শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন

তামাক নিয়ন্ত্রণে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের দাবি

সংবাদদাতার নাম :
  • খবর আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২
  • ১২১ এই পর্যন্ত দেখেছেন

স্টাফ রিপোর্টার: তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন এবং এর কঠোর প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট।

সোমবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও সংশোধনের বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়। তামাকবিরোধী জোটের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’।

সংগঠনটির নেতারা বলেন, ‘মানবদেহে সৃষ্ট বিভিন্ন মরণব্যধীর অন্যতম প্রধান কারণ হলো তামাকের ব্যবহার। শুধু তামাক ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় ১৮ জনের অধিক মানুষ মারা যান। একটি আইন হলেও সেই সংশোধিত আইনেও বেশকিছু ত্রুটি থেকে যাওয়ায় আইন বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে এবং তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশলে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ফলে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আইনটিকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। এর সঙ্গে আইনের কঠোর প্রয়োগও জরুরি।’ 

স্বাস্থ্যক্ষতি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের জাতীয় স্পিকার সামিটে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ তথ্য উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয় ও বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করা হয়।’

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনের মাধ্যমে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, উল্লেখ করে বক্তারা বলেছেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে বড় চ্যালেঞ্জ তামাক কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ। যার কারণে ২০১৩ সালের আইনটি সংশোধন করা হলেও আজও পর্যন্ত আইন অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের ওপরে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।’

উন্নত দেশগুলোতে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন ও কঠোর প্রয়োগের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাজার সম্প্রসারণে মনোযোগ দিচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো, জানিয়ে তারা বলেন, ‘তামাক কোম্পানিগুলো সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।’

বেশকিছু সুপারিশও তুলে ধরেন তামাকবিরোধী জোটের নেতারা। সেগুলো হলো—
• তামাক কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ প্রতিহত করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করা।
• তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলোকে আর্থিক বরাদ্দের মাধ্যমে মনিটরিংয়ে যুক্ত করা।
• তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দ্রুত তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
• এফসিটিসির আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুসারে কোড অব কন্ডাক্ট প্রণয়ন করা।
• তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির সভাগুলো নিয়মিত এবং গৃহিত সিদ্ধান্তসমূহ ফলোআপ করা।
• রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা।
• সকল ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের তালিকা থেকে তামাক কোম্পানির নাম বাদ দেওয়া।

মতবিনিময় সভায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবসহ সংগঠনটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

ইউকেবিডিটিভি/ বিডি / এমএসএম

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102