আগামী নির্বাচনে যেন সহিংসতা, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় প্রতিবেশি দেশ ভারত এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিন দিনের সফর শেষে বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিন দিনের সফরে কার কার সঙ্গে বৈঠক এবং কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এ নিয়ে জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, আমি ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনা কার সঙ্গে হয়েছে বা কী বিষয়ে হয়েছে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত বলতে পারবো না। কারণ আলাপগুলো ওইভাবেই হয়েছে। ওনারা যদি কিছু প্রকাশ করতে চান করবেন, আমার পক্ষ থেকে ওনাদের পারমিশন ছাড়া কিছু বলতে পারবো না। তবে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ওনারা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলে, বাংলাদেশ স্থিতিশীল থাকলে, সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার যদি গঠিত হয় তাহলে তাদের পক্ষে এসব কাজ করা সহজ হবে। ওনারা প্রত্যাশা করেন, যেন সবাই মিলে ওই ধরনের একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেন, যাতে সুন্দর নির্বাচন হয়। নির্বাচনে যেন সহিংসতা, অরাজকতার পরিস্থিতি না হয়।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, তবে ওনারা একটা ভালো নির্বাচন দেখতে চান। এটা সময়মতো যেন হয়। নির্বাচনের আগে পরে কোনো ধরনের সহিংসতা বা সাধারণ মানুষের জীবনধারায় অনিশ্চিত কিছু না হয়। কারণ বাংলাদেশে ভারতের বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে।
জাপা সম্পর্কে ভারতের ভালো ধারণা আছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, আমার কাছে ভালো লেগেছে যে জাতীয় পার্টি সম্পর্কে ওনাদের ধারণা ভালো। পার্টিকে একটা সম্ভাবনাময় দল মনে করেন তারা। ওনাদের আস্থা আছে যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সৌহার্দপূর্ণ ছিল যা সব সময় থাকবে।
রওশন এরশাদের সাম্প্রতিক বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, আমার মনে হয় না উনি (রওশন এরশাদ) নিজ ইচ্ছায় কিংবা জেনে শুনে এসব করছেন। জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করার জন্য কিছু লোক আমাদের বিরুদ্ধে দেবর ভাবীর দ্বন্দ্ব ইত্যাদি করছেন। যারাই একতা চান বলে দাবি করছেন তারাই দল ভাঙার চেষ্টা করছেন। দল যাতে শক্তিশালী না হয়। দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয় এজন্য তারা এসব কিছু করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমুখ।
নিউজ /এমএসএম