বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পূর্ব ইউরোপ-সিআইএসভুক্ত দেশে নিযুক্ত দূতদের বার্তা দিলেন পররাষ্ট্রসচিব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ও মন্ত্রণালয়ের দূত একসঙ্গে কাজ করবে ফ্রান্স বনাম ইসরাইলের ফুটবল ম্যাচ ঘিরে প্যারিসে নিরাপত্তা জোরদার অনলাইনে আয়কর পরিশোধে খরচ কমল খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা বাতিল সিলেটের উন্নয়নে বিভিন্ন দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সভা অনুষ্টিত প্রেসক্লাবে অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহ্বানে জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের উদ্বেগ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক মতবিরোধ ভুলে মৌলভীবাজার জেলা কৃষক দল ঐক্যবদ্ধ বছরের প্রথম দিকেই নতুন বই পাবে ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা

ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে যাদের নিয়ে আলোচনা

‘এন্টিআ’লীগ’ দ্বারা নির্যাতিত-নিপীড়িত পরিবার থেকে আসবে শীর্ষ নেতৃত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • খবর আপডেট সময় : সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২
  • ৪৯২ এই পর্যন্ত দেখেছেন

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে কারা আসছেন, এ নিয়ে প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছেন কর্মী-সমর্থকরা। তবে সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা স্বর্থে বয়সের কারণে আটকে যেতে পারে অনেকের নেতৃত্বের চাকা। এরইমধ্যে ছাত্র সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

কেউ কেউ বলছেন, দু:সময়ে যারা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন এবং নানা ভাবে এন্টিআওয়ামী লীগ দ্বারা নির্যাতন-নীপিড়নের শিকার হয়েছেন সেইসব পরিবারের সন্তানদের এবার ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আনা হবে। এতে একদিকে সংগঠনটি বির্তক থেকে মুক্তি পাবে এবং শেখ হাসিনার হাতকে আরো গতিশীল করতে সক্ষম হবে। গতকাল সোমবার মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

নেতৃদ্বয় জানান, আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরআগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২ ডিসেম্বর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সম্মেলন অপরাজেয় বাংলা ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

এরইমধ্যে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছাস আর প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শেষ সময়ে নতুন নেতৃত্বে আসার জন্য দলের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে লবিং-তদবি বাড়িয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন ছাত্র নেতারা। আগামীর নেতৃত্বে কারা আসছেন তারই প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছেন কর্মী-সমর্থকরা। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পরপরই মধুর ক্যান্টিনের বাইরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়েও পদপ্রত্যাশীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।

সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা স্বর্তেও বয়সের কারণে আটকে যেতে পারে অনেকের নেতৃত্বের চাকা। সূত্র বলছে, বিভাগ ভিক্তিক রাজনৈতিক মেরুকরণের জন্য এক এক সময় এক এক বিভাগ থেকে নেতৃত্ব নিয়ে আসা হয়। যদিও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে নিয়মিত একজন থেকেই যাচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বে। তাই অঞ্চল ভিত্তিক এসব নেতাদের কাছে তদবিরের আশায় ছুটছেন অনেকে। তবে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতা, চারিত্রিক মাধুর্যতা, শিক্ষার্থীবান্ধব আওয়ামী পরিবারের নেতাদেরকেই নেতৃত্বে আনার কথা জানান দলের নীতি নির্ধারক ফোরাম।

এছাড়াও করোনা মহামারির সময় মানবিক কাজে যারা সংগঠনের ভাবমূর্তি উজ্বল করেছেন তাদেরকেও বিবেচনা করা হবে। এছাড়াও ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বয়স ২৭ এর মধ্যে থাকলেই কেবল নেতৃত্বে আসার সুযোগ রয়েছে। সেই হিসেবে বিভিন্ন অঞ্চলের অনেকেই ছিটকে পড়বে কেন্দ্রীয় শীর্ষ পদ থেকে। তবে বিগত কয়েকটি কমিটিতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ বছর বাড়িয়ে অনুর্ধ ২৯ করেছেন। নীতি নির্ধারকরা মনে করছে গঠনতন্ত্রে ২৭ বছর বয়স, এর বাইরে নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী বড়জোর অনুর্ধ ২৯ এর মধ্যে বা বেশি যেতে পারেন।

নেতৃত্বের দৌঁড়ে এগিয়ে যারা: তারা হলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খান, সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ,সহ-সভাপতি মাজাহার শামীম, যুগ্ম সাধারণ মাহবুব খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন। উত্তরবঙ্গ থেকে আলোচনায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল হাসনাত হিমেল, উপ- সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসু, শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।

বরিশাল বিভাগ থেকে আলোচনায় আছেন সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার, সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ (ইনান), ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান জমাদ্দার, উপ-বিজ্ঞান সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, কর্মসংস্থান বিষয়ক উপ-সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়। খুলনা বিভাগ থেকে রয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাধন, উপ-বিজ্ঞান সম্পাদক খন্দকার হাবিব আহসান, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ফরিদা পারভীন।

ময়মনসিংহ থেকে আলোচনায় আছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, সহ-সম্পাদক মো.রিপন মিয়া, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপ সম্পাদক রশিদ শাহরিয়ার উদয়। ঢাকার পার্শ্ববর্তী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক বিভাগ ফরিদপুর থেকে আলোচনায় আছেন সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক শেখ স্বাধীন মোহাম্মদ শাহেদ,কর্মসংস্থান সম্পাদক রনি মোহাম্মদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, ঢাবির মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহীদুল হক শিশির, উপ- প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেসকাত হোসেন।

ঢাকা অঞ্চলের প্রার্থীদের মধ্যে সার্জেন্ট জহরুল হক হলের সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল্লা আব্বাছী অনন্ত, এফ রহমান হলের সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাহিম, শহীদুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় উপ বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক মো. ইরফানুল হাই সৌরভ, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. নিয়ামত উল্লাহ তপন, উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন, গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শামীম শেখ তূর্য আলোচনায় আছেন।

এবারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে শীর্ষ নেতৃত্বে আসার আলোচনায় রয়েছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ, ইডেন কলেজের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নিশাদ সাদিয়া খান মিলি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক আল আমিন শেখ এবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক তারেক আজীজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল আফসার। জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হামজা রহমান অন্তর আলোচনায় রয়েছেন। এছাড়া ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন মো. সোহেল মিয়া।

তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া আলোচনায় আছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাজু, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ চৌধুরী আল ইমরান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুজ্জামান নোভেল, সহ-সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন মিঠু, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বারেক হোসাইন আপন,সহ-সভাপতি রেহানুল হক রাফি, সহ-সভাপতি শেখ জামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম মিরাজ, উপ-কর্ম সংস্থান বিষয়ক উপ- সম্পাদক শেখ রিয়াদ মাহমুদ, আলোচনায় আছেন।

এ ছাড়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষে পদে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তুর্য, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তামজিদ হোসেন তামিম,সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর সুজন ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হলের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা, মুক্তিযুদ্ধা হলের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্ত আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন।

ইউকেবিডিটিভি/ বিডি / এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102