বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার জামিন দেয়াকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জ আদালতে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিচারক এজলাস থেকে নেমে গেলে আরেক বিচারক এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীনের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় ছাত্র–জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে প্রধান করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৯৮ জন নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই মামলার ২ নম্বর আসামি চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রজব আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীন ওই মামলার শুনানি শেষে আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এজলাসে হট্টগোলের সৃষ্টি করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিচারক এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। খবর পেয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনর রশীদ সংশ্লিষ্ট এজলাস কক্ষে এসে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা মুলতবি থাকার পর পুনরায় আদালত কার্যক্রম শুরু হয়।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী গুলজার খান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজে। সেই হামলার নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগ নেতা রজব আলী। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে বহু মানুষকে নির্যাতন করেছেন। এমন একজনকে এত দ্রুত জামিন দেওয়ায় আমরা এর প্রতিবাদ করেছি।
তিনি বলেন, পরে আমরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রজব আলীর জামিনের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করি। আদালতের বিচারক হাসানুল ইসলাম জামিন বাতিল করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ফরহাদ এলাহি সেতু ও সাহিদ ইসলাম।