প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আওয়ামী পরিবার ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার (৩ অক্টোবর) সেন্ট্রাল লন্ডনের তাজ হোটেলের কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগ, ইউরোপিয়ান আওয়ামী, আওয়ামী পরিবার ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সাথে এই সৌজন্য সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মারুফ আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, মাসুক ইবনে আনিস, রবিন পাল, সারব আলী, ভিপি খসরজ্জামান, ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী, অ স ম মেসবাহ সাদাত,কাউসার চৌধুরী ও আহমেদ হাসান সহ ৪২ জন বক্তা মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ পান।
উপস্থিত সকলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন প্রশ্ন, স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক দাবি দাওয়া ও এলাকার উন্নয়নের দাবী করেন। কেউ কেউ নিজেকে এমপি হওয়ার দাবি করেন। আবার অনেকে সত্য মিথ্যার সংমিশ্রণে নিজেকে প্রমোট করার চেষ্টা করেন। শুধুমাত্র ব্যাতিক্রম ধরনের বক্তব্যে দিয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী “আমি এমপি হতে চাই” বলেননি মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি মৌলভীবাজারে সরকারি মেডিকেল কলেজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেছেন, নেত্রী মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ অতি-আবশ্যক এবং সেটা মৌলভীবাজার জেলা সদরেই করতে হবে “।
উনার সহজাত লাউড এবং ক্লিয়ার ভয়েস আমাদের হাত তালিতে আরো নটেবল ছিল। নেত্রী আহাদ চৌধুরীর দাবী নিজের হাতে নোট করে নেন। পাশাপাশি মৌলভীবাজারের বিভিন্ন রাস্তাঘাট পাকা করন, নদী প্রশাসন সহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উন্নয়নের করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিশেষ করে মৌলভীবাজারের জনগণের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও পচাত্তরের পর ও আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরেন। দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি নিজের জেলা মৌলভীবাজারের উন্নয়ন কথা উল্লেখ করেন। নিজের জন্য তিনি বলেননি। নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দাবি করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা ধৈর্য সহকারে সহাস্যে বক্তব্য শোনেন এবং নিজের হাতে নোট করে নেন। আব্দুল আহাদ চৌধুরীর দূঢ় চেতা ও স্বভাব সুলভ উচ্চ সুরে বক্তৃতা উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বার বার হাত তালি দিয়ে সমর্থন করেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক আব্দুল আহাদ চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন আমি এম পি হতে চাই নি, নেত্রীর নিকট মৌলভীবাজারের উন্নয়নের জন্য দাবী জানিয়েছি। আশাকরি নেত্রী দ্রুত এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নির্দেশ দিবেন।
নিউজ /এমএসএম