যুক্তরাজ্যে তরুণীদের চাকরিতে অগ্রগতি বাড়াতে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীরা আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন এবং তাদের অগ্রগতি তরুণ পুরুষদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
গবেষণায় অংশ নেয়া ৫ হাজার তরুণের মধ্যে ৪১ শতাংশ নারীর দাবি, গত ১ বছরে তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়েছে, যেখানে একই বয়সী পুরুষদের মধ্যে এই সংখ্যা ২৭ শতাংশ। তরুণী মহিলারা বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করছেন এবং তাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে এমন চাকরি ধরে রেখেছেন যা তারা নিজেরাও উপভোগ করেন না। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
উয়ং উইমেনস ট্রাষ্টের সিইও ক্লেয়ার রেইনডর্প জানান, ‘তরুণীদের জন্য সমস্যাটি হলো ‘স্টিকি ফ্লোর’। তারা সাধারণত খুচরা, পরিচর্যা ও অতিথি সেবার মতো খাতে নিযুক্ত হন, যা নিম্ন বেতন দেয় এবং সেখানে থেকে বের হওয়া কঠিন।’
গবেষণায় দেখা যায়, তরুণীরা নতুন ঋণের বোঝা নিতে বাধ্য হচ্ছে এবং তারা পুরুষদের তুলনায় কম সঞ্চয় করতে পারছেন। ৪০ শতাংশ তরুণী জানিয়েছেন, তারা আর্থিক কারণে পছন্দের কাজগুলো করতে পারছেন না।
এদিকে, করোনার পর যুক্তরাজ্যে মহিলাদের জন্য বেতনের তফাত ৭ দশমিক ৭ শতাংশে স্থির হয়ে আছে। নারীদের চাকরিতে অগ্রগতির জন্য এটি সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৭ বছর বয়সী সিঙ্গেল মাদার পিপা রওলিনসন বলেন, ‘সঠিক এবং সাশ্রয়ী শিশু সেবার অভাবে, আমি পুরুষদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারি না।’ তিনি উল্লেখ করেন, অন্যরা দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারলেও, আমাকে শিশুদের দায়িত্ব পালন করতে হয়, যা আমার ক্যারিয়ারে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।
এই গবেষণার ফলাফল তরুণী ও যুবতীদের জন্য একটি কঠিন বাস্তবতা চিত্র তুলে ধরে। আর্থিক সংকটের মাঝে তারা শুধুমাত্র যে চাকরিই খুঁজে পাচ্ছে না তা নয়, বরং একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্যও তাদেরকে লড়াই করতে হচ্ছে। ফলে তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর একটি প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
নিউজ /এমএসএম