনা মুখ ,
চারপাশে অসুখের ভেতর চুপচাপ হয়ে থাকে হেমন্তের চাঁদ
ঘুম কাটেনা দুঃখে – অভিমানে ,
স্বপ্নের পোশাক খুলে স্নান করে অশরীর স্মৃতি *****
কেউ একজন নতমুখে ঘরে বসে থাকে , —
সেই কি প্রেত ? হতে পারে !
এর মধ্যে মন ভেঙে গেলে সমস্ত নির্জনতা হয় খেলার সঙ্গী
কতদিন এভাবে আসি আর যাই
কতদিন রাত ডোবা ভোরে ; মৃত্যুর এক ঘন্টা পরে আবার জন্মাই
তারপর নির্নিমেষ খুঁজি ফিরি পথ, যে পথে দিক চিহ্নহীন
দূরে আমার ঈশ্বর দাঁড়িয়ে আছে!______

_____________________________

অন্য বাসর

আমার একটা নৈঃশব্দে ঢাকা দুনিয়া ছিল , ওখানে রাত জেগে ছবির চরিত্র গুলো পাহারা দিত ; যাতে মধ্যরাতের ছেকা খাওয়া কোকিল না ডেকে ওঠে !

সেই অপ্রমেয় অনুরাগ থেকে বেরিয়ে আসার সময় ভা-লো-বা-সা দূর রাস্তায় মিলিয়ে গেল ! তবুও স্বপ্নের মধ্যে হাত এগিয়ে দেই চেনা কোন যন্ত্রণার দিকে স্পর্শ দিতে ,……
তবু কেন ঘরে ফেরার সময় হতেই মৃদু কান্নার শব্দে মনে হয় ; কিছু ফেলে যাচ্ছি না তো?

___________________________________

সেই মেয়েটার মৃত্যুর গল্প

ভুল স্বীকারের গুপ্ত ভয়ে
পাঁচ পা পিছিয়ে যেতেই নিজের জন্য তুচ্ছ হয় গোটা জীবনের সঞ্চয় !
নানা আয়োজনে ভেতরটুকু বহুবার ঢেকেছেন কৃতকৌশলে একান্ত নিজেকে ; অতলান্তে অশান্ত আত্মবীজ ঈশ্বরীও স্তব গানে লক্ষজনের ভেতরও একা ও একক হয়ে মিথ্যা মিথ্যা নিছক হেয়ালীতে হাসে ও দাপটে কথা বলেন ! তবু অতন্দ্র চেষ্টা তাঁর প্রতিদিনের রাত ঘুমে সিংহাসন লোভা স্বপ্নে বহতা বিভোর !

এই এক মাসের ভেতর ধর্ষিত মেয়েটার খুন হবার খবর পেয়ে গেছে দেশ দেশান্তর , রাতের অন্ধকারে পথে পথে মোম শিখার আলোয় এক আকাশ আবেগে বিচার চেয়ে চলেছে কত শত হাজার – লক্ষ প্রতিবাদী মুখের দল !
ওদের রক্তাক্ষরে লেখা পোষ্টার গুলো নৈঃশব্দের ভেতর উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে সারা রাতের লাইভ টেলিকাস্টে !

সেদিন অন্য কিছু অচল নিভৃত দশায় চাঁদ ছিল অলৌকিক নির্বাসনে ; তুমি ছিলে প্রতিরাতের মত শান্ত নিরবে একক ……..

রাস্তার আনাচে কানাচে খুন হয়ে যাওয়া অসহায় প্রেত ছায়াগুলো চোখে ভর রেখে নিঃশব্দে পা ফেলে ফেলে হেঁটে গেছে লাশকাটা ঘরের দরজার কাছে ! তোমাকে শেষবারের মত দেখতে ,……

শেষ একবার অন্য দিনের মত ওই দিন ঘুমন্ত ছিলে তুমি ; পরবর্ত্তী অথৈ প্রহরে নষ্ট সময়ের বাতাবরনে সহজ সত্য ভাবে ঘুম থেকে উঠে হাত ঘড়িতে সময় দেখনি সেদিন !

সেই কুটিল ক্ষণ প্রবাহে চাঁদ – তারা – আকাশের মতই বাতাসও স্তদ্ধ ছিল নিঃশব্দ অবিরাম ,….. অপৌরুষ কুলাঙ্গার রূপী কুৎসিত্ লোলুপ থাবা গুলো ঘৃণ্য নখড়ে তোমার পবিত্র নারীত্বের আদোলকে করে ছিল ক্ষত বিক্ষত , ….. তোমার অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর বুক ফাঁটা আর্তনাদের ভাষাহীন স্তবক বন্ধ ঘরের চার দেওয়ালের দরজা ভেঙে সভ্যতার কর্ণ কুঠরিতে তখনো এসে ঘুম ভাঙায়নি উঁচু আকাশের মহামান্য তারাদের ! সময় ধরে ধরে তুমি একটু একটু করে তখন মরে যাচ্ছিলে , …..

তোমার করুণ আর্তনাদের ভেতর দয়া মায়াহীন ভদ্র সেজে থাকা ছদ্মবেশী পাষন্ড শয়তান গুলো আদীম হিংস্র অসভ্যতায় এক এক করে ছিড়ে খাচ্ছিল তোমার নিঃষ্কলঙ্ক শরীর ; একে একে বহুরূপ উত্তেজনায় গর্ভগৃহে ঢেলে দিয়ে ছিল বিষাক্ত যৌন হলাহল !

হে প্রাণ প্রতিমা ক্ষণজন্মা মাতৃ রূপিনী বিশ্ব জননী নারী ; তোমার বিদায় ক্ষণে বিসর্জনের ঢাক মৃদু কান্নায় আচম্বিতে বেজে উঠলো আশ্বিনের শারদ প্রাতে শিশির ভেজা শুভ্র সকালে !
___________________________________

অস্বীকার তো করিনি তোকে

একটা ছায়ার উপর দাঁড়িয়ে মনে হল যেন আমিও কৃয়াপদহীন ; অশরীরী ! কবেকার মনটুকু জটিল সময়ের ভেতর দিয়ে থেকে থেকে ভুলে গেছে নিজেকে নিজেই ,—– এই মন দেহশূন্য নামগোত্রহীন অপ্রমেয় বিদেহী !

তুই অস্বীকার করলেও , না করলেও আমি প্রাচীন ভাষ্কর্যের মত এভাবেই একা ও একক রোদ বৃষ্টিতে নিঃসঙ্গ ! মন খারাপের গন্ধে নির্ঘুমে একাই থেকেছি স্মৃতিবাস সম্মেলিত ; এই নৈমিত্তিক কারণে তোকে ছুঁয়ে দেখার সামর্থ্য হয় নি একবারও ….. তবুও এই প্রেমগুলোতে তুই-ই যেন কুয়াশা মেখে অস্পষ্ট ভাসমান এখন !

কবিতার পাতায় পাতায় বুদ্ধিদীপ্তা সুন্দরি তুই , এটা যেন আমার নিঃশব্দে বলে ফেলা কাঙালপনা ; তাই না রে ?
সেবার হঠাৎ বৃষ্টিতে বুকে জ্বলছিল অহংকার ; অন্য এক স্বপ্নের কাছে তুই ও পলাশ রঙা হাসি ছড়িয়ে বিক্রি করছিলি তোর আনন্দ – সুখ ; আরও কত কি ! আমি তখন কতকালের শ্মশানে একা এভাবেই পুড়ছিলাম ; সেই দেখে দেখে !

এই একটাই দেওয়ালহীন ঘর ; আশ্চর্য রকম বৈরাগ্যে অনেকটাই রূপকথার মত ! এখানে এই ঘরে তোর শ্বাস – প্রশ্বাস একদিন ছিল ভীষণ অলিখিত সর্তহীন ….. অথচ এখন এই ঘরটা নেটওয়ার্ক ছাড়া বেমালুম নিরবতায় আহত বিষাদাকীর্ণ তুইহীন নিঃশব্দ ; নির্জন !

কিছু কিছু নির্জনতা নির্ধারিত স্তব্ধ ; একেবাকেই কথাহীন ৷ নতুবা প্রেমের কাছে অনেকটাই অহর্নিশ কৃতদাশ ! অন্তর্দহনে দগ্ধে দগ্ধে না মরেও মৃত চিরকাল ,—- যদিও কবিতার কাছে কতবার তোর জন্যে ক্ষমাও চেয়েছি হৃদয় শূন্য করে ; কতবার এই ঘরের বিছানা চাদর পুড়েছে অমনষ্কে সিগারেটের আগুনে , একমাত্র তোকে মনে করে ! স্নায়ুতে মায়াবন্ধনী তুই ; এই অবধারিত মন কষ্ট এক মূহুর্ত বিশ্রাম দেয়নি আমাকে ….. অথচ বহু দূর থেকে একই পথ ধরে চলতে চলতে গাছবৃষ্টি চোখের পাতা ভিজিয়ে ছিল ; সেটা একমাত্র তোরই জন্য হে প্রেম !

মৃত্যু মৃত্যু স্বপ্নগুলো জীবন্ত ফসিল ; এই প্রবাহমান সৃজন কষ্ট গুলো ইচ্ছানুযায়ী মরে ও বাঁচে এটা একমাত্র তোরই জন্য হে প্রেম , প্রিয় নারী ! অশরীর ভালোবাসা !!

___________________________________
স্তবকে নির্ঘুম আদরের অষ্ট

এই নিঃশব্দ প্রবাহে ঝিঁ ঝিঁ আঁধার মেশা বৃষ্টির ভেতর প্রিয় পুরুষ অচম্বিতে তোকে ছুঁলেই ; কপাল জুড়ে ঘাম ঝরাচ্ছে মহত্ প্রেমার্ত ! তবু শেষ আদরটুকু মৃত্যু দিয়ে সোদ কী হবে তায় , ….. বুকের ভেতর মন হারানোর কথা ; সাত সমুদ্রে কত দূরে ভেসে যায় ! সেই বয়সটা মেঘলা রঙ নিয়ে এভাবেই আঁকে ছবি ; সেই ছবিতে নেইযে অসুখ – বিসুখ , …. তবুও তুমি একাই একক নারী ; প্রেম-অপ্রেমে অদেখা অনেক কিছু ! বৃষ্টির গন্ধ মেখে এভাবেই নির্ঘূম রাত্রি যাপন ……..

অনেকটা পথ একটানা চলে চলে ; মন হারানোর পদ্য বলি তোকে ,
অনেকটা রাত বৃষ্টির ধ্বনী শুনতে শুনতে জেগে বসে শেষকালে , এ’মন শুধু ডুবেছে গভীর শোকে ! অন্য পুরুষ আমার মতন করে হঠাৎ তোকে স্বপ্নে চুমু খেলে ; লজ্জায় তুই শেষ করে দিশ অন্য আরও কিছু কথা , ….. তোর অভিমানে অন্য নারীর চোখে তাকিয়ে দেখি ভাঙাচোরা নীরবতা !

এই যে আমার অতীত হয়েছে শুরু ,
চোখের পাতায় ভাসছে মৃদু বর্ষণর অতলান্ত অভিমান ; ওই যে আমার কত কবিতার বাণী চিরন্তনী অথচ এলোমেলো ! না পাওয়ার জ্বালায় পুড়ছে বহুকাল ……..

যদিও এই একটানা বৃষ্টিতে প্রেম-ট্রেম বোঝেনা রাত ; মন যেন ভেজা ভেজা বাতাসের সাথে অন্য কথা বলে ,….
মেঘের বুকে কাপুরুষ তারাগুলো মান-অভিমানে এভাবেই পথ চলে ! ঠিক আমারি মতন …..

আমিও ভাবিনি শেষ স্তবকের মত গোপন করি অদেখা পুরুষটাকে ;
সাদাপৃষ্ঠায় বর্ণিত করি তোর ভিজে ওঠা নগ্নতা ,
মৃদু হাসি হেসে নীরবতা নিয়ে থাকে আজীবনের কলঙ্ক ও পাপ !

তবুও কেন রাতভোর বৃষ্টিতে অপেক্ষায় বসে থাকে দেওয়ালে আমার সাতান্ন বছরের ছায়া ; চুপ হয়ে যাই শরীর থেকে নিজে , …..
নিপুণ ভাগ্যে চিতার আগুনে জ্বলি , দর্পণে দেখি দু’চোখ অজান্তেই উঠেছে ভিজে !

___________________________________
এবং নির্বাসন

শেষটুকু শব্দশ্বাস ফেলে তবেই শরীর ছেড়ে আমার আত্মগোপন ; এহেন এক্ষণে জোনাক প্রহর ! সমস্ত সস্তা বৈভব , কিছু কিছু উল্টো সময়ের বিমূর্ত ধ্বনী ; জরুরী মনে করে ফেলে আসা সন্ধ্যার ওই রাস্তাতে রাতটাকে কাছে টেনে নিতে ,—– অশরীর এভাবে !

এই ঘরে আমার তেইশটা বছর ; একই নিঃসঙ্গ যাপন …. তবুও সহজ সত্য নিরবতায় প্রাচীন দর্পণ থেকে অবশেষ নিঃশব্দে আমার ইচ্ছাকৃত নির্বাসন !

দু’চোখে ডুবে আছে যাবতীয় স্বপ্নের স্মৃতি ; মৃত্যুর প্রত্যন্ত গভীরে চেনা মুখগুলো এই নীরবতামাখা দেহটাকে কতযে আবেগ শৈলী দিতে চারপাশ ছেঁয়ে ফেলে !
বহু কালের কথার চেহারা গুলো এভাবেই দীর্ঘশ্বাস ছড়িয়ে দেয় ফুল-চন্দন বৃত আমার শরীরে ,——

সব সত্য এভাবেই মেনে নিতে নিতে ভোরের আজানে আমি শ্মশানে জ্বলি বহতী নীরবতায় !
যদিও আত্মঘাতী কিছু স্মৃতি ; যাদের জন্য আমি মৃত্যুর পরবর্তী সময়েও সতত যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যুর ভেতর থেকে চড়ম অস্থিরতায় নতুন করে বেঁচে উঠি !

এভাবেই শরীরহীন অদ্ভুত শিহরণ ওঠে অপছন্দের কিছু ছদ্ম আদর্শ দেখে ; নিজের জ্বলে ওঠা শরীরের উপর বসে স্বপ্নে ভাসা দূরে মিলিয়ে যাওয়া অতীত গুলোকে নিঃশব্দ মাখা মৌন চিৎকারে বলি ; বিদায় বন্ধু , শেষ হোক প্রাণহীন অন্তরে যাবতীয় স্তব্ধতা ! দূরে ব-হু দূ–রে আয়নার তেপান্তর ; অথবা স্মৃতিশূন্য হোক আমার নির্নিমেষ নির্বাসন ! !

_______________________________________
মৃত্যু ধ্বনি ও বিদেহী অনুভূতি

মন থেকে কবেই হারিয়েছে কবিতার লুকানো বয়স ! যদি সময় চিনে চিনে দু’চোখে মৃত্যুর অসুখ মাখি ; তবে কী আরোপিত চিন্তায় দরকার মতো ডুব দেবে অবিকল ফেলে আসা আঠাশটা বছরের জন্মঋণ ? এই ভাবে দহনে বিমূঢ় কষ্টে স্মৃতিরা কাঁদে ! একই ভাবে রাত নিয়ে প্রতি পদে অতলান্তে পঙ্গু হয়ে অনেকটা চলা ,—— একই পথে শহরতলির রোদ ও বৃষ্টি ; অবগাহনে চোখ স্তব্ধ এতকালের কবিতাগুলোর কঠিনতম নীরবতা ! সেই’- যে অসংখবার মৃত্যুর একই পথে আমিহীন অন্য পৃথিবী ; অলৌকিক নগ্ন সাহসী ! এভাবেই ছায়াময় ঝাপসা স্মৃতির মধ্যে আমার ঘোরাফেরা থেমে যাওয়া সেই বয়সে !!

শূন্যের মধ্যে নেপথ্যে আয়নায় আঁকি মৃত্যু ছবি ! শ্মশান থেকে চলে আসার পর অদূরে গভীরতা ভরা নীরবতা ; নৈঃশব্দ্যে নিবিড় , তবুও এই পথে চোখের স্তব আমার প্রতিটা মৃত্যুর আশ্চর্য হেয়ালী নিয়ে মেতে থাকে ! একি আমি ; যতটা বিমূর্ত ততোটাই নিঃশ্চুপ উলঙ্গ !
আত্মার নিরাকার ব্যাথার দাগ গুলো থেকে গেছে একটাই মনে ; বদলেছে সময় অসময়ে শরীর , রক্ত , শিরা – উপশিরা ! তবুও মৃত্যুর ইচ্ছা নিয়ে মরি মরণের বহু আগে !

একই কথা বারেবারে বুকের প্রশ্বাসে ফিরে ফিরে আসে ; কার্যত ভিন্ন ভিন্ন আকৃতি নিয়ে যৌন দরজা দিয়ে পৃথিবীতে প্রবেশ ! এভাবেই জন্মের বহু আগে মৃত্যুর বীজ বপন ; কিছুই সত্য নয় ! আমি হীন আমিতেই পরে থাকা একান্নভাগ গোপনতা নিয়ে !
এই মৃত্যু গুলো প্রতিবার শূন্য দিয়ে মন পোড়ায় , প্রতিবার সমৃতিকে সান্ত্বনা দেয় আমার বিদেহী প্রেত ! নতুন করে ঘরে ফেরার দুঃস্বপ্ন জ্বলে ওঠে দূরবর্ত্তী শ্মশানে ! সেখানে চিতার আগুনে রচিত হচ্ছিল আমার আগামী জন্মের দিনক্ষণ ! এরপর ; সবটাই বিস্মৃতির অবিশ্বাসে ঢাকা সময় ও সভ্যতা !!

__________________________________
আকাশলীনা তোর জন্য

যতোই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মত মিথ্যা বলতে পারবো না ,—- তিন সত্যি ! দিব্বি কাটছি !

এই ভাবে ঠিক মনের মধ্যে প্রতি মূহুর্ত আঁকতে আঁকতে গভীরে তোর লাবণ্যরেখা ; এরপরেতে মেঘের দেহে হঠাৎ করে আচম্বিতে আগুন জ্বলে ওঠে , নতুন কেনা আয়না দিয়ে অঝর ধারায় শ্রাবণ নামে ছন্দ না মেনে ! ঠিক এভাবেই সে–ই আগের মতই দলবেঁধে বৃষ্টিরা সব একই সাথে নেমে আসে ভুবনডাঙায় ভরদুপুরে ! কি ; বিশ্বাস হ’চ্ছে না আকাশলীনা ?

শেষ সন্ধ্যায় চাঁদের আলো কী ভাসমান অসাবধানী ; তবুও যেন ভালো লাগা , মন্দ লাগা যাইনি ভোলা ! তোকে ছুঁয়ে বলছি ……

দুই হাতেতে হঠাৎ পাওয়া বৃষ্টি আদোর ; হৃদয়পাড়ে যত্ন করে রাখাই ছিল সাতটা বছর ! এটা আমার সর্বকালিন সত্যি কথা ; তবুও আমি বুক বাজিয়ে বলতে পারি ,— তোর মত একটাও মিথ্যা বলতে পারবো না !

অন্ধকারকে বনের পথে খুঁজতে গিয়ে আকাশ আমায় হাত বারিয়ে দু চার মুঠো হীরের মতন জ্বল জ্বলে কত তারা দিল , বিনে পয়সায় !

এই যে আমার মনের মধ্যে সমুদ্র এসে সতত ঢেউ তোলে ; তবুও যেন তুমিশূন্য তুমিশূন্য এই বিছানা ,—- অবিবেচক প্রতিটা রাতে !

যদিও আমার স্বপ্ন থেকে নতুন একটা আকাশ ডাকে ; রূপকথারা সেই হরিণীর পেছন ছোটে মৃগনাভীর ব্যাকুলতায় !

হঠাৎ করেই অন্য একটা সময় এসে হাজির হলো ! এই তো আমার ঠোটের মধ্যে তোর আঁকা সেই প্রথম চুমু ; অটুট তবু স্মৃতিনির্জন ,—– তবু কেন এই এতক্ষণ তোরই জন্য অতল জুড়ে বৃষ্টি ভেজা সকাল – দুপুর – সারারাত্রি !
অন্য একটা দিনের মধ্যে সে–ই তোকে তাই গুছিয়ে রাখি ; স্বভাবদোষে !

বাতাসপরীর ডানার ঝাপট স্বপ্নে স্বপ্নে স্মৃতিনির্ভর ; অথচ কেন ভেতর থেকে ভুলতে চেয়েও যায়না ভোলা তোর দেওয়া সেই সর্তগুলো ! বহু দিনের কষ্টরা সব মিথ্যা মিথ্যা দগ্ধে মারে অতলান্ত ,—- শেষ পর্যন্ত এ’মন থেকে এতকালের বৃষ্টিগুলো বের করে দেই ; অথচ আমি অনেক চেষ্টায় না পারি যে তোকে ভুলতে , সত্যি বলছি আকাশলীনা !! তিন সত্যি , দিব্বি কাটলাম ……. !

__________________________________

শুধু প্রিয়ংবদার জন্য 

সঙ্গোপনে অফুরান চেয়ে থাকা ; অনেকটা অভিমানে দলছুট্ সমস্ত নিঃশ্বাস ! তবু তুমি থাকতে প্রিয়ংবদা কেন হাওয়া নির্জন ?
এই তো সে-ই কবিতা থেকে উদাস হেঁটে আসা দ্বিতীয় জগত ; স্বপ্ন থেকে নীরবতার ক্ষমাহীন অসহীষ্ণু সময় ,— এভাবেই ছুঁই দেহভর্তি তোর তপস্যায় প্রিয়ংবদা !

কিছু কিছু মিথ্যা ভীষণ ছান্দিক ; তবু কেন এই ধুলো রাস্তায় নানাবিধ সর্তগুলো পোডায় আমাকে ,—– এভাবেই চাঁদ ওঠে বেমালুম পাতাপতঙ্গেরা ঘুনিয়ে যেতে যেতে ! সে-ই লম্বা একটা ছায়া ; সেখানে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির সুচারু বর্ষণ , এটাও তোমার অভিমানের কথা চিন্তা করে এনেছি কবিতায় প্রিয় নারী !

স্বাভাবিক এখান থেকে খোলা জানলার এপাড় – ওপাড় ; সেখানে তুমি এক গদ্যময় স্মৃতি , মনের ভিতর অন্য এক মনের অন্তর্গত কথা বলা বলি ; এটাও কিন্তু অবুঝ পাগলামি ! এটাও তোমার জন্য মনেতে অসুখ নিয়ে একলা যাপন !

সত্যি দয়াপ্রার্থীর রূপ নিয়ে অনেকটা নিচু গলায় কতবার বলেছি ; প্রিয়ংবদা তুমি আমার !

স্নান ঘরে আমি জ্যোৎস্নার মত নিঃসঙ্গ ; চোখের ভেতর নানা কারণের দুঃস্বপ্ন আঁছড়ে পড়ে , তবু মধ্যরাতে বারান্দায় একলা এসে দাঁড়াই ব-হু ক্ষণ !

আমার কোনভাবে নিষ্কৃতি নেই ; তবুও উচ্চারণ করি সহজ নির্লজ্জে ,— আমি একমাত্রই তোমায় ভা-লো-বা- সি !

এই সময় পোড়ায় এভাবেই ; চোখের সমস্ত অশ্রুপাত ভিজিয়েছে কথাহীন পথ , তবু এই পথে এধার ওধারের ধাক্কা লাগে ! ভীষণ উষ্ণতায় বিছানায় এভাবে একা একা নির্ঘুমে রাত কাটে ,—– ওদিকের আকাশটায় এভাবেই জ্বলে ওঠে জ্যোৎস্নালোকের অন্য এক নক্ষত্র ; সেও আমারই মত প্রেমহীন !

শেষ একবার প্রতিদিনের অস্থিরতা জমে জমে বুকের মধ্যে জ্বলে শ্মশান ! ব্যক্তিগত মৃত্যু নিয়ে প্রতিদিন এভাবেই অনেকটা বেলা করে ঘুম ছেড়ে উঠে দাঁড়াই ; একমাত্র ভালোবাসার কাছে !

স্বভাবতই কবিতার প্রতিটা স্তবক ; অন্য এক অন্ধকারে নির্বাসন নিয়েছে ,—– সেখানে একক নীরবতায় প্রাচীন ক্যালেন্ডার খুলে দেখি ; তোমার সাথে কবে কোথায় দেখা হয়েছে , সেই স্মৃতিছবি !

সততই এভাবে ফিরিয়ে দিয়েছি প্রতিজন্মের মৃত্যু ; চেনা সময় , চেনা পথ , চেনা ফুলের গন্ধ , সব স-ব-ই ভাসিয়েছি চোখের জলে ! অথচ প্রিয়ংবদা এই বুকের একেবারে গভীরে তোমার তুমিকে সরিয়ে দিতে সাহস হয়নি ; যদি কোন দিন ফিরে এসে বল , কই কবি তোমার বুকের মধ্যে আমি কোথায় ??

___________________________________
একমাত্র এই তুমিটার জন্য

কিছু কী ফেলে আসতে হল ; মন ভর্তী অকেজো সংসার , হয়তো দূরের শহরের জনারণ্যের ভেতর এই তুমিটার একাকিত্ব ! শেষ ট্রেনটা দূ–রে চলে যেতে যেতে বিচ্ছেদের জ্বালায় পুড়ে ওঠে মন ; অন্য এক স্বপ্নের কথা স্মৃতির মধ্যে আজও অবসরে ভীষণ দারিদ্র !

কিছুটা দৃশ্যের ভেতর বাতাসে তোলে ঢেউ ; অচেনা সময় চোখের সামনে মেলে ধরে সন্ধিপত্র ,—– বাইরের আকাশে ভরে ওঠে প্রত্যন্ত জীবন ! সেখানে হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ে যায় প্রথাগত শ্বাস – প্রশ্বাস ! অথচ এভাবেই উল্টো দর্পণে কারও কারও যান্ত্রিক ভাবে বেঁচে থাকার নির্জন বসবাস হয় !

বৃত্তের বাইরে থেকে কেউ দেখতে পেয়েছে ; পুরোনো শহরের জীবন ,——

অন্য রকম ছদ্মবেশ নিয়ে কেউ কেউ অমাইক হেসে ওঠে ; অন্য কোন বুকের ভেতর !

এই তুমিটা একই পুড়ছিল নিভৃতে ; চোখের সামনে আপাতত আজীবনের দুঃখগুলো এভাবেই কোল পেতে বসে ছিল দুঃখভরাতুর !
এই তুমিতে পেরিয়ে এলো সারা বছর জুড়ে লেখা কবিতার পঙক্তি ও স্তবক ; দিনরাতের দীর্ঘ ইতিহাস ব্যক্তিগত ভাবে দরজার ওপাশে অনুভবজাত , তবুও বিষাদ হয়ে সত্যের পথে বৃষ্টির মতন ঝরে যায় চোখের জল !

আমিতো এভাবেই
বাঁকচোরা রাস্তার পাশে একা একা দাঁড়িয়ে সেই তুমিটাকে খুঁজছিলাম ;

তুমি তখন একলা একলা পুড়ছিলে শমশানে , —– তবু জটিল নিভৃতে কাঁদে অন্য এক আমি ; ভেতরে ভেতরে দিগ্বিদিক ভেসে যায় ! একা সেই অন্তর্গত পথে ট্রেনটা স্টেশন ছাড়িয়ে কোথায় মিলিয়ে যায় ; এরই মাঝে অন্তঃস্থলে প্রতিধ্বনি শুনি রাত শেষ হতে হতে !!

___________________________________

চৌরাস্তার জ্যোৎস্না

আমিটা অন্য আমিতে বরাবরই এভাবেই আড়াল হয়ে ছিল ! অযত্নে ললিত মন ; মনের মধ্যে নাবালক হৃদয় পয়মন্ত স্বপ্নের প্রার্থনায় ছায়ার মধ্যে শূন্যতা আঁকি ,—- কোথাকার স্মৃতি গুলো সতত এভাবেই নির্ঘুম ; ভীষণ নির্জন !
তবু চোখ থেকে কবেই উড়ে গেছে অভিমান ; চৌকাঠে রক্তের চিহ্ন নিয়ে বহুকাল শুয়ে ছিল আমার প্রতিটা জন্মের ছায়া ,—- প্রাচীন দর্পণে ভূত সেজে ঝাপসা দেখা দিয়েছিল অন্য কোনো অতীত ! এটা সেই এক বারই হয়েছিল …….

সেই একদিন মাঝরাস্তায় পথ আগলে কত কালের নাম ধরে কেউ একজন ডেকে ছিল ; তাকে এভাবেই ভাসিয়েছি চোখের জলস্রোতে !
চৌকাঠে সটান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিমূর্ত কিছু প্রেত মধ্যরাতে নিজমূর্তি ধারণ করে মুখ ও মুখোশের চারপাশে লেপে দিয়ে ছিল রসাতলে যাবার কটুগন্ধ !
তবুও শেষটুকু দেখবো বলে সন্দীপনের কাছে শিখে নিয়ে ছিলাম মৃত্যু বরণের গোপন বিদ্যা ,—-
হাতের চেটোতে ভাগ্যের দোহাই লেখা ছিল ; ছিল কতকিছু ! সবটাই বিবর্ণ , নিরাভরণ ….. তবুও রাত দশটার ভেতর বিষ মেশানো সময় দয়াপ্রার্থীর মত অন্তর্গত দুঃখে ও জ্বালায় অশরীর আমিটাকে সদর দরজা অব্দি এগিয়ে দিয়ে লুকিয়ে ছিল অবলীলায় ! হৃদয় রোগ না হলে দীর্ঘশ্বাস এত জটিল হত না !

কাছে – দূরের আকাশ থেকে প্রাণহীন অস্থিরতা অনন্ত বিস্তৃত ;
প্রতিজন্মের প্রেম গুলো শ্মশান যাত্রীদের তালিকায় না থাকলেও মৃত্যুর মত সহজ নিঃশব্দে কাঙালের চেহারা নিয়ে বলে উঠে ছিল হে প্রেমীক তুমি আর একবার বেঁচে ওঠো !

স্বাভাবিক ভাবে কোথাও কিছু পুড়ে ওঠার গন্ধ নাকে এলে আমি মৃত্যুর পরও স্তব্ধ হয়ে যাই !
দিনাবসানে নির্ঘুম জাগরণে রাস্তা পার করছিল শোক – তাপ গুলো ৷ অর্ধেক সুখ নিয়ে সেজে উঠেছিল চৌরাস্তার জ্যোৎস্না ; সে নগ্ন ও সুচারু অথচ অনাহারে অনেকটাই অনাত্মীয়ের মত এলোমেলো !

 

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102