রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক এর মৃত্যুতে প্রবাসীদের শোক ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত মহান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে রোজাদারকে পুরস্কৃত করবেন হৃদয় উজার করে মানুষের জন‍্য কাজ করতে হবে বাংলাবান্ধা সীমান্তে হত্যা বন্ধে বিজিবির কড়া প্রতিবাদ মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার জেনারেল আব্দুর রবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্র জেএসডি এর ঊদৌগে পতাকা উত্তোলন দিবস ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত শিশু ধর্ষণের খবর শুনে মৃত্যুর কোলে বাবা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

ব্যবস্থা না নিলে ইসির নিয়ন্ত্রণ থাকবে না

সংবাদদাতার নাম :
  • খবর আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৩০০ এই পর্যন্ত দেখেছেন

আইনে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিস্তর ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, নির্বাচন কমিশন তাদের সে আইনি ক্ষমতার প্রয়োগ করবে কি না? তারা আইন প্রয়োগে আসলে কতটুকু আগ্রহী? গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত ছিল।

১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট নেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকায় উত্তাপ ছড়িয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনাও বাড়ছে। প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটেছে। যেখানে নির্বাচনী সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, নির্বাচন কমিশনের উচিত সেখানে নির্বাচন স্থগিত করা। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। এটি করা না হলে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের উচিত যেখানে সংঘর্ষ, মৃত্যু হয়েছে সেখানে নির্বাচন বন্ধ করা এবং যে প্রার্থী দায়ী, তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা।

কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হয় নির্দলীয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও দলীয় সমর্থন থাকে। আর মেয়র পদে দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হয়। এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে যিনি সরকারি দল থেকে মনোনয়ন বা সমর্থন পাবেন, তিনিই নির্বাচিত হন। এখানে বড় ধরনের মনোনয়ন–বাণিজ্য, টাকাপয়সার লেনদেনের অভিযোগও আছে। বিপরীতে বিরোধী দলের প্রার্থীদের সেভাবে সরব দেখা যায় না। এর কারণ হতে পারে যাঁরা বিরোধী দলে থাকেন, তাঁদের সেভাবে টাকাপয়সা নেই অথবা তাঁরা জানেন, যেহেতু জয়ী হতে পারবেন না তাই জোরদার প্রচার চালিয়ে লাভ নেই।

পৌর নির্বাচনের একজন মেয়র পদপ্রার্থী প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিতে বলেছেন। তিনি প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার মতো অপরাধ করেছেন। তিনি শুধু যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তা নয়, পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের উচিত, এ বিষয়টি তদন্ত করা। যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় যে ওই প্রার্থী আসলেই এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন, তাহলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচনী ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা। নির্বাচনী ব্যবস্থা বিশ্বাসযোগ্য না হলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

দয়া করে খবরটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এই ক্যাটাগরিতে আরো যেসব খবর রয়েছে
All rights reserved © UKBDTV.COM
       
themesba-lates1749691102