

রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর জোন (১৭ ই বেংগল) এর স্পেশাল অপারেশনে গমনকারী সদস্যদের উদৌগে দুর্গম পাহাড়ী এলাকা কুড়ামারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) নানিয়ারচর সেনা জোন (১৭ ই বেংগল) এর উদ্যোগে চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাসরত জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কুড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
গত ২৫ নভেম্বর হতে কুড়ামারা এলাকায় বিশেষ অপারেশন চলাকালীন সময় দেখা যায় যে, অত্র এলাকাটি দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় এই এলাকার জনসাধারণ সুচিকিৎসা হতে বঞ্চিত।
সেনাবাহিনীর সুত্রে জানা যায় অত্র অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় সেনাদল কর্তৃক টহল দেওয়া হলে দেখা যায় যে, এই এলাকায় কোন চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র না থাকায় বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী অসুস্থ্য হলে তারা উন্নত চিকিৎসা হতে বঞ্চিত হয় এবং চিকিৎসার মান খুবই শোচনীয়। এমন শোচনীয় অবস্থায় দেখতে পেয়ে কুড়ামারা এলাকায় জোন কমান্ডার বিএ-৭৯০০ লে. কর্নেল মোঃ মশিউর রহমান, পিএসসি এর নির্দেশনায় সাধারণ এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার মানউন্নয়নের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি মেডিকেল ক্যাম্পেইন কর্মসূচির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
দুর্গম পাহাড়ি এলাকা কুড়ামারা, টং তুলিয়াপাড়া এবং আশেপাশের এলাকার নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোর ও বয়স্ক এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করা ও তাদের সার্বিক স্বাস্থ্যমান উন্নত করতেই সেনাবাহিনীর এ জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ। নানিয়ারচর জোনের মেডিকেল অফিসার বিএ-১০২৬৯৪ ক্যাপ্টেন আশিকুজ্জামান কর্তৃক ৩০ জন পুরুষ, ৮০ জন মহিলা ও ১২ শিশুসহ সবমোট ১২২ জন রোগীকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
এসময়, নানিয়ারচর জোনের জোন কমান্ডার উপস্থিত থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের কর্মসূচি তদারকি করেন।
জোন কমান্ডার জানান যে, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের সেবা কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় জনগণ সেনাবাহিনীর এ মানবিক উদ্যোগে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন।
নিয়মিত সেবা তাদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মতামত প্রদান করেন এবং এমন চিকিৎসা সেবা নিয়মিত প্রদানের জন্য জোন কমান্ডারের নিকট অনুরোধ করেন।
এলাকার জনগণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিঃস্বার্থ এই সহযোগীতায় অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নানিয়ারচর জোন কর্তৃক অত্র এলাকার জনসাধারণের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।