জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে যুক্তরাজ্যেও। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে দেশটির সাত লাখ মানুষ গত মাসে বাড়ির বন্ধকি ঋণের কিস্তি দিতে পারেননি। বাড়ি ভাড়াও দিতে পারেননি অনেকে। ২০ লাখ পরিবার কোনো না কোনো বিল পরিশোধ করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। এদিকে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহে যেকোনো একটি খাতে ছাড় দিতে হয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ পরিবারকে।
এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারও নীতি সুদহার বাড়াতে যাচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ানের সংবাদে ‘হুইচ?’ নামের ভোক্তা সংগঠনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাড়ি ভাড়া দিতে না পারার হার অনেক বেশি। হুইচের জরিপে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাদের প্রতি ২০ জন ভাড়াটের মধ্যে ১ জন ভাড়া দিতে পারেননি।
এমনিতেই দেশটির বন্ধকি ঋণগ্রহীতা ও ভাড়াটেদের পক্ষে ঋণ করা কঠিন হয়ে গেছে। তার মধ্যে আরও জানা গেল যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আগামী বৃহস্পতিবার আবারও নীতি সুদহার বাড়াতে যাচ্ছে। এটি হবে এ নিয়ে টানা ১২ বার। এই দফায় আরও শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে নীতি সুদহার দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে গত বছরের এপ্রিল মাসে পরিস্থিতি এর চেয়েও খারাপ ছিল বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান। সেবার প্রায় ২৫ লাখ মানুষ বাড়িভাড়া, ঋণের কিস্তি বা ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন।
জরিপে অংশ নেওয়া ৫৯ শতাংশ বা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে আনুমানিক ১ কোটি ৬৬ লাখ পরিবার গত মাসে ব্যয় মেটাতে গিয়ে অন্তত একটি খাতে ছাড় দিয়েছে বলে জরিপে জানা গেছে।
জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে যুক্তরাজ্যের মানুষ দিশেহারা। বেড়েছে সেখানকার জীবনযাত্রার ব্যয়। গত বছর মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। এই বাস্তবতায় অনেক মানুষ খাদ্য ব্যয় কমাতে বাধ্য হয়েছেন।
বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাজ্যের সাধারণ মানুষের গড় প্রকৃত মজুরি কমে যাবে। এতে আগামী দুই বছর তাদের জীবনযাত্রার মান কমবে অন্তত ৭ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলতে পারে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
নিউজ/ যুক্তরাজ্য / কেএলি