যুক্তরাজ্য অফিস: নানান নাটকীয়তার অবসান হলো। কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন লিজ ট্রাস। মাত্র ৪৫ দিন দায়িত্ব পালনের পরই হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। খবর-বিবিসির।
তথ্যসূত্র বলছে, গত সেপ্টেম্বরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করেন। এরপর কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা তাদের দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ট্রাসকে দলীয় প্রধান বানান। এরপর নিয়ম অনুযায়ী দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু ৪৫ দিন না যেতেই তার প্রধানমন্ত্রিত্ব চলে গেল।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে লিজ ট্রাস ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রাস। এরপর তিনি জানান আগামী সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টির জরুরি নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে।
প্রশ্ন হলো কে হবেন নতুন নেতা? এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ক্রিস্পিন ব্লান্ট বর্তমান অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে নেতা ও প্রধানমন্ত্রী করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
তাছাড়া ঋসি সুনাকের নামও শোনা যাচ্ছে। এমনকি বলা হচ্ছে বরিস জনসনকেও ফেরানো হতে পারে। তাছাড়া বুধবার পদত্যাগ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলাও নেতৃত্ব পাওয়ার তালিকায় আছেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটিশ
‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে’ নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে ব্রিটিশ। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে লিজ ট্রাসের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পর ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্রাডি এ তথ্য দিয়েছেন।
তবে কে হবেন সেই নতুন প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। এক্ষেত্রে শীর্ষ ফেভারিটের তালিকায় থাকছেন লিজ ট্রাসের কাছে হেরে যাওয়া ঋষি সুনাক।
অনলাইন স্কাই নিউজ লিখেছে, বৃহস্পতিবার ডাউনিং স্ট্রিটে পোডিয়ামে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তারপরই শোনা যায় ৪৫ দিন ক্ষমতায় থাকার পর তিনি পদত্যাগ করছেন। এ বিষয়ে তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে পদত্যাগের ইচ্ছা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ইউকেবিডিটিভি/ যুক্তরাজ্য / কেএলি